পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

לאר"א প্রবাসী NetBve • هيبته: إنين. اميلاؤهم বলিল—“অত আলু কি হবে ?—আজ সাত জনের তো মোটে রান্না ।" “কেন আজ আবার অষ্টম জনটির কি হ’ল ?” মমুজ ঝঙ্কার দিয়া উঠিল—“না, কাজ কি কিছু হয়ে, মন তো মানুষ নয়! এই এক রকম হুকুম, তক্ষুনি আবার অন্য রকম। কত ইয়ে ক’রে—কত রকম কত কি ক’রে যদি আরম্ভই করলাম একটা সাধনা— দু-দিন দেখাই যাকু ; না,—‘ঘড়ি আজ আমার ঘরে দিয়ে আসিস ’.কেন, সব থাকতে ঘড়িটার ওপরই এত আক্রোশ কেন –ও তো কারুর ব্যাঞ্জোও নয়, এস্রাজও নয়--- আমি কক্ষণও রেথে আসব না। না হয় ব’লে বেড়াবে ভাইপো আমার অবাধ্য হয়েছে। বেশ, হয়েছে তো হয়েছে ।---আমার তপস্তার, সাধনার ঘড়ি-ও আমি কোন মতেই ছাড়ব ন! •••একটা মায়া জন্মে যায় না ?---” শালের বনে শ্ৰীগোপাললাল দে, বি-এ শ্যে ফাগুনে শালের বনে কেউ কি গিয়েছ ? নবীন আশার, নীরব ভাষার হরফ নিয়েছ । নতন লতায় নূতন পাত, তরল শু্যামলতায় গাথ, দোদুল দোলে শিহর তোলে, পরশ দিয়েছ । শেষ ফাগুনে শালের বনে কেউ কি গিয়েছ ? গায়ের পারে পথের ধারে যেমন দেবে পায়, কেমন যেন গন্ধ আনি বইবে বন-বায়, নূতন স্নেহের সাগর-সেঁচা, একটু মিঠে একটু কাচা ; বক্ষে তোমার চক্ষে তোমার ভরিয়ে নিয়েছ ! শেষ ফাগুনে শালের বনে কেউ কি গিয়েছ ? খাম যমুনায় বাজবে বঁাশী কোকিল কুহুরায়, বনের টানে ঘরের পানে ফেরাই হবে দায়, মনের ভুলে চরণ চলে, কোন স্বপনে অঙ্গ ঢলে, এমন ক্ষণে দেখবে বনে কখন এয়েছ ! শেষ ফাগুনে শালের বনে কেউ কি গিয়েছ ? প্রজাপতির হাজার পাখী নাচে শালের গায়, আমলকীর পল্লবেতে দোলে ব্যাকুল বায়, চামর দোলে সোদাল ফুলে, কাঞ্চনেতে ভ্রমর বুলে, পলাশ বুঝি ? বিপুল বনে গুলাল ছেয়েছ । শেষ ফাগুনে শালের বনে কেউ কি গিয়েছ ? ঝোপের আড়ে কি ফুল ফোট দেখতে পাবে না, গন্ধে তাহার আকুল ক’রে বইবে বন-ব', অবাক হবে মিষ্ট বাসে, ভাববে নাগরিক আসে, ক্ষণের মাঝে নগর সাঝে ফিরিয়ে পেয়েছ ! শেষ ফাগুনে শালের বনে কেউ কি গিয়েছ ? মউল ফুলে অনেক মধু, ঝিণ্টিমধু পিয়া', পরীর পাথে প্রহর যাবে কোন সে পথ দিয়া, চমক ভাঙি শুনবে কুহু, কুরচিফুল শাখায় মুহু, তখন তুমি স্বপন-লোকে প্রয়াণ দিয়েছ, শেষ ফাগুনে শালের বনে কেউ কি গিয়েছ ?