পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टेछTळे রক্ত চুষে ফেলে বললে—ঠিক বলেছ ঠাকরুণ,--বিষ নেই। এবার খুলে দেওয়া হোক।--তবে নজর রেখে রোগী যেন ঘুমোন না। বঁধন খুলে আর একবার সকলকে সাবধান থাকতে ব’লে যোগীন বিদায় হ’ল । সুধানাথের পা যেন অসাড় হয়ে গেছে। এদিকে ছেলে কাদছে, লীলা যেতে যেতে বলল—তুই কোথাও যাস নে দুৰ্গ গা...আর দেখবি, ঠাকুরপো ঘুমোয় না যেন । দুর্গা হেসে ফেলে বলল—ত পারব। খুব-খুউ-ব পারব। সুধানাথও বলল—আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে যান বৌদি, তা উনি খুব পারবেন। এক্ষুনি এমন ঝগড়া শুরু করবেন যে ঘুম ত্রিসীমানায় ঘেষতে পারবে না।– বৌদিদি ততক্ষণে অদৃপ্ত হয়েছে । দুর্গ বলল—ঝগড়া করতে যাব কোন দুঃখে । চিমটি কাটতে হয়-পচা অামানি খাওয়াতে হয়—দরকার হ'লে আরও গুরুতর অনেক কিছু প্রয়োগ করবার বিধান আছে— সাপের কামড়ের ঐ ব্যবস্থা । —আজ্ঞে না । সুধানাথ মহাবেগে প্রতিবাদ ক’রে উঠল –ওটা ভূতে-পাওয়ার ব্যবস্তা, সর্পাঘাতের নয়। আপনার ফাষ্ট-এডের যত বড় সার্টিফিকেটই থাকুক, এ-কথা আমি এক-শ বার বলব । দুর্গ বলল—ত হ’লে খুলে বলি—আপনাকে ভূতেই পেয়েছে, সর্পাঘাত মিছে কথা । —মিছে কথা ? —ষ্ঠ্যা । এবং হচ্ছে ক’রে লোক ঠকানো । জুয়োচুরি । সাপের দাতের দাগ ও নয়— –তাই যদিই হয়.সাপ অবশু আমি চোথে দেখি নি .. ধরুন, শামুকে কাটতে পারে, কাটার খোচা লাগতে পারে •••কত কি হ’তে পারে ; কিন্তু ইচ্ছে ক’রে জুয়োচুরি এর প্রমাণ কি ? — ওটা ক্ষুরে কাটা—আপনারই দাড়ি কমানে ক্ষুর— স্বধানাথ তর্ক ছাড়ে না। তাই-ই যদি হয়.স্কুরে অজান্তেও কাটতে পারে । আমার দোষ কি ? —দোষ আপনার নয়, ঘাড়ের ভূতটার । দাড়ি কামাচ্ছিলেন, সেই সময় সে-ই সম্ভবত মতলব দিয়েছে, পায়ে তার মানে সপণঘাভ ২ই ১ ক্ষুর বসিয়ে দেবার । ভাবলেন, রক্তপাতের ফলে হয়ত স্বরাহ হয়ে যাবে। কিন্তু এ ত ভাল কথা নয় । স্বধানাথ বলল--কি ভাল নয় ? ভূত না ক্ষুর বসানো ? —দুই-ই। জানেন, কত সহজে সেপটিক্‌ হয়ে যেতে পারে। নিজের পায়ে নিজে ক্ষুর বসালেন,—আপনি ডাকাত । –চোর, জুয়োচোর, ভূতগ্ৰস্ত এবং ডাকাত। ভূত তাড়াবার জন্য আপাততঃ চিমটি ও পচা আমানি...প্রয়োজনমাফিক আরও গুরুতর ব্যবস্থা প্রয়োগ— রোগ-নির্ণয় এবং চিকিৎসায় আপনার জুড়ি নেই, এ-কথা মানতে হবে। যশ-গৌরব মেয়েটি অতি সহজে হজম ক’রে নিতে পারে। বড় বড় চোখ মেলে সে বলল—তা ঠিক । সবাই ওকথা বলে থাকে। নইলে ফাষ্ট ক্লাস সার্টিফিকেট পাওয়া যায় কখনও ? একঢ় চুপ ক’রে থেকে মৃধানাথ নিঃশ্বাস ফেলে বলল— আচ্ছা, মানলাম ভূত। কিন্তু তাকে তাড়াতেই হবে, এই কি আপনার ইচ্ছা ? দুর্গ মুহূ হেসে বলল—তা ছাড়া উপায় কি বলুন। ভস্ত্রলোকের ছেলে কুটুম্বের বাড়িতে এসে এই বিপদ । এদের কৰ্ত্তব্যই ত আপনাকে নিরাময় ক’রে তোলা । —ওঁদের কথা জিজ্ঞাস্ত নয়, জিজ্ঞাসা আপনার বিষয়ে । •••আচ্ছা দুর্গারাণী, হোষ্টেলে থাকেন, ঝগড়া করেন কার সঙ্গে ? মেয়েতে মেয়েতে স্থবিধে হয় কি ? সেখানে ত শুনেছি, সহজে জেতা যায় না । দুর্গ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলল—পুরুষেরই বা অভাবটা কি ? ভ্যাবল ব’লে চাকর অাছে একট— —এমন ত হ’তে পারে, ভ্যাবলার চাকরি থাকল না । কিংবা ধরুন, সে ছুটি নিয়ে দেশে চলে গেল।-চাকর বই ত লয় ? —ত হ'লেও ঠাকুর আছে । তার নাম হনুমানপ্রসাদ । চলে যায় এক রকম ---অস্থবিধে যা-কিছু, কেমিষ্ট্রির টাস্কৃ নিয়ে.ফরমূলা দেখলেই কেমন মাথা গোলমাল হয়ে যায়— —তবেই দেখুন, মুস্কিল কত। একদৃষ্টে ক্ষণকাল দুর্গার দিকে চেয়ে মৃধানাথ কি দেখল, কে জানে। তার পর মৃদুভাবে একটু হেসে বলতে লাগল— আচ্ছ, বিবেচনা করা যাকৃ, যদি, কিছু উৎকৃষ্টতর ব্যবস্থা করা যায়। অর্থাৎ ঝগড়া করবার