পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* --- टएछTछे দুই বোনে এসে ঘরে ঢুকল, সঙ্গে প্রাতরাশের আয়োজন। দুর্গ কোন দিকে না তাকিয়ে নিবিষ্টমনে চ ঢালছে, ধেন সেখানে একটিও মানুষ নেই-ঠাকুরঘরে নিতান্তই সাত্ত্বিকভাবে লোকে যেমন নৈবেদ্য সাজিয়ে যায়, ঠিক তেমনি। গরম চী এক চুমুক খেয়ে সুধানাথ দিনের বেল ভাল ক’রে মেয়েটির দিকে তাকাল। মুখখান কচি কচি ৷ বয়স যা, মুখভাবে তার চেয়ে ঢের বেশী কোমল দেখায়,--বুদ্ধির অপূৰ্ব্ব দীপ্তিতে সমস্ত মুখ ককমূহ করছে। কাল রাত্রে কথাবার্তার ধরণে এক-একবার মনে হয়েছিল শক্তিমান প্রতিপক্ষ ; এখন সকালের আলোয় বোঝা গেল, এ ছেলেমানুষের সঙ্গে তর্ক করা হাস্যকর, একে কেবল ক্ষেপিয়ে মজ দেখতে হয় । নীরদ বলল—চ রেখে দিলে যে— হাসি চেপে মুখটা বাকিয়ে মুধানাথ বলল—খাওয়া যায় না। কোন দোষ হয়ে গেছে ভেবে দুর্গ সত্য সত্য অপ্রতিভ হয়ে উঠেছে। নীরদ আবার টিপ্পনী কেটে বলল—চিনির বদলে ময়দা মিশিয়ে দাও নি ত, দিদি । যে শুভক্ষণে তোমার দেখা ! দুর্গ চোখ তুলে দেখে, দু-জনে মুখ টিপে হাসছে। বুঝল, সব মিথ্য ; দু-ভাই ষড়যন্ত্র করে তাকে অপদস্থ করতে লেগেছে। রাগের বশে আর তার কাগুজ্ঞান রইল না— স্বধার অল্পখাওয়া চায়ের বাটি নিয়ে দিল এক চুমুক। বলল— এমন মিথ্যক সব। দোহাই দিদি, দেখ–চেখে দেখ একটা বার— নীরদ হে হে ক’রে হেসে হাততালি দিয়ে উঠল — দুর্গাদেবী, তোমার পক্ষে ঐ চ মহাপ্রসাদ—অমৃত সমান। কিন্তু তোমার দিদি-বলি, তুমি খেতে পার বলে ও খায় কেমন ক’রে ? দুর্গ আরও ক্রুদ্ধ হয়ে ঘাড় নেড়ে বলল-খেয়েছি, বেশ করেছি। এক-শ বার খাব ৷ কাল থেকে লেগেছেন সব । মিথোনিন্দে–মিথ্যে কথা—গালাগালি— দ্রুতপদে সে ঘর ছেড়ে চলল। লীলা ডেকে বলল—আর এক কাপ চা নিয়ে আয়, লক্ষ্মী দিদি । ঠাকুরপোর খাওয়া হ’ল না । দুর্গ ঝঙ্কার দিয়ে চলে গেল—ইঃ, আমার বয়ে গেছে । খাওয়া হ'ল না হ’ল•••ভারি ত আমার ! a切ー。 সপাঘাত R$h একটু থমথমে ভাব ঘরের মধ্যে। তার পর সুধানাথ হেসে বলল—বৌদিদি মনে মনে চটে যাচ্ছেন -“কোথাকার উড়ো আপদ এসে বোনকে জালাতন করছে— লীলা বলল-বৌদিদির জালাটাই বড় কম কিনী । ও তোমাদের পুরুষ-মানুষের ধরণ। জিজ্ঞাসা কর তোমার ঐ দাদাটিকে। আমি ভাল মানুষ, তাই সয়ে যাই । বোন আমার ব৬৬ রাগী। তার পর হঠাৎ জিজ্ঞাস করল—আচ্ছা ঠাকুরপো, তুমি বিয়ে করবে না ? স্বধানাথ বলল—তার চেয়ে জরুরি দরকারে এসেছি, বৌদিদি। বিয়ের ঢোল দু-দিন পরে বাজলে চলবে ; কিন্তু নিলামের ঢোল-সহরং সবুর মানবে না। নীরদ অভয় দিয়ে বলল—কুছপরোয় নেই। সে ভাবনা আমার। বুড়ে হাকিমটা বড় ভালমানুষ...বুঝিয়ে-মুঝিয়ে তোমার পুনর্বিচারের দরখাস্ত ঠিক মঞ্জুর করিয়ে দেব। স্বধা বলল—এদিককার হাকিমও ভালমানুষ, কিন্তু বড় কড়া। তাহলে কাছারীর সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হয়ে এদিকে সাধ্যসাধনা স্বয় ক’রে দিই—কি বল ? আনন্দের হাসিতে লীলা ও নীরদের মুখ উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। লীলা বলল—সত্যি ঠাকুরপো, তুমি আমার বোনকে পায়ে নেবে ? মা-বাবা নেই তাই বড় অভিমানী ; নইলে— সুধা কথাটা শেষ করতেই দিল না –পায়ে ? কি ষে বল, বৌদিদি ! শিবের মাথায় সাপ...তাই রক্ষে । পায়ে থাকলে—সৰ্ব্বনাশ ! ভাবতেও ভয় লাগে— হাস্তের তরঙ্গে সমস্ত ঘর ভাসিয়ে লীলা বেরিয়ে গেল । মিনিট-ছ'য়ের মধ্যে আবার চা এল। এবার নূতন ব্যবস্থা। কালীপদর হাতে সমস্ত সরঞ্জাম—সে-ই তৈরি করতে লাগল—দুর্গ আলগোছে পিছনে, নিতান্ত নিরপেক্ষ দর্শকের মত। হঠাৎ সে ই ই ক'রে উঠল—ওরে বেকুব, থামৃ থামৃ—আগে জামাইবাবুকে দিয়ে পরখ করিয়ে নে । চিনি না ময়দা । দুধ না খড়ি-গোলা –জানিস নে, পাড়াগায়ের লোক—এর দিনকে রাত করতে পারেন। থোসামোদ করলে গোলমালটা যদি মেটে, সেই ভরসায় স্বধানাথ বলল—দাদ, এইটুকু মেয়ে কলেজে পড়েন ? খুব আশ্চৰ্য্য ত ! নীরদও বোধ হয় সন্ধির প্রত্যাশী। বলল- দুর্গা