পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- * অত্র স্ব। প । SNS8NS মধ্যস্থল দিয়া একটি উচ্চ সোপানশ্রেণী উপরে উঠিয়াছে এবং ইহার বাম ও দক্ষিণ পাশ্বে দুইটি প্রকাও বৃত্তখণ্ড নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইহার উপরেই শকুচ্ছায় পতিত হইয়া থাকে। বৃত্তখণ্ডেও এক সোপান নিৰ্ম্মিত আছে। ইহার উপর দিয়া ছায়ার এক অংশ অতিক্রম করিতে চার মিনিট সময় অতিবাহিত হয়। ইহার সন্নিকটে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র আর একটি ভিত্তি সংস্থিত আছে। ইহার নির্মাণপ্রণালী প্রথম যন্ত্রের ন্যায়, এবং মধ্যে একটি শঙ্কু স্থাপিত ; আর উভয় পার্শ্বে দুইটি অৰ্দ্ধবৃত্ত গঠিত রহিয়াছে। এই ভিত্তির অবতরণ নিম্নের দিকে ক্ষিতিজ ( horizon ) পর্যন্ত চলিয়া আসিয়াছে । সৌর কাল নির্ণয় করাই এই শঙ্কু দুইটির প্রধান উদ্দেশ্য। দিল্লীর মানমন্দিরের নিৰ্ম্মাণপ্রণালী হইতে বর্তমান সময়ে নিম্নলিখিত যন্ত্রগুলি দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে :– ( ১ ) সম্রাটু-যন্ত্র ; ইহা একটি প্রকাগু বিষুবযুদ্ধ । (২) জয়প্রকাশ ; ইহার গঠন দুইটি অৰ্দ্ধবৰ্ত্তলের ন্যায়, ইহা সম্রাটু-যন্ত্রের দক্ষিণে স্থাপিত। ( ৩ ) রাম-যন্ত্র ; ইহার গঠন দুইটি বৃত্তের ন্যায়, ইহা জয়প্রকাশের দক্ষিণে প্রতিষ্ঠিত। ( 8 ) মিশ্র-যন্ত্র ; ইহা সম্রাটু-যত্নের উত্তৰ-পশ্চিমে অবস্থিত। এতদ্ব্যতীত পুরাতন মুঙ্গের ভগ্নাবশেষ-স্বরূপ মিশ্ৰ-যন্থের দক্ষিণ-পশ্চিমে দুইটি স্তম্ভ এবং মিশ্ৰ-যন্ত্রের ঠিক দক্ষিণে একটি মৃত্তিকাস্তুপ লক্ষিত হয়। ১ । সম্রাটু-যন্ত্র-ইহা মানমন্দিরের মধ্যস্থলে নিৰ্ম্মিত । ইহা সৰ্ব্বাপেক্ষী মৃদুত এবং ইহা একটি বৃহৎ যন্থ । ইহার নাম হষ্টতেই বুঝিতে পারা যায় যে ইহার প্রয়োজনীয়তাও খুব বেশী বলিয়া বিবেচিত হইত। ইহার অধিকাংশ ভাগ মুক্তিকপ্রোথিত । ইহা একটি ১৫ ফুট প্রশস্ত চতুষ্কোণ খাতের উপর অবস্থিত ; ইহা ৬৮ ফুট উচ্চ, তাহার মধ্যে প্রায় ৮ ফুট ভূমিগর্তে নিমজ্জিত। ইহার আয়তন পূৰ্ব্ব হইতে পশ্চিম ১২৫ ফুট এবং উত্তর হইতে দক্ষিণ ১১৩ ফুট। সম্রাটযন্থের চিত্রে ইহার অবয়বগুলি বিশেষভাবে প্রদর্শিত হইয়াছে। এই যন্ত্রের প্রধান অংশ একটি বৃহৎ শঙ্কুর অবনত পার্শ্বস্বয় এবং ইহার সহিত সংলগ্ন দুইটি বৃত্তপাদের ন্যায় গঠন । শঙ্কর এক পার্শ্বভাগ উত্তর মেরু নির্দেশ করিতেছে এবং ইহার মুখদেশ পৃথিবীর অক্ষদণ্ডের সহিত সমান্তরাল। বৃত্তপাদ দুইটি শঙ্কুর সহিত সমকোণ ভাবে অবস্থিত। সুতরাং ঐগুলি যে-বৃত্তের অংশ, সেই বৃত্তটি নিরক্ষবৃত্তের সমতলে ( parallel to the plane of the equator) স্থাপিত । કે বৃত্তপাদ দুইটির ব্যাসাৰ্দ্ধ প্রায় ৫০ ফুট এবং প্রত্যেকটির দুই পাশ্বে ছয় ছয় অংশ করিয়া ঘটিক চিহ্নিত করা রহিয়াছে । ইহাতে যথার্থ সময় নির্ণীত হইয়া থাকে। এই যস্ত্রের যে-অংশে শস্কৃচ্ছায়া পতিত হয়, উহার দ্বারা নতঘটি অর্থাৎ মধ্যাহ্ন হইতে কত সময় অতিবাহিত হইয়াছে তাহাই জ্ঞাত হওয়া যায়। মধ্যাহ্নের পূৰ্ব্বে যদি শঙ্কচ্ছায়া দৃষ্ট হয়, তাহা হইলে যে ঘটিকার সময় অবগত হওয়া যায়, তত সময় উত্তীর্ণ হইলে পর মধ্যাহ হইবে ; আর যদি মধ্যাহ্নের পর শঙ্কুচ্ছায় দেখা যায়, তাহা হইলে যে ঘটিকার সময় অবগত হওয়া যায়, তত সময়ের পূৰ্ব্বেষ্ট মধ্যাহ হইয় গিয়াছে । শস্কৃচ্ছায়া ভাল করিয়া দেখিবার জন্য প্রত্যেক দিকে প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত সোপান প্রস্তুত হইয়াছে । স্বর্য্যের শঙ্কচ্ছায়া যেমন স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়, চন্দ্রের শঙ্কচ্ছায়৷ সেইরূপ স্পষ্ট দেখা যায় না , এবং দূরবর্তী গ্রহের বা নক্ষত্রের ছায় আদৌ প্রতিবিম্বিত হয় না। সুতরাং চন্দ্র, গ্ৰহাদি ও নক্ষত্রের মতঘটি পর্য্যবেক্ষণ করিবার ভিন্ন উপায় উদ্ভাবিত হইয়াছে । এই যন্ত্রের উপরে একটি লৌহ তার অথবা একটি সরল নল স্থাপিত করিতে হয়, ইহার একটি প্রাস্ত ধন্থর পাশ্বে থাকিবে এবং অপর প্রাস্ত শঙ্কুর উপরে থাকিবে । পরে ধুতুর পাশ্বে যে প্রাস্তটি অবস্থিত, তন্মধ্য দিয়া দ্রষ্টব্য গ্রহ বা তারকা লক্ষ্য করিতে হইবে। এমন ভাবে লৌহ নলটি স্থাপন করিতে হইবে যে, উহার ঠিক মধ্য দিয়া গ্রহ বা তারকা দৃষ্ট হয়। এই প্রকারে ধন্থর যে পাশ্বটি অন্য পাশ্বটির অপেক্ষ নিম্নে অবস্থিত, তাহার যে চিহ্নটি নলের দ্বারা বিভক্ত হইবে, তাহাই গ্রহ বা তারকার মাধ্যাহিক হইতে নতকাল হইবে ( hour angle ) l goa শঙ্কুর পাশ্বের যে অংশ ধন্সর কেন্দ্র আর নলের প্রাস্তের অস্তরে অবস্থিত, সেই অংশই গ্রহ বা নক্ষত্রের ক্রাস্তির স্পর্শরেখা (the tangent of the declination of the planet or star) সুতরাং নতকাল ও ক্রান্তি এই যমদ্বারা অবগত হওয়া যায়। কোন নক্ষত্রের ভুজাংশও এই যন্ত্রদ্বারা নিম্নলিখিত উপায়ে জ্ঞাত হওয়া অল্পায়াসসাধ্য। সুৰ্য্যের অস্তগমনের সময়ে মাধ্যাহিক হইতে সুৰ্য্যের মতাংশ বাহির করিতে হইবে। এই