পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سSAt প্রধাসী SN28N○ c) || রাইমণি দিন দিন করয়ে রন্ধন । মহানন্দে চন্দ্রচূড় করেন ভোজন ॥ এত ভক্তি ভালবাসা কভু দেখি নাই । তেঞি বৃদ্ধ গুপ্তধন দেখাইলা তায় ॥ কত রত্ন প্রবাল মাণিক্য টাকাকড়ি । মৃত্তিকার তলে পুত রহে হাড়ি হাড়ি ॥ চন্দ্রচূড় বলে রাই জীবনাস্তে মোর । এই গুপ্ত রতু ধন জানিবি যে তোর ॥ কে কুথাও নাঞি মম তুহ ছাড়া রাই। গুপ্ত ধন তোরে আমি দেখাইঃ তাই ॥ তুমারে দিলাম আমি এ সব সম্পত্তি। তুমি নিলে হবে মোর পরলোকে গতি । রামী কহে দেখ বাবা করিয়া স্মরণ । আছে কি না আছে কোথা তুমার আপন । চন্দ্র কহে ছিলা এক নিজের ভগিনী । ব্ৰহ্মণ্য-নগরে তার বিভা হয় জানি ॥ নাম তার পদ্মাবতী পুত্রবর্তী কি না। মরেছে কি বঁচে আছে কিছু নাঞি জান । জামাতার নাম হয় বিজয়-নারাণ । বহুকাল নাঞি দেখা ন জানি সন্ধান ॥ অকস্মাৎ আমি যদি তোর কোলে মরি। যা পার করিবে তুমি এ ধন তুমারি ॥ হয়াছে অনেক বেল পাত এবে পীড়ি। ক্ষুধায় কাতর আমি অন্ন আন বাড়ি ৷ যেমন পশিবে রাই রন্ধনশালায় । চন্দ্রের চৌরাশী বন্ধু আইল তথায় ॥ পাতিলেন রাইমণি সবাকার পীড়ি । সবাকার তরে অন্ন আনিলেন বাড়ি ৷ চৰ্ব্ব চোষ্য লেহ পেয় খাণ্ডাইল সবে । অবাক হঞিয় চন্দ্ৰ মনে মনে ভাবে | দেড় পুস্থা তণ্ডুলের অন্নেতে কেমনে। খাওইল রাসমণি চৌরাশ ব্রাহ্মণে ॥ দেবী কি মানবী কিছু বুঝিতে না পারি। কেমনে চিনিব এবে কি উপায় করি ॥ গেল যবে বন্ধুগণ মাগিয়ে মেলানি । গেল চলি চন্দ্রচূড় যথা রাসমণি ॥ কহিলেন কর ধরি কহ মা রাৰ্মিণ । কোথায় নিবাস তব কে বট আপুনি । হাসিমুখে রাইমণি কহিতে লাগিলা । সামান্য মানবী আমি রজকের বালা ॥ কাপিয়া উঠিল বিপ্ৰ তবু কহে পুন। ব্রাহ্মণের জাতিনাশ তবে কর কেন । সহাস্য বদনে রাই কহিল আবার । সবে কয় গঙ্গাজলে না চলে বিচার ॥ গঙ্গাজলে আমি তব অন্ন রাধি তই । কোন দিকে দোষ তার দেখিতে না পাই । শ্ৰক্ষেত্রে এ কাশী-ধামে জাতির বিচার । যে করে অাছে কি বাবা নিস্তার তাহার ॥ মনে মনে ক্রুদ্ধ হয়ে কহে চন্দ্রচূড়। তা বলে কি বিষ্ঠা হবে মাথার ঠাকুর | সভ্য যদি সে বিশ্বাস আছয়ে তুমীর । বিশ্বেশ্বরে পূজ দেখি সাক্ষাতে আমার । যদি তিনি পূজা তব লন শির পাতি । তাহলে বুঝিব তুমি লক্ষ্মী সরস্বতী । প্রত্যয় না হয় কিন্তু তুমি রজকিনী। তুমি যে মা অন্নপূর্ণ হরের ধরণ ॥ কল্য প্রাতে পরীক্ষা করিবে তোর বাবা । তখন পড়িবে ধরা হও তুমি যেবা ॥ এই কৰ্ম্মে আমি মাগো পাকায়েছি চুল । মোরে যে ভুলতে চাস সেটা তোর ভুল ৷ হাসিতে হাসিতে রাই গেল অপসরি । উঠি বৈসে চন্দ্রচূড় স্মরিয়া শ্ৰীহরি ॥ প্রভাতে উঠিয়া রাই লঞে স্বর্ণঘটে। উপনীত হইল আসি পঞ্চগঙ্গা ঘাটে ॥ সান করি উঠি রাই পাঞ্চিল দেখিতে। আসে ভাসি পুষ্প এক জাহ্নবীর ম্রোতে ॥ অপূৰ্ব্ব সোনার কান্তি পুষ্প মনোহর । ঝাপ দিয়া ধরে রাই বাড়াইয়া কর ॥