পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ মানুষের মন R.8S〉 মজাট। যে কি অপরূপ হবে এই চিন্তু ক’রেই তার মণ্ডলাকার বদনপিণ্ড উদ্ভাসিত হয়ে উঠছিল। পিছনে পায়ের শব্দ হঠাৎ থেমে যাওয়ায় ভোলানাথ পিছন ফিরতেই দৃশুটি তার চোখে পড়ল, এবং ব্যাপারটি বুঝে নিতে তার মুহূৰ্ত্ত মাঘ বিলম্ব হ'ল না । সৰ্ব্বনাশ ঘটতে আর বড় বেশী দেরি ছিল না। অজগরশিশু আহত হ'লে তার মায়ের দুঃসহ ক্রোধ যে কোন শাখাপত্রাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের গর্ভ হ'তে অকস্মাৎ আক্রমণে বজ্রের মত তাদের উপর এসে KBB BBS BBS BBB BB BB S BBBBS BBBB BB মুহূৰ্ত্তমাত্র বিলঙ্গ করলে না। সাপের মত নিঃশব্দ দ্রুতগতিতে গিয়ে বজমুষ্টিতে একহাতে সিংঙ্গীর গ্রীব এবং অন্য হাতে কুকুবাম্বুদ্ধ তার ডান হাতখান চেপে ধরে প্রায় মাটি থেকে তাকে শস্যে তুলে, ঝ"কি দিয়ে গর্জন ক'রে উঠল, “ব্যাট হঠুমান, নিজে মরবি, আর সকলকে মারবি ? রসিকতার আর জায়গা পাস নি ? যমের বাড়ি যাবার আর পথ পায় নি । পাঠাচ্ছি একেবারে সিধে পথে । ব্যাট মৰ্কট ।” ভোলামাথেৰ ঝণপুনি থেয়ে তখন গুপর্ণপুণের আত্মারাম সূibi "ষ্ট হবার ৫ে ফুেটে । ( ১১ ) শচীন্দ্রনাথ ব্যাপারখান। ঠিক ঠাহর করতে পারে নি । একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলে, “কি ভোলাদ, ব্যাপার কি ?” ভোলানাথ বললে, “ব্যাটাকে আজ যমে ধরেছে বাবু—” কথাটা শেষ করতে না দিয়ে শচীন্দ্র রহস্য ক'রে বললে, میب-٤٤ ত তে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু হ’ল কি ? ওর অপরাধটা কি হ’ল ?” f “অপরাধ ! ব্যাট মরবার রাস্ত খুজে বেড়াচ্ছে । ত৷ স্বরবিত ব্যাট নিজে মর, আমাদের মৃদ্ধ শেষ করেছিল স্নার কি। ঐ বেরং সাপের খপ্পরে পড়লে কি আর কারও క్షా ছিল ? চল ব্যাট তোকে বেঁধে রেখে আসি বেঞ্চিটর টুপীয়ায় । সাপের ল্যাজে বাড়ি দেবার সাধ মিটবেখন।’ বলে আর এক ঝণকি দিল তার ঘাড় ধ’রে । তখনও শচীন্দ্র ব্যাপারটা ঠিক আঁচ করতে ন পেরে ব্যস্ত হয়ে বললে, “আরে, কর কি ভোলাদ, ছাড়, ছাড়, k * >一>。 পাহাড়ে লোক ; তায় নতুন মাহুষ, ওর কি কাণ্ডাকাণ্ডি জ্ঞান আছে ? গোথরে সাপ বুঝি ?” “ন। বাবু, অজগরের ছ। ঐ খেলে ঐ ঝোপে অজগরের বাস আছে। সোদর বনে আমি আমন আরও দেখেছি । ভয়ানক জানোয়ার ; বাঘে পার পায় না বাবু।” শচীন্দ্রনাথের একটু ভয়ই হ’ল মনে মনে । বললে, “জন দুই লোক আর দুটো মশাল বেশী নিলে হ’ত ” “না বাবু, সে ভয় নেই। না রাগলে, ওনারা মাটির মানুষ । তবে হ্য, ক্ষেপলে একেবারে সাক্ষেত যম ।” মলে মনে ভয় হ’লেও শচীন্দ্র আর বেশী বাক্যব্যয় না করে চারি দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে লাগল। ভাবলে এর চেয়ে নৌবিহারের প্রস্তাবটা নিতান্ত মন্দ ছিল না ; গুর্থাবার বাকি থেয়ে মনে মনে বৃদ্ধের বাহুবলের তারিফ করতে করতে পিছনে পিছলে পোষা কুকুরটির মত চলতে লাগল । সম্প্রতি তার উপর দিয়ে যে কিছুমাত্র দুর্ঘটনা ঘটে গেছে তার চিহ্নমাত্র তার ল্যাপ পোছা মুখে খুঁজে পাবার জো নেই । বিস্তর খোজাখুঁজির পর তারা ইট দিয়ে বাধানে পথের মত একটা কিছু বীর করতে পারলে । কিন্তু জঙ্গল মা কাটলে সে পথ দিয়ে এক পাও এগনে চলে না । অনেক পরিশ্রমে দা ও ভোজালীর সাহায্যে একটু একটু ক’রে জঙ্গল সাফ ক'রে ক’রে তার অগ্রসর হ'তে লাগল এবং গলদঘৰ্ম্ম হ’য়ে অবশেষে সেই আটালিকার নীচে সিঁড়ির কাছে গিয়ে উপস্থিত হ’ল । চারি দিকে ঘোরানো বরান্দা । সেই বারান্দা দিয়ে গিয়ে এক কোণে দোতলায় বাবার সিড়ির দরজা । দরজা খোলীই ছিল । সাবধানী ভোলানাথ বললে, “বাৰু, এখানে মানযের যাতায়াত আছে।” এই বলে দরজার কাছে এগিয়ে গেল এবং হঠাৎ কি দেখে থেমে বললে, “এই যে বাবু বেশীক্ষণ হয় নি এখানে দরজার শেকল ভেঙে লোক উপরে গেছে । এই দেখুন বাবু জুতোর দাগ ।” শচীন্দ্র একটু চিন্তিত এবং অত্যন্ত আশ্চৰ্য্য হয়ে দেখলে সত্যিই জুতোর দাগ। বড় ভারি, কাদাজলমাথ জুতোর সদ্য চিহ্ন। শুধু তাই নয়। প্রকাণ্ড তালাটা ন৷ ভেঙে শিকলের হলকাটা উপড়ে ফেলেছে। অদ্ভুত বটে। আর