পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سsb جا দিদি আমাদের বড় ভাল মেয়ে। কলেজে যায়, টি গোনমেটি, কযে, কাগজে গল্প লেখে, ডিবেটিং ক্লাবে বক্তৃতা দেয়, আবার ফাষ্ট-এড ও পাস করে বসে আছে। প্রশংসমান চোখে স্বধ মেয়েটির দিকে তাকাল। দুর্গ তখন অবিকল নীরদের স্বর নকল ক'রে বলতে লাগল—এবং চোখ দিয়ে দেখে, কান দিয়ে শোনে, নাকে নিঃশ্বাস নেয়— কিন্তু অবাক হয়ে দেখবার কি আছে, জামাই বাবু ? —বিশ্বাস হয় না। এক মুহূৰ্ত্তে সুধানাথের মনের সয়ুতানটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সে ঘাড় নেড়ে বল্ল—কিছুতে বিশ্বাস হয় না । আচ্ছা, টিগেনেমেটি, যে কষেন—বানান করুন দিকি টিগেনেমেটি, ! সপ্রতিভ কণ্ঠে দুর্গ বলল—ডি-ও-এন-কে-ই-ওয়াই— পিছনে হাসির হুল্লোড়। দুর্গ ছুটে পালিয়ে গেল। মামলার ইতিহাসটা মুখে মুখে বলে অত:পর সুধানাথ দলিলপত্র নিতে ভিতরে এসেছে। তারই সম্বন্ধে কথা চলছে শুনে দালানের কোণে কৌতুহলী হয়ে দাড়াল । দুই বোনে আলোচনা-অবস্থা ইতিমধ্যেই সঙ্গীন হয়ে উঠেছে। দুর্গা বলছে—এক ফোট মেয়ে...এইটুকু মেয়ে.খুকী, খুর্কী-যেন আদ্যিকালের বদি বুড়োর এসেছেন সব। কথায় কথায় যারা ইনসালট করে তাদের সঙ্গে.-দিদি, তোমার আর কাজকৰ্ম্ম নেই ? লীলা বলল—এই নাকে থং দিচ্ছি, আর বলব না । মুদ্ধিজ্ঞান হয়েছে, নিজের ভালমন্দ বুঝতে শিখেছ । বেশ ত, যা ভাল হয় কর । কিন্তু এ-ও বলে দিচ্ছি, আমন পাত্র তপস্ত} ক'রে মেলে না । ব্যঙ্গের স্বরে দুর্গা জবাব দিল—পাত্রটা খুব ভাল। ঠঙঠঙিয়ে বাজে। ঐ আওয়াজ শুনেই তোমাদের তাক লেগে গেছে, কিন্তু আসলে শূন্যকুম্ভ— লীলার রাগের আর সীমা রইল না। বলল--অত দেমাক ভাল নয়। রূপ-গুণ, ধনদৌলত এমন কটা মেলে ? নিজের দিকে চেয়ে কথা বলতে হয়, তবু যদি রংটা কটা হ’ত ! এটো পাতের ধোয় স্বগে যাবে না, জানি। আমরা করলে কি হবে – প্রবাসী NరిgNE মেয়েটি শু্যামাঙ্গী। ব্যথার জায়গায় আঘাত পেয়ে সে একেবারে ক্ষেপে উঠল।–চাই নে রূপ, মাকাল ফলের কোন দরকার নেই। আর গুণের পরিচয় ত কাল আসা থেকে মুরু হয়েছে। থামক এসেই ভদ্রমেয়ের গা-ঘেযে অপমান করতে পারে যে—চিরজন্ম আমি অগস্তাকুড়ে পড়ে থাকব, --অমন স্বৰ্গ আমি চাই নে কোন দিন— শেষদিকটায় স্বর অস্বাভাবিক বিকৃত । বোধ করি কান্ন চাপতেই সে ছুটে বেরুচ্ছিল, হঠাৎ বজ্রাহতের মত থমকে দাঁড়াল,—সামনে মুধানাথ। তার দৃষ্টি অর্কুসরণ ক’রে লীলাও শুস্তিত হয়ে গেল। অপমানে সুধানাথের মুখ কালিবর্ণ হয়ে গেছে । লীলা তাড়াতাড়ি বলল—ঠাকুরপে, এখানে ? সুধানাথ বলল—ষ্ট্য বৌদিদি, দৈবাৎ এসেছি । আমার সম্বন্ধে সুখকর সমস্ত আলাপ কানে গেছে । জবাব দেবার জন্য দাড়িয়ে আছি । লীলা তাড়াতাড়ি বলল--কিছু মনে ক’রে না, ভাই । ও একটা পাগল । সুধানাথ বলল—তবু সাফাই দেবার প্রয়োজন । কাল হঠাৎ ওর কাছাকাছি গিয়ে দাড়িয়েছিলাম সত্যি, কিন্তু সেটা জেনে-শুনে নয়— লীলা বলল—তার আবার বলবে কি ঠাকুরপে,— আমরা কি জানি নে ? স্বধা বলল- তোমরা জানলেও, ওঁর নিজের একটু ভাল ক’রে জানা দরকার -আমি আমার নিজের মুথই আয়নায় দেখতে গিয়েছিলাম। ওঁর মুখ উণ্টো দিকে ফেরানো ছিল, সুমুখে থাকলে আপন থেকেই এক-শ হাত তফাতে থাকতাম। নিজের সস্বন্ধে ওঁর বড় অনর্থক গৰ্ব্ব । সেটা ভাল কথা নয়। খোলাখুলি বলে ফেললাম। অপরাধ নেবেন না, বৌদি। চোখ তুলে উভয়ের মুখে দুর্গ একবার তাকাল । ওষ্ঠ থর থর করে কঁপিছে, কিছুই সে বলতে পারল না। টলতে টলতে থাটের উপর মুখ গুজে পড়ল। সুধানাথ নিৰ্ব্বিকার গম্ভীর ভাবে বেরিয়ে গেল। রাগ কমলে তখন মুধানাথের অতুতাপ হ’তে লাগল।