পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८छTछे বিবিধ প্রসঙ্গ-বাণিজ্যিক মিউজিন্নামে নমুনা প্রদর্শনী రివ o ত্রিবাঙ্কুড়ের শাসনবিবরণ ত্রিবাঙ্কুড়ের ১৯৩৪-৩৫ সালের শাসনবিবরণে ঈর্ঘ্য ও আহলাদের সহিত দেখিতেছি, এই রাজ্যে রাজস্বের সর্বাপেক্ষা অধিক অংশ, শতকরা ২৩২ অংশ, শিক্ষার জন্য ব্যয়িত হয়। কোন রাষ্ট্রীয় বিভাগে কত অংশ খরচ হয়, তাহ নীচের তালিকায় দ্রষ্টব্য। শিক্ষা 求○rs পূৰ্ব আদি Y ጓv 'ধৰ্ম্মমন্দির” tوايي: ” مچ পেন্সান १ १ বিচার বিভাগ Es o চিকিৎসা আদি 6 * “সবসিডি" 8" o পুলিস \", ή সাধারণ শাসনবিভাগ > ৬ বিবিধ ゞbア'S সৈন্যদল Va’a ত্রিবাঙ্গুড় রাজ্যে মাতার দিক্ দিয়া উত্তরাধিকার প্রচলিত, অর্থাৎ মহারাজার পুত্র মহারাজা হন মা, ভাগিনেয় হন । নারীরা এদেশে স্বাধীন। এখানে শিক্ষার বিস্তর যে খুব বেশী হইয়াছে তাহার একটি কারণ এই স্ত্রীস্বাধীনত । কয়লা ব্যবসার দুরবস্থা শ্ৰযুক্ত সতীশচন্দ্র সেন ইণ্ডিয়ান মাইনিং ফেডারেশুনের সভাপতি, তিনি তঁহার গত বার্ষিক অভিভাষণে কয়ল। ব্যবসার দুরবস্থা বর্ণনা করেন ও তাচার কতকগুলি কারণ নির্দেশ করেন । রেলওয়ে বোর্ড কয়লার সকলের চেয়ে বড় খরিদদার । কিন্তু এই বোর্ড তাঁহাদের নিজের খনিগুলি হইতে খুব বেশী কয়লা উত্তোলন করায় কয়লাখনির অন্ত মালিকদের কয়লা যথেষ্ট বিক্ৰী হয় না, তাহার লোকসান দিয়া কিছু কয়ল তুলিয়া কোন প্রকারে টিকিয়া আছেন। তা ছাড়া, কয়লার বদলে খনিজ তেলের বাবসায় বাড়িয়া চলিতেছে। ১৯১৩ হইতে ১৯৩৪ সালে তেলের ব্যবহার ১৫ গুণ বাড়িয়াছে । ১৯৩৪-৩৫ সালে রেলওয়ে বোর্ড ৯২ হাজার টন কয়লার পরিবর্তে ৫১ হাজার টম তেল কিনিয়াছিলেন । অল্প মাগুলে তেল আমদানী হওয়ায় বোম্বাইয়ের অনেক মিল দেশী কয়লা ব্যবহার না করিয়া বিদেশী তেল ব্যবহার করিতেছেন । তা ছাড়া, গবন্মেণ্ট বিদেশী কয়লার উপর যথোচিত আমদানী-শুদ্ধ ধাৰ্য্য না করায় বিদেশী কয়লার আমদানী বাড়িতেছে ও জাপান ও দক্ষিণ আফ্রিকার কয়লা বাজার দখল করিতেছে । ভার"ষ্মেণ্ট যদি “জাতীয়" গবন্মেন্টের মত নিজ কর্তব্য এবং দেশী মিলগুলি যে কারণ দেখাইয় ভারতীয়দিগকে সস্তা বিদেশী মালের পরিবর্তে বেশী দামের দেশী মাল কিনিতে বলেন, সেই কারণে যদি বিদেশী কয়লা ও তেলের পরিবর্তে দাম বেশী হওয়া সত্বেও দেশী কয়লা ব্যবহার করেন, তাহা হইলে কিছু প্রতিকার হইতে পারে । __ বাণিজ্যিক মিউজিয়ামে নমুনা প্রদর্শনী কলিকাতা মিউনিসিপালিটার একটি বাণিজ্যিক মিউজিয়াম আছে । তাহ কলেজ ষ্ট্রীট মার্কেটে অবস্থিত। সেখানে গত ২৬শে বৈশাখ মানাবিধ পণ্যশিল্পের নমুনার একটি প্রদর্শনী খোলা হয়। তদুপলক্ষে যে সভা হয়, তাহার সভাপতিরূপে ডাক্তার সর, নীলরতন সরকার প্রদর্শনীর দ্বার উদঘাটন করেন। তিনি বলেন :– বঙ্গলার জাতীয় শিল্পসমূহ আজ যে অবস্থায় উপনীত হইয়াছে, তহিতে এইরূপ প্রদর্শনীর যে বিশেষ প্রয়োজন ইহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। অবশু, বৃহৎ শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলির যে এইরূপ প্রদর্শনী হইতে খুব বেশ কিছু শিথিবীর আছে বা থাকিতে পারে, তাহা বলা যায় ন। কারণ, বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অনেক সমস্ত আছে। সেগুলি সম্বন্ধে এইরূপ প্রদর্শনী বিশেষ কিছুই সাহায্য করিতে পারে না। কিন্তু এই প্রদর্শনী হইতে কুটার-শিল্পগুলির অনেক জানিবার এবং শিক্ষা করিবার অাছে । বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলি গড়িয় তোল আমাদের একান্ত প্রয়োজন এবং কৰ্ত্তবা। কিন্তু সেই সঙ্গে মাহাতে কটর-শিল্পের কোন ক্ষতি ন হয়, তাহার দিকে লক্ষ্য রাখা ও আমাদের একান্ত দরকার । এক দিকে যেমন আমর বৃহৎ বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিতে চেষ্ট করিব, অষ্ঠ দিকে অমর কুটারশিল্পের ঘtহতে ক্ষতি ন হয়, উহার যtহাতে উন্নতি হয়, তাহার প্রতিও লক্ষ্য রাখিব । তাহ ন হইলে মত চেষ্টাই করি না কেন, বেকার সমস্ত। আমরা কিছুতেই সমাধান কল্পিত পারিব না প্রদর্শনীটিতে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হইতে গেল্পী ও মোজ, জুতা নিৰ্ম্মাণ প্রণালী, চামড়া প্রস্তুত করিবার প্রণালী, ছাত প্রস্তুত করিবার প্রণালী প্রভৃতি দেখান হয়। তদ্ভিন্ন বহুবিধ ঔষধ, চিকিৎসায় ব্যবহৃত নানা যন্ত্র, মিষ্টান্ন, টুপি, তালাচাবী, খাগড়াই বাসন, বাইসিকলের টায়ার, প্রভৃতির নমুনা দেখান হয় । ময়ূরভঞ্জরাজ এবং মহীশূররাজ বস্ত্র এবং মোজা ও গেীর নমুনা পাঠাইয়াছিলেন। বাংলPগবন্মেন্টের শিল্পবিভাগ হইতে কোন কোন কুটারশিল্পের প্রক্রিয় দেখাইবার ব্যবস্থা করা হইয়াছে। কলিকাতা মিউনিসিপালিটীর প্রচারবিভাগ হইতে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্য, মৃত্যুহার, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার নান কুটরশিল্পের সংখ্যা প্রভৃতি বিষয়ে অনেক চাট প্রদর্শনীতে রাখা হইয়াছে। যে-সকল কারখানা নিজ নিজ উৎপন্ন পণ্যদ্রব্যের নমুনা প্রদর্শনীতে রাখিয়াছেন, র্তাহীদের কতকগুলির নাম নীচে দেওয়া গেল । কালকাট হোসিয়ারী, দি কালকাটা সেলুলয়েড ওয়ারস, বেঙ্গল ওয়াটার পফ ওয়ার্কস্, যশোহর কুম্বস এণ্ড সেলুলয়েড ওয়ার্কস, সরোজনলিনী নারীশিল্প শিক্ষালয়, নারীকল্যাণ আশ্রম, বড়ুয় যকারী, ভারতী ওয়ার্কস, ইণ্ডিয়ান ইলেকটি ক্যাল ওয়ার্কস্ লি, বটকৃষ্ট পল এও কোং, বেঙ্গল কেমিক্যাল ওয়ার্কস্ লিঃ, বেলেঘাট ইঞ্জিনীয়ারিং ওয়ার্কস্ ।