পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ পাশাপাশি 2.8"。 তবে আক্ষেপের বিষয় এইটুকু যে, স্থাবরপন্থী মহাশয় যখন রাষ্ট্রনীতি-ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পাবার জন্যে আপস-আপ সি করেন, তখন তার এ-খেয়াল হয় না যে, দেশের ছেলেদের কচি বেলায়, যখন তারা সব রকমের ভাব সহজে নিতে পারে, হজম করতে পারে, রক্ত-মাংসে মিশিয়ে ফেলতে পারে, তখন বন্ধ-থাকা শরীর, খাটে-করা মন, ঢাপ-পড়া প্রাণ, নিয়ে তাদের সেই অভাগিনী মা স্বাধীনতার স্বরূপ কেমন করে ঠিক মত চিনিয়ে দেবেন ? আসলে ঘটে উল্টোটাই । অন্দরমহলের অন্ধকারে জন্মান যতকিছু অকারণ ভয়-ভাবনার, অন্যায় বিদ্বেষ ভেদ-বুদ্ধির বীজ তাদের নরম মনে পুতে দেওয়া হয়, যেগুলি তাদের বড় বয়সে অবিচার, অসদ্ভাব, দলাদলি, ঝগড়াটে-পণ প্রভৃতি কঁাটাগাছ হ’য়ে দেখা দেয়, যার জালায় আমাদের কোন স্বদেশ অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান মাথা-ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারে না,--জাতীয় একতা ত দূরের কথা। এই সব বিস্ত্রের পিঠে বিঘ্ন জুটে দেশে যে বিয-চক্রের হষ্টি হয়েছে, সেটা ভেঙে দেবার পক্ষে আমি ত মনে করি সহশিক্ষা একটা মস্ত উপায়। আমরা জানি ব'লেই যারা জানেন না তাদের জোর করে আশ্বাস দিতে পারি যে, পরস্পরকে একই রকমের মানুষ ভাবে দেখার খোলা হাওয়ায় বেড়িয়ে যে-সকল নর-নারী একবার আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য উপভোগ করেছেন, তারা কোন প্রলোভনেই আর ভেদ-ঘেরা কোটর-কুঠরির বদ্ধ বাতাসের মধ্যে ফিরে ঢুকবেন না । যতখানি বলা হ’ল তাতে আপনাদের সময় নষ্ট হ'য়ে থাকতে পারে ; আশা করি ধ। যা বলা গেল তাতে কারও মনে কষ্ট দেওয়া হয় নি ॥৬

  • বিশ্ববিদ্যালয়ে নব্য-শিক্ষ-সংস্থা স্ত বিবিধ-প্রসঙ্গ আলোচনা-স্থলে

ইহু!র ইংরেজী অনুবাদ পgা হয় । পাশাপাশি “বনফুল" y কাগজ পড়িয়া, ত{স পরনিন্দ করিয়া থেলিয়া, আড় করিয়া হয়রান বসিয়া, গুইয়া, দিয়া, পরচচ্চ ও হচয় গেলাম । শান্তি পাইতেছি না। আসল কারণ অর্থাভাব। আমার যাহা করিবার তাহা করিয়াছি। পরাক্ষ পাস করিয়াছি, বহুস্থানে চাকুরীর জন্য দরখাস্ত দিয়াছি--এমন কি কিছুদিন ইনসিওরেন্সের দালালিও করিয়াছি- কিন্তু কিছু হয় নাই। অবশু এখনও অনেক কিছু করার বাকী আছে। ষ্টেশনারি দোকান বা মুদিথান, অস্তত: পক্ষে একটা পান-বিড়ির দোকান খুলিয়া একবার চেষ্টা করিয়া দেখিব ভাবি, কিন্তু-আঃ মাছির জালায় অস্থির ! যেই একটু গুইব ঠিক চোথের কোণটিতে আসিয়া বসিবে। এত মাছি আর এত গরম । স্বস্থির হইয়া যে একটু চিস্তা করিব তাহার উপায় নাই । উঠিয়া বসিলাম । এই দারুণ দ্বিপ্রহরে ঠায় বসিয়া চিন্ত করাও ত মুস্থিল । শুইলেই মাছি ! হাতে পয়সা থাকিলে মাছি মূরিবার আরব ছিটাইয়া খানিক ক্ষণ স্থির হইয় চিন্তা করিতাম। আপনার হয়ত হাসিতেছেন এবং ভাবিতেছেন “আচ্ছা চিন্তাশীল লোক ত!” পেটের চিস্তার মত এত সহজ অথচ জটিল চিন্তা আর নাই। দিন-রাত সেই চিন্তাই করিতেছি । আমি চিন্তাশীল নহ, চিস্তাগ্রস্ত । --...-ঠিক করিয়া ফেলিলাম। কলিকাতা, যাইব । কলিকাতায় গিয়া প্রাণপণ চেষ্টা করিয়া দেখিব। এই পল্লীগ্রামে পড়িয়া থাকাটা কিছু নয়। দোকানই যদি করিতে হয় কলিকাতাই বেস্ট্র ফিল্ড ! চাকুরীও জুটিয়া যাহতে পারে। কিছুই বলা যায় না। এত কাল শুধু ঘরে বসিয়াই দরখাস্ত করিয়াছি। আপিসে আপসে ঘুরিয়া বেড়াইলে একটা কিছু জুটিয়া যাওয়| অসম্ভব নয় । কলিকাতা যাওয়াই ঠিক । পৰ্ব্বদিন সকালে বাবার রুপার গড়গড়াটা লইয়া বাহির হইয় পড়িলাম । বাধা দিয়া কিছু অর্থ সংগ্ৰহ করিতে অর্থ না লইয়া কলিকাত যাওয়ার কোন অর্থ হয় রুপার গড়গড়া শুনিয়া আপনার ভাবিবেন না যে হইবে । নী ৷