পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀնՆ প্রবাসী ゞ98N? ৬। কত দিনাস্তরে সামন্তরাজ মেদিনীপুরে এক ম্লেচ্ছ ভূপতিকে ভেটিলেন, বাসলী স্লেচ্ছ ভূপতির বদনে বসিয়া রাজাকে ‘খালাস’ দেওয়াইলেন। মেচ্ছ ভূপতি আরও অনেক রাজাকে ধরিয়া লইয়া গিয়াছিলেন। তাহারাও মুক্তি পাইল। [ পদ্মলোচন লিখিয়াছেন, এক মেচ্ছ ভূপতি ছাতনার রাজা হামীর-উত্তরকে পাশ-বদ্ধ করিয়া ধরিয়া লইয়া গিয়াছিলেন, বাসলী রাজাকে রক্ষা করিতে অশ্বারোহণে আগে আগে চলিয়াছিলেন। পথে এক গোয়ালিনীর নিকট দুগ্ধ পান করিয়াছিলেন। বাসলী রাজাকে পাশমুক্ত করিয়া স্ব-রাজ্যে আনিয়াছিলেন। রাধানাথ এক ঘটনা ভাঙ্গিয়া দুইটা করিয়াছেন, কিন্তু মিলাইতে পারেন নাই। উদয়-সেন কিছু লেখেন নাই ] রাধানাথ-দাস এই ছয়টি কথা লিখিয়াছেন। বাসলী যাহাকে যাহাকে কৃপা করিয়াছিলেন, রাধানাথ তাঁহাদের প্রতি বাসলীর কৃপা বর্ণনা করিয়াছেন । রাধানাথ কৃপার প্রমাণও পাইয়াছিলেন । বর্ষে বর্ষে শাখারীর ধংশধর শাখা দিত, গোয়ালিনীর বংশধর দুধ দিয়া ধাইত, তাতীর বংশধর বস্ত আনিত, দেবীদাসের ংশধর পূজা করিত। কবি দেবীদাসের বংশ-পরিচয় দিলে এবং তাহাতে চণ্ডীদাসের নাম না করিলে সন্দেহের কারণ হইত। কবির বর্ণনায় দেবীদাস গোপাল-ভক্ত বুদ্ধ। বাসলীর কৃপায় দেবীদাস গৃহস্থ হইয়াছিলেন। তিনি বাসলীর প্রসাদ খাইবেন না, কিন্তু তাহার বংশধরেরা খাইবেন, ইহাও বাসলীর আদেশ । এই সব কথা এখনও প্রচলিত আছে । পদ্মলোচনও লিখিয়াছেন। এই ঐক্য এবং অন্যান্য বিষয়ে ঐক্য হইতে বলিতে পারা যায়, রাধানাথের অনুল্লিখিত বিষয়েও ঐক্য ছিল, চণ্ডীদাস দেবীদাসের ভ্রাতা ছিলেন। আর একটু বলিতে পারা যায়, রাধানাথের মতে বাসলী চণ্ডীদাসকে কৃপা করেন নাই । আর এক বিষয় লক্ষ্য করিবার আছে । পদ্মলোচন, উদয়-সেন, কৃষ্ণ-সেন, রাধানাথ, এই চারি জনের কেহ কাহারও পুখী দেখিয়া লেখেন নাই । যিনি যেমন শুনিয়াছিলেন, তিনি তেমন লিথিয়াছিলেন। অতএব তিন কালের চারি সাক্ষীর তিন জন বাসলী হামীর-উত্তর দেবদাস ও চণ্ডীদাসের, এবং এক জন বাসলী হামীর-উত্তর ও দেবীদাসের সমবস্থিতি শুনিয়াছিলেন । চতুর্থ সাক্ষী চণ্ডীদাসের নাম করেন নাই ; ইহা হইতে এমন প্রমাণ হয় না, চণ্ডীদাস সেদেশে সেকালে ছিলেন না । ভ্রম-সংশোধন গত বৈশাখ সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের লিখিত "উদাসীন” কবিতার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ত্রয়োদশ পংক্তি এইরূপ মুদ্রিত হইয়াছিল : “একদিন নিজেকে নুতন নুতন করে হষ্টি করেছিলে মায়ার ধ্বনি,” কিন্তু প্রকৃত পাঠ হইবে – “একদিন নিজেকে নূতন নুতন করে কৃষ্টি করেছিলে মায়াৰিনী ” বৈশাখের প্রবাসীতে ১৩৯ পৃষ্ঠায় ভ্রমবশতঃ শ্ৰীমহেন্দ্রনাথ সেনের ছবির নাম ঐরামানুজ কর ও ঐরামামুক্ত করের ছবির নাম শ্ৰীমহেশ্রনাথ সেন বলিয় মুদ্রিত হইয়াছে। বৈশাখ সংখ্যার “পুস্তক-পরিচয়ে” “রামমোহন রায়ের বিরচিত বেদান্তুসর ও রামমোহন রায়ের ক্ষুদ্রপত্র, প্রার্থণাপত্র, অনুষ্ঠান ইত্যাদি । পুস্তক দুইখানির পরিচয় প্রসঙ্গে দেবকুমার দত্ত বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যাপক, এই কথা লেখা হইয়াছিল। প্রকৃতপক্ষে তিনি ঢাক; ইণ্টারমডিয়েট কলেজের সংস্কৃতের অধ্যাপক । বৰ্ত্তমান সংখ্যায় "চণ্ডীদাস-চরিতে” ১৮৩ পুষ্ঠায় । ১১ ) ফুটনোটে ‘মেদিনীপুর জেলার ঘাটশিলা মুদ্রিত হওয়াছে। প্রকৃতপক্ষে ঘাটশিল সিংতুম জেলায়।