পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ] ৪র্থ – সুপক্ষ, অবিকৃত, কুঠাম দও বীজৰূপে ব্যবহৃত করিয়া, স্থনিয়মে কৃষিকাৰ্য্য করা কৰ্ত্তব্য । ১১ । এই অধ্যায়ে কেবল বীজ ,হইতে কিরূপে ইক্ষুর গাছ জন্মান যাক্টতে পারে, তাহাই বিবৃত হইবে। ইক্ষুক্ষেত্রে কখন কখন দেখা যায় তুই একটা গাছে “ শোটা’ বাপ্তির হইয়া উচ্চাতে বীজ ধরিয়া রঙ্গিয়াছে। কোন জাতীয় ইক্ষুর বীজশীর্ষ অধিক পরিমাণ হইয়া থাকে, কোন জাতির অল্প পরিমাণ হইয়া থাকে এবং সাধারণতঃ ইক্ষুগাছে বীজশীর্ষ আদে জন্মে না । যে জাতীয় ইক্ষুর বীজশীর্ষ সহজেই নিগত হয়, এবং যাচা বীজ হইতেই জন্মাইবার নিয়ম, তাছাকে উড়ি মাক : কচে । যে যে জাতীয় ইক্ষুর বীজণীর্ষ দেখা যায় না, সে সে জাতীয় ইক্ষু ও অধিক অন্তর অন্তর লাগাইলে উচ্চাতে তই একটা বীজণীর্ষ নির্গত হয় । আমাদের দেশে যেমন দেড় হাত অন্তর ইক্ষু লাগাইবার নিয়ম আছে, অন্যান্ত দেশে এতাদৃশ নিকট নিকট ইক্ষুশ্রেণী লাগাইবার নিয়ম নাই । মরাচি দ্বীপে ৪০ ফুট অন্তর এবং পেটু-সেটলমেণ্ট ও ফিজি দ্বীপে ছয় ফুট অন্তর শ্রেণীবদ্ধ করিয়া ইক্ষুর কলম লাগান নিয়ম । ইহাতে গাছগুলি অধিক রৌদ্র ও বায়ু পাঠয়া স্বাভাবিক নিয়মে বদ্ধিত হইয়া, বীজবান হষ্টতে সক্ষম হয় । তবে কোন কোন জাতীয় ইক্ষুর বীজের উৎপাদিকা শক্তি অধিক, কোন কোন জাতীয় ইক্ষুর বীজের উৎপাদিকা শক্তি নিতান্ত হীন। আবার বীজ সংগ্ৰহ করিতে পারিলেই মে উহা হইতে গাছ বাহির হইবে, এরূপ কোন কথা নাই । ১২ । বীজশীর্ষ বাহির হইলে উহা হইতে বীজ সংগ্ৰহ করিবার জন্য কয়েকট নিয়ম স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য । ইক্ষুর বীজ পাকিলেষ্ট সহজে বায়ুযোগে উড়িয়া যায়। বীজ গুলি পাকিয়াছে অথচ উড়িয়া যায় নাই, এরূপ অবস্থায় বীজ সংগ্ৰহ করিতে হইলে কিছু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বীজশীর্ষের নিম্নস্থ পত্রট যখন শুকাইতে আরম্ভ করে, তখনই বুঝিতে হইবে বীজ পাকিয়াছে, আর অধিক পাকিবার আবগুক নাই । বীজশীর্ষট কাটিয়া লইয়া উচ্চার সূক্ষ্ম প্রশাখাগুলি বীজসহ বপন করিতে হয় । যে মুক্তিকাতে বীজ বপন করা যাইৰে, উষ্ঠা প্রধানতঃ বালুকাময় হওয়া জাৰগুক, অথচ কিছু কৰ্দমের ভাগ থাকাও চাই । এইরূপ মৃত্তিকার সহিত পুরাতন পচা গোময় মিশ্রিত করিয়া প্রবাসী ©☾ অনতিগভীর বাক্সের মধ্যে এই মৃত্তিকা দিয়া উষ্ঠার উপর বীজের সূক্ষ্ম প্রশাখাগুলি শায়িত ভাবে রাখিতে হক্টৰে । মৃত্তিকা দ্বারা বীজ ঢাকিলে চলিবে না । বাক্স অনাবৃত স্বানেই রাখিতে তইবে । রৌদ্রাতপ নিবারণের আবশ্যকতা নাই। বীজ বপন কাল হইতে অনবরত মুfওক যেন সিক্তাবস্থায় থাকে এই মাত্র দেখা আবশ্যক । শৈত্য রাখিতে হইলে স্থানবিশেষে ও সময়বিশেসে প্রতাঙ্গ জল ছিটান আবশাক হইতে পারে, এবং স্থানবিশেষে ও সময়বিশেষে সকালে ও বৈকালে দুষ্ট বেলাই জলসেচন আবশ্যক হইতে পারে। জলসেচন দ্বারা বীজ গুলি পাছে ওলট পালট কষ্টয়া যায়,একারণ সন্মধারাবিশিষ্ট ঝাঞ্জরি বা পিচকারি দ্বারা জল সেচন আবশ্যক। বাজ স” গ্রহের সময় তহঁতে দেড় মাসের মধ্যে বীজ বপন আবশ্যক। যদি বীজ বপন করিবার পরে এক সপ্তাহের মধ্যে বাজ গুলি অস্কুরিত না হয়, তাঙ্গা চইলে অনুমান করিতে ইষ্টবে, বীজ গুলির অঙ্গরোৎপাদিক শক্তি লোপ পাইয়াছে । লাজ অঙ্কুরিত হইলে ইক্ষুর চালাগুলি অতি সৃক্ষ তৃণের ন্যায় বাঠির স্তষ্টয়া থাকে । চারাগুলি ছয় অঙ্গুলি আন্দাজ উচ্চ তইলে বড় বড় গামলায় ঐ গুলি छैठाडें ग़ा छ2ाॐग्ना शशिाझे ग्रां नि?ठ ङग्न । gठे नकट श्राम्ठाতে ও পূৰ্ব্বোক্তরূপে মুঞ্জিক প্রসূত করিয়া লষ্টয়া, ভরিয়া, পরে চার লাগান নিয়ম। এই গামল গুলি ও রোদে থাকিবে এবং ইতার মুহিকা ও বরাবর সিক্তাবস্তায় রাপিতে হঠলে । পরে যখন গমলার গাছ গুলি প্রায় এক হাত উচ্চ হইয়া উঠিবে, তখন আবার ঐ গুলিকে উঠাষ্টয়া মাঠে যেমন ইক্ষু লাগাইবার নিয়ম আছে, সেক্টরূপ লাগাইতে হয়। যেরূপ সার দিবার, নিড়াইবার ও জল দিবার নিয়ম আছে, বীজ হইতে উৎপন্ন গাছে ও ঠিক সেক্টরূপে সার দেওয়া, জল সেচন ও নিড়ান কার্য্য চলিবে । লাঞ্জ তষ্টতে গাছ প্রস্থত করিতে পারিলেই যে গাছের উন্নতি হইবে এমন কোন কথা নাই। যেমন আঁটির আমগাছে সুমিষ্ট ফল ও ধরিতে পারে, মমরসের ফলও ধরিতে পারে, বীজের ঠক্ষ চটতে সেইরূপ সুমিষ্ট স্থূলকায় ইক্ষুদ গুও জন্মিতে পারে, অথবা সূক্ষ্ম ও বিস্বাদ ইক্ষুদণ্ডও জন্মিতে পারে। বীজের ইক্ষু মাটির আমের ন্যার বিভিন্ন প্রকারের হয়, অর্থাৎ ভাল, মন্দ অনেক প্রকারের গাছ ン ○ |