পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

***** oft» ংক্ৰম ন প । میت و قابت S পাঠান, একটা ভাল জিনিস কিছু দিতে হবে বলে এটা আমার কাছ থেকে এর কিনে নেন। মূল মূর্কিট একটু সাদাসিধে ছিল, মুর্শিদাবাদের এক ভাল কারিগর দিয়ে তার আরও একটু অলঙ্করণ করা হয়, একটা চন্দন কাঠের পীঠ তৈরী করে তাতে এক সংস্কৃত লেথ খুঁ দিয়ে দেওয়া হয় । জিনিসটা পেয়ে ফ্র ড়, খুব খুশী হন, আর এট যে তার ভাল লেগেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল যে তিনি তার বাছ। বাছা গ্ৰীক মিসরী চীনা জিনিসের রেখেছেন । যাক্, একবার চারদিক তাকিয়ে সব দেখে নিয়ে ফ্র ড-এর শিল্পগত-প্ৰাণতার পরিচয় পেলুম,—আমাদের ভাব-সম্মিলনের এক ক্ষেত্র পাওয়া গেল । সঙ্গে সৰ্ব্বদা চোথের সামনে এটাকেও ফ্র ড এর কথা অনুসারে চেয়ারে বসে বললুম, “ধন্যবাদ, বন্ধুর ভাল আছেন, ডাক্তার বোস (গিরীন্দ্রবাবু) আপনাকে তার শ্রদ্ধা নমস্কার জানিয়েছেন, আর একজন বন্ধু অধ্যাপক রঙ্গীন হালদার “কাব্য ও নাটক ষ্টিতে নিজ্ঞান ইচ্ছার প্রভাব’ ('The Work ing of an I neonscious Wish in the Creation of Poetry and Drama ) HR: #f4 gx zz" Aloisiitng পত্রিকায় বেরিয়েছে, তিনিও বিশেব ক’রে র্তার নমস্কার জানিয়েছেন।" তারপরে তাকে বললুম—“আপনি শিল্পরাজ্যের কতকগুলি অপূৰ্ব্ব সুন্দর স্বষ্টির দ্বারা পরিবেষ্টিত হ’য়ে আছেন,—মিসর, গ্রীস, চীন, ভারতবর্ষ—এইসব প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের মধ্যে বাস করছেন ; যদি অল্পমতি করেন, আপনার সংগ্রহ একটু দেখি।” এই কথায় ফ্রমুড, যেন একটু খুশী হ’লেন, হম-দরদী বা সঙ্গমৃভূতির লোক পেলে বাতিকগ্রস্ত লোকেরা খুশীই হয়। তিনি বললেন-“ই, নিশ্চয়ই, আনন্দের কথা, ঘুরে ফিরে দ্যাথে।” আমি জিনিসগুলির সম্বন্ধে যথাজান পরিচয় দিতে দিতে, কখনও কখনও তাকে কোনও জিনিসের প্রস্তুত-কাল জিজ্ঞাসা করতে করতে মিনিট পাচের মধ্যে ঘরের সংগ্রহগুলি একবার দেখে নিলুম। তিনি হাতীর দাতের বিষ্ণু মূৰ্ত্তিটার দিকে আঙল দেখিয়ে বললেন, “ওটা তোমাদের দেশের " আমি বললুম-“ওটকে আমি বেশ জানি ভারতবর্ষ থেকে আপনার জন্মতিথিতে সামান্ত উপহার-স্বরূপ ওট এসেছে ।” তার পরে বসা গেল। ফ্ৰয়ড, দেখলুম কথা কইবার সময়ে ঠিক মত কথা কহতে পারেন না, ডান হাতের আঙল মুখের ভিতরে দিয়ে দাতের মাড় টিপে টিপে কথা কইছেন, এতে করে শুদ্ধ আর উচ্চারণ-ক্কুরুস্ত হ’লেও তার ইংরেজি উক্তিগুলি মাঝে মাঝে ধরা কঠিন হ’fচ্ছল । আমি বললুম-- SKBBB BBBBBBSL BD D iBEB EYSBBKKS যতটা প্রচারিত হয়েছে, যতটা আলোচিত হয়েছে, ততটা খুব কম দেশেই হয়েছে । আপনি অবশু ডাক্তার গিরীন্দ্রশেখর বসুর কৃতিত্ব, আর তার ‘সাম্ভকো-আনালিটিকালসোসাইটি"-র কথা জানেন ।” তিনি আমায় জিজ্ঞাসা করলেন—“তুমি এখন ইউরোপে কি উদ্দেশ্যে ? ভ্রমণ ?” আমি বললুম – “আমি লওনে যাচ্ছি,—জুলাইয়ে লওনে আর সেপ্টেম্বারে রোমে পর পর দুইটী আন্তজাতিক সভা হবে, একটা ধ্বনি-তত্ত্ব সম্বন্ধে, আর একটা প্রাচ্য-বিদ্য। সম্বন্ধে, আমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি-স্বরূপ সেই সভা দুটতে যোগ দিতে যাচ্ছি। তের বছর আগে জায়মানীতে ইটালাতে একটু ঘুরেছিলুম, কিন্তু ভিয়েনা, বুদাপেশ্ৎ, প্রাগ, এ তিনটা জায়গা দেখা হয় নি, তাই এদিকে এসেছি । আমার আলোচ্য বিদ্যা হচ্ছে ভাষা-তত্ত্ব, ব্যসন ই চ্ছে শিল্পকলা , আপনার প্রচারিত তত্ত্ববাদ বা অৰ্থ দৰ্শন-শাস্ব সম্বন্ধে সাক্ষাৎ পরিচয় নেই-বন্ধুগোষ্টিতে চাচাকালে একটু আধঢ় য ও বিষয়ে শুনেছি । শিল্প বা কলা-রস, আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রভৃতির সঙ্গে ধে “স্মর-তা” বা কামাতৃভূতির বিশেষ যোগ আছে, যা নাকি আপনার প্রতিপাদ্য দর্শনের অন্যতম কথা, সে সম্বন্ধে বহু পূৰ্ব্বে আমাদের দেশের জ্ঞানী আর সাধকেরও সচেতন হ’য়েছিলেন ; যদি অল্পমতি করেন, এ বিষয়ে একট প্রাচীন সংস্কৃত শ্লোক পেয়েছি, তার অনুবাদ মূলের সঙ্গে লিখে এনেছি, সেট পড়ে আপনাকে শোনাই।” শ্রীচৈতন্যদেব দাক্ষিণাত্য থেকে “ব্রহ্মসংহিতা” ব’লে একখানি বৈষ্ণব স্তোত্রাত্মক পুথি বাঙল দেশে নিয়ে আসেন, তাতে শুক্লষ্ণ স্তবের কতকগুলি শ্লোক আছে। সেগুলি আমাকে দেখান আমার ভূতপূৰ্ব্ব ছাত্র ও অধুনাতন সহকৰ্ম্মী শ্রযুক্ত মুকুমার সেন ; তার মধ্য থেকে এই শ্লোকটা একখানি খাতায় লেখা ছিল। ফ্রম্ড-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে, এই শ্লোকটী তাকে ভেট দেবে, ঠিক ক’রে এসেছিলুম ; ফ্রয়ড-এর সঙ্গে সাক্ষাতের আগের রাত্রে এটা 시