পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टख्ञTछे “দেবি, আমার মিনতি, এই লিপির অর্থ উদ্ধার করিয়া রাথিয়া দিয়ে ! সদয় উত্তরের আশা রাখি ! তেরুতে-হিমের কথা ভাবিতে ভাবিতে মনে হইতেছে যেন তার কাছে উড়িয়া যাইতে পারি !” লিপিশেষে ওমরাহ-নন্দিনী তেরুতে লেখকের নাম দেখিতে পাইলেন--স্বয়ং ওগুরি-হাঙ্গওয়ান কামেউজি—ৰ্তার নিজের নামও দেখিলেন ; চিঠিখনি তাহাকেই লিখিত । ভেরুতে মহা ফাপরে পড়িলেন, চিঠিপানি যে র্তাহাকেই লেথ সে-কথা গোড়ায় ভাবেন নাই, তাই সর্থীদের কাছে উচ্চকণ্ঠে উহা পড়িয়ছিলেন । এখন উপায় ? তিনি বেশ জানিতেন, কঠিনহৃদয় পিতা এসব কথা জানিতে পারিলে অচিরে তঁহাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করিবেন । তাই, উয়ানোগাহার প্রান্তরের মাটির সঙ্গে মেশার ভয়ে—-সেস্থান ক্রোপোল্মজ্ঞ পিতার ক্যাকে হত্যা করার উপযুক্ত--তিনি চিঠির প্রান্ত দাতে চাপিয়া ধৰিয়া সেখান টুকরা টুকরা করিয়া চিড়িয়া ফেলিয়৷ অন্দরে চলিয়া গেলেন । পক্ষে কিন্তু সওদাগর জানে পত্রের একটা কিছু উত্তর না নিয়া তিতাচিতে ফিরিতে পারে না, তাই চালাকি করিয়া জবাব আদায় করা মনস্থ করিল। দ্রুতপদে তেরুতের পিছু পিছু গিয়া একেবারে অন্দরের কামরায় গিয়া হাজির হইল-চটিজোড় পায়েই রহিল, খুলিয়া রাখারও তর সহিল না । চীৎকার করিয়া সে বলিল— “দেখুন ওমরাহ-নন্দিনি ! আমি শুনেছি লেখার হরফ ভারতবর্ষে আবিষ্কার করেন মোগ্লু বোসাস্থ আর জাপানে করেন কোবোদাইশি ! এমন ক'রে চিঠিখান ছিড়ে ফেলা সেই কোবোদাইশির হাত ছিড়ে ফেলারই মত নয় কি ? স্ত্রীলোক কি পুরুষের সমান ? তবে আপনি পুরুষের চিঠি ছেড়েন কোন অধিকারে ? আপনি উত্তর লিখে দিতে অস্বীকার করলে এখনি ডাকবে সমস্ত ঠাকুর-দেবতাকে ; তাদের কাছে জানিয়ে দেব আপনার স্ত্রীলোকের অযোগ্য আচরণের কথা ; আপনার ওপর তাদের অভিসম্পাত ডেকে আনবো ।” এই কথা বলিয়া সে তার বক্সর ভিতর থেকে জপমালা 있-- ওগুরি-হাঙ্গওয়ান Ro్స বাহির করিয়া বিষম ক্রোধের ভান করিয়া ঘুরাইতে স্বরু করিল। ক্রস্ত বিমূঢ় ওমরাহ-নন্দিনী ব্যাপারটা জানাজানি হওয়ার ভয়ে সওদাগরের মুখ বন্ধ করার জন্য তখনই পত্রের উত্তর লিথিয় দিবার প্রতিশ্রুতি করিলেন । 8 অতি দ্রুত ভ্রমণের ফলে সওদাগর সত্বর হাঙ্গওয়ানভবনে আসিয়া পৌছিল। পত্রের উত্তর তার হাতে দিল । আনন্দকম্পিত হস্তে চিঠির খাম খুলিয়া ফেলিয়। তিনি কেবল এই কথাকয়টি পড়িলেন—“ওকি নাক বুনে” অর্থাৎ সম্মুখে ভাসমাল লোক ! কানেউজি তার অর্থ অনুমান করিলেন এইরূপ-- “সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য সকলেরই ভাগ্যে ঘটে, ভয় করিও না, অলক্ষ্যে আসার চেষ্টা করিবে !” ইকেলোসোজিকে ডাকিয়া তিনি দ্রুত ভ্রমণের আয়োজন করার আদেশ দিলেন । সওদাগর পথ দেখাইতে রাজি হইল । সোব-জেলায় পৌছিয়া তার যখন ওমরাহ-নন্দিনীর ভবনের দিকে চলিয়াছে তখন সে কুমারকে বলিল— “ঐ যে সামনে কালে ফটকের বাড়ি দেখছেন, ঐটি হ’ল বিখ্যাত য়োকোয়াম চেজার ভবন ; আর উত্তরে ঐ যে আর একথান বাড়ি দেখছেন, লাল ফটকের, ঐ হ’ল ফুলের মত সুন্দরী তেরুতের ভবন । সাবধানে বুঝেশুঝে চলবেন তাহলেই সফল হবেন”— এই কথা বলিয়া পথ-প্রদর্শক বিদায় লইল । বিশ্বস্ত অনুচরের সঙ্গে হাঙ্গণ্ডয়ান তখন লাল ফটকের দিকে অগ্রসর হইলেন । ফটক পার হইতে উদ্যত দেখিয়া প্রহরীর দল হুঁ-হুঁ! করিয়া উঠিল । কে হে তোমরা, যাও কোথা ? তোমাদের সাহস ত কম নয় ! ধনী য়োকোয়ামার নাম শোন নি ? তারই একমাত্র কন্যা তেরুতে-হিমের এই প্রাসাদ --স্যদেবের কৃপায় র্যার জন্ম ! অনুচর উত্তর দিল—“তোমরা ঠিকই বলছে! কিন্তু তোমাদের জানা দরকার, আমরা রাজকৰ্ম্মচারী, শহর থেকে