পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পশ্চিমের যাত্রী షామ్సvరి CङTछ्रे এতট। দিনট ছিল চমৎকার,–ঝক ঝুকে রোদ র, চারিদিকে বাগানে রকমারি গাছের সবুজ, আর বড় বড় ফুলের রঙের বাহার, নীল আকাশ, পাথার ডাক। প্রত্যেক বাড়ীর চারি দিকে খানিকটা ক’রে বাগান, গাছপালা। এ অঞ্চলটায় নোতুন বসতি হ’চ্ছে—জমী মাঝে মাঝে খালি রয়েছে, অনেক জায়গায় নোতুন বাড়ী উঠছে। এই সুন্দর পাহাড়ে রাস্তায় চালু জমীর উপরে ফ্ৰয়ড-এর বাড়ী । অনেকটা জমী নিয়ে একট। বাগান, তার মধ্যে। রাস্ত আর বাগানের মধ্যে লোহার রেলিং, রেলিং দিয়ে বাগানের শোভা দেখা যায়ু । গোলাপ ফুটে রয়েছে । দশট পচিশে রাস্তায় দাড়িয়ে ফটকের গায়ে লাগানে বিজলী-ঘণ্টার বোতাম টিপলুম ; ভিতর বড় বড় থেকে ঘণ্টা গুনে মুইচ, টিপে ফটক খুলে দিলে । একজন বী বেরিয়ে এসে ভিতরে ডেকে নিয়ে গেল । বাড়ীর পিছন দিকের একট প্রশস্ত দরজা দিয়ে, সরু হল পেরিয়ে, একটা বড় কামরাধ আমায় আসতে ব’ললে । কামরাটাতে বড় বড় জানালা—ত দিয়ে বাইরের সবুজ Tাগান, আর রোদ র দেখা যাচ্ছে । বঁীয়ে আর সামনে জানালা, এমন একটা কোণে এক টেবিলের পাশে চেয়ারে ফয়ুড, 'সে আছেন । ছবিতে চেহারা জান ছিল, চিনতে দেরী ’ল না। অতি শীর্ণকায় জরাজীর্ণ বুদ্ধ, মুখখানাতে স্বাস্থ্যের মলুস নেই, ফেকাসে বা হ’লদে রঙের হয়ে গিয়েছে ; মুখে fাকা দাড়ি-গোফ একটু আছে । তিনি আমাকে দেখেই একঢ় উঠে দাড়িয়ে হাত দিয়ে একথানা চেয়ার দেখিয়ে দিয়ে ংরেজীতেই ব’ললেন, “ক’সো, ঐ চেয়ারে বসে ; ভারতবর্ষে মীমার বন্ধুরা কেমন আছেন ?” বসবার আগে ঘরের মধ্যে ক্ষ্য করলুম, ঘরের টেবিল কয়ট, বিশেয ফ্রয়ড, যে চয়ারে বসে আছেন তার সামনের টেবিলট, যাতে তিনি লখেন-টেথেন, আর তার হাতের কাছে আশে-পাশে -চারটা ছোটে! টেবিল, আর তা ছাড়া ঘরের মধ্যে খি দুই একটী কাচের আলমারী—এ সব, নানা রকমের শল্পময় মূৰ্ত্তিতে ভরা। লেখাপড় করবার টেবিলে iাগজপত্র কিছু আছে, দু’চারখানা ছোটো বড়ো বইও আছে । কিন্তু তার চেয়ে বেশী আছে মূৰ্ছি ; টেবিলের }পরে কতকগুলি র্যাক, থাকে থাকে সেগুলিও মূৰ্ত্তিতে ভরা ।

t --&ు

শিল্পের মধ্যে ছোটে। আকারের কারুশিল্পের যেন একটী সংগ্রহশাল। এইরূপ মূৰ্ত্তিশিল্পের অল্পস্বল্প রসিক আমিও একজন, এই শিল্প-সম্ভারের মধ্যে শাকের ক্ষেতে কঙালের বা বাশবনে ডোমের অবস্থা আমার হ’ল । নানা যুগের নানা জাতির শিল্প দ্রব্য ; প্রাচীন মিসরের দেবতাদের ব্ৰঞ্জে ঢাল বা নরম মৰ্ম্মর পাথরের বা পোড়া মাটীর ছোটো ছোটে মূৰ্ত্তি—ওসিরিস, ইসিস, হাথোর, বিড়ালমুখী সেথ মেং প্রভৃতি দেবতা ; গ্রীসের ছোটো ছোটো ব্ৰঞ্জমূৰ্ত্তি—হেমের্স, আফ্রোদিতে, আথেনা, আর অন্য দেবতা ; প্রাচীন গ্রীসের তানাগ্রা নগরে আর অন্যত্র প্রস্তুত পোড়ামাটার মূৰ্ত্তি,— ক্রীড়ানিরত বা দণ্ডায়মান তরুণী, দেবতা, কতকগুলিকে সযত্নে কাচের আলমারীতে রাখা হয়েছে ; গ্রীসের ত্যনাগ্রার অনুরূপ চীনদেশের থার্ড, যুগের পোড়ামাটর মূৰ্ত্তি—বাদ্য-বদননিরতা চীনা তরুণী, রাজপুরুষ, যোদ্ধা ; চীনা ব্ৰঞ্জে ঢালা বুদ্ধ মূৰ্ত্তি, ওয়েই যুগের, মিঙ যুগের ; গায়ে ছবি-অ্যাক প্রাচীন গ্রীসের কলসী, খাল, বাট-পোড়ামাটর, কতকগুলিতে লাল জমীর উপর কালে রঙে আঁকা দেবতাদের লীলার বা মহাকাব্যের পাত্ৰপাত্রীদের চরিত্রের চিত্র, কতকগুলিতে সাদা জমীর উপর লাল রঙে অণকা ছবি । জিনিসগুলির সব কয়টাই বাছা বাছ, খাট প্রাচীন জিনিস। ব্ৰঞ্জের মূৰ্ত্তিগুলিতে সবুজ রঙের কলঙ্ক পড়ে তাদের প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছে। ভারতবর্ষের দুই একটা পিতলের মূৰ্ত্তিও আছে, কিন্তু সেগুলি খুব লক্ষণীয় নয়। টেবিলের উপরে প্রাচীন মিসরীয়, গ্রীক ও চীনা মূর্তিগুলির মাঝে আর একটা মূৰ্ত্তি দেখলুম, সেট আমার পূৰ্ব্বপরিচিত। এটা একটা প্রায় এক বিঘত উচ, হাতীর দাতে তৈরী, কুণ্ডলী-পাকানো শেষ নাগের উপরে উপবিষ্ট মহাবিষ্ণু মূৰ্ত্তি—নাগের দেহ কুণ্ডলী পাকিয়ে সিংহাসনের স্বষ্টি করেছে, মাগের ফণা রাজাসমে উপবিষ্ট চতুভুজ বিষ্ণুর মাথার উপরে ছত্ররূপে বিস্তৃত হয়ে আছে ; মুটি ত্রিবাঙ্কুরের কারিগরের তৈরী। দক্ষিণ ভারতে ভ্রমণ কালে আমরা ত্রিবাশ্রমে যাই, সেখানে এই রকমের একট মূৰ্ত্তি তৈরী হচ্ছে দেখে, পরে অর্ডার দিয়ে এই মূৰ্চিটীষ্ট করে আনাই ; এত বড় হাতীর দাতের মূর্তি বাঙলাদেশে প্রায় করে না। ফ্ৰয়ড-এর ৭৫ বৰ্য-গ্রস্থি বা জন্মোৎসবের সময়ে ক'লকাতা থেকে গিরীন্দ্রবাবুরা তাকে উপহার স্বরূপ এটা