পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে ও বোম্বাইয়ে ম্যাটিকুলেশ্যন পরীক্ষার্থী স্বৰ্গীয় রাজেন্দ্রনাথ সেন কৃষ্ণনগর কলেজের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যক্ষ অধ্যাপক রাজেন্দ্রনাথ সেন ৫৭ বৎসর বয়সে, অকালে, মৃত্যুমুথে পতিত হইয়াছেন। তিনি প্রসিদ্ধ অধ্যাপক স্বৰ্গীয় বিনয়েন্ত্রনাথ সেনের কনিষ্ঠ প্রতি ছিলেন। তিনি প্রথমে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও পরে ইংলণ্ডের লীডস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেন। দেশে ফিরিয়া আসিয়া তিনি প্রথমে শিবপুর এঞ্জিনিয়ারী: কলেজে রাসায়নিক শিল্প বিদ্যার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। পরে আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রেসিডেন্সী কলেজ হইতে অবসর গ্রহণ করিবার পর তথায় রসায়ন বিড়ারি প্রধান অধ্যাপক নিযুক্ত হন । সৰ্ব্বশেষ সরকারী চাকরি করেন কৃষ্ণনগর কলেজের অধ্যক্ষের পদে । পেপ্যন লইয়। তিনি শ্ৰীযুক্ত থগেন্দ্রনাথ দাস ও বীরেন্দ্রকুমার মৈত্রের সহযোগিতায় কলিকাত কেমিক্যাল বে পালা লিমিটেড স্থাপন করেন এবং অধুনা তাহার কারখানার কাজেই ব্যাপৃত থাকিতেন। তিনি ধীর প্রকৃতির সুশিক্ষক ছিলেন ও ছাত্রগণকে ভাল বাসিতেন । র্তাহীর অকাল মৃত্যুতে বঙ্গের পণ্যশিল্প ক্ষেত্র হইতে এক সুশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ বৈজ্ঞানিক ইহলেন । অস্তষ্ঠিত ডক্টর মেঘনাদ সাহা সম্বন্ধে গুজব এইরূপ একটি গুজব রটিয়াছে যে ডক্টর মেঘনাদ সাহ পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পাইবেন । তিনি ইহার উপযুক্ত বটে। তাহার একটি গবেষণার ফল আরও কিছুদূর অগ্রসর করিয়া দু-জন বৈজ্ঞানিক কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে নোবেল পুরস্কার পাইয়ছিলেন । আবির্সানিয়ার প্রতি সহানুভূতি আবিসীমিয়ার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশার্থ ভারতবর্ষের সকল প্রদেশে নান স্থানে প্রকাখ্য সভার অধিবেশন হইয়া গিয়াছে । সুভাষ বস্থর কারারোধের প্রতিবাদ ঐযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বন্ধকে গবন্মেণ্ট ১৮১৮ সালের ৩ নং রেগুলেশুনি অনুসারে বন্দী করায় ভারতের সমুদয় প্রদেশে নানা স্থানে গবন্মেন্টের এই কায্যের প্রতিবাদ হইয়া গিয়াছে । ఇవtr পাটনায় বাঙালী কংগ্রেসওয়ালাদের বিবাদভঞ্জনচেষ্টা অনেক বৎসর ধরিয়া বঙ্গের কংগ্রেস-চাইরা দলাদলি ও ঝগড়া করিতেছেন। তাহাদের ঝগড়া নিজেদের মধ্যেই মিটাইতে না-পারিয়া তাহারা পাটনায় বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদের শরণাপন্ন হইয়াছেন। বঙ্গের পক্ষে ইহা লজ্জার কথা । আগ্রাঅযোধ্য প্রদেশে দলাদলি আছে, গুজরাটে আছে, আরও কোন কোন জায়গায় আছে । তথাকার বিবদমান লোকের বিবাদভঞ্জনের জন্য নিজ নিজ প্রদেশের বাহিরে যান না, অধম বাঙালীকে বার-বার অবাঙালীর শরণাপন্ন হইতে হইয়াছে । ধিক্ । বাংলা দেশ স্বরাজ পাইলে কি তাহার কাজ চালাইবার নিমিত্ত বঙ্গের বাহির হইতে মনুষ্য আমদানী করিতে হইবে ? স্বাধীনতা হ্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন রাষ্ট্রনৈতিক নানা বিষয়ে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতভেদ আছে । কিন্তু অনেক বিষয়ে মতের ঐক্য আছে । মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতা ও প্রকাশু সভা করিয়া রাজনৈতিক বিষয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনত বহু পরিমাণে হ্রাস করা হইয়াছে, মুদ্রাকর, প্রকাশক ও সম্পাদকদের নিকট হইতে টাকা জামিন লওয়া চলিতেছে, বিনা বিচারে বন্দী করিবার প্রথা আইনে পরিণত হইয়াছে, মান বহি নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত হইয়াই চলিতেছে, বাড়ি খানাতল্লাস ও মানুষকে গ্রেপ্তার কর! খুব বাডিয়াছে—মানুষের যে স্বাধীনত এই পরাধীন দেশেও ছিল তাহ কত দিকে যে কমান হইয়াছে তাহার পূরা তালিকা দেওয়া অনায়াসসাধ্য নহে। এমন কোন রাজনৈতিক দল নাই যাহার নেতৃবর্গ ও সভ্যেরা এই প্রকারে স্বাধীনতাহীন হইয়া থাকিতে চান । এই স্বাধীনতাহরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করিবার নিমিত্ত কংগ্রেসের সভাপতি পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরু ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ও রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সভ্য লইয়া একটি ইণ্ডিয়ান সিবিল লিবাট য়ুনিয়ন গঠন করিতে চান এবং তজ্জন্ত সকল প্রদেশে অনেকের মত জানিতে চাহিয়াছেন । আমরা ইহার সপক্ষে মত জ্ঞাপন করিয়াছি । ভিন্ন ভিন্ন বঙ্গে ও বোম্বাইয়ে ম্যাটিকুলেশ্বন পরীক্ষার্থী অনেকের এইরূপ একটা ধারণা আছে, যে, যেহেতু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাট্রিকুলেশুন পরীক্ষায় প্রায় পচিশ