পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ごゞや প্রবণসী SNご8Nご শাসনে অভ্যাসের দ্বারা যে-পর্য্যস্ত তার অভিভূত না হয়েছে সে-পৰ্য্যস্ত কৃত্রিমতার জাল থেকে মুক্তি পাবার জন্যে তারা ছটফট করে। আরণ্য ঋষিদের মনের মধ্যে ছিল চিরকালের অমর ছেলে । তাই কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অপেক্ষা না রেখে তারা বলেছিলেন– এই যা কিছু সমস্তই প্রাণ হ’তে নিঃস্থত হয়ে প্রাণেই কম্পিত হচ্ছে। এ কি বার্গস-এর বচন ! এ মহান শিশুর বাণী । বিশ্বপ্রাণের স্পন্দন লাগাতে দাও ছেলেদের দেহে মনে । শহরের বোবা কাল মর দেয়ালগুলোর বাইরে । তার পরে আশ্রমে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার কথা। মনে পড়ছে কাদম্বরীতে একটি বর্ণন, “তপোবনে আসছে সন্ধ্য, যেন গোষ্টে-ফিরে-আসা পাটল হোমধেনুটির মত।” শুনে মনে জাগে, সেখানে গোরু-চরানো, গো-দোহন, সমিধ-কুশ আহরণ, অতিথি-পরিচর্য্য, যজ্ঞবেদী রচনা, অভ্রম বালকবালিকাদের দিনকৃত্য। এই সব কৰ্ম্মপৰ্য্যায়ের দ্বারা তপোবনের সঙ্গে নিরস্তর মিলে যায় তাদের নিত্যপ্রবাহিত জীবনের ধারা । সহকারিতার সখ্যবিস্তারে আশ্রম হ’তে থাকে প্রতিক্ষণে আশ্রমবাসীদের নিজ হাতের রচনা । আমাদের আশ্রমে সতত উদ্যমশীল এক্ট কৰ্ম্মসহযোগিত কামনা করছি। মাহুষের প্রকৃতিতে যেখানে জড়ত আছে সেখানে প্রাত্যহিক জীবনযাত্র কুশ্রী ও মলিন। স্বভাবের বর্বরতা সেখানে প্রকাশে বাধা পায় না । ধৰ্মীসমাজে আস্তরিক শক্তির অভাব থাকলেও বাহিক উপকরণ-প্রাচুয্যে কৃত্রিম উপায়ে এই দীনতাকে চাপা দিয়ে রাখা যায়। আমাদের দেশে প্রায় সৰ্ব্বত্রই ধনীগৃহে সদর অন্দরের প্রভেদ দেখলে এই প্রকৃতিগত তামসিকত ধরা পড়ে । নিজের চার দিককে নিজের চেষ্টায় সুন্দর স্বশুঙ্খল ও স্বাস্থ্যকর ক’রে তোলার দ্বারা একত্রবাসের সতর্ক দায়িত্বের অভ্যাস বাল্যকাল থেকেই সহজ করা চাই । এক জনের শৈথিল্য অন্যের অসুবিধা অস্বাস্থ্য ও ক্ষতির কারণ হতে পারে এই বোধটি সভ্য জীবনযাত্রার ভিত্তিগত। সাধারণত আমাদের দেশের গাহ স্থ্যে এই বোধের ক্রটি সৰ্ব্বদাই ८फ़्रैं| १|प्र ! সহযোগিতার সভ্য নীতিকে প্রত্যহ সচেতন করে তোলা আশ্রমের শিক্ষার প্রধান সুযোগ। এই সুযোগটিকে সফল করবার জন্তে শিক্ষার প্রথম পর্বে উপকরণ লাঘব অত্যাবশু্যক । একান্ত বস্তুপরায়ণ স্বভাবে প্রকাশ পায় চিত্তবৃত্তির স্থূলতা । সৌন্দর্য্য এবং সুব্যবস্থ মনের জিনিষ । সেই মনকে মুক্ত করা চাই কেবল আলস্য এবং অনৈপুণ্য থেকে নয় বস্তুলুন্ধত থেকেও। রচনাশক্তির আনন্দ ততই সত্য হয় যতই তা জড়বাহুল্যের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে। বাল্যকাল ব্যবহারসামগ্ৰী স্বনিয়ন্ত্রিত করবার আত্মশক্তিমূলক শিক্ষা আমাদের দেশে অত্যন্ত উপেক্ষিত হয় । সেই বয়সেই প্রতিদিন অল্প কিছু উপকরণ যা সহজে হাতের কাছে পাওয়া যায় তাই দিয়েই সৃষ্টির আনন্দকে উদ্ভাবিত করবার চেষ্ট! যেন নিরলস হ’তে পারে এবং সেই সঙ্গেই সাধারণের সুখ স্বাস্থ্য সুবিধাবিধানের কৰ্ত্তব্যে ছাত্রের যেন আনন্দ পেতে শেখে এই আমার কামনা ৷ আপন পরিবেমের প্রতি ছেলেদের আত্মকর্তৃত্বচক্টোকে আমাদের দেশে অসুবিধাজনক আপদজনক ও ঔদ্ধত্য মনে ক’রে সর্বদা আমুর দমন করি । এতে ক'রে পুরনি। তাঁর লজ্জ তাদের চলে যায়, পরের প্রতি আবদার বেড়ে ওঠে, থেকেই কি, ভিক্ষুকতার ক্ষেত্রেও তাদের অভিমান প্রবল হতে থাকে, তারা আত্মপ্রসাদ পায় পরের ক্রটি নিয়ে কলহ ক’রে । এই লজ্জাকর দীনতা চার দিকে সৰ্ব্বদাই দেখা যাচ্ছে। এর থেকে মুক্তি পাওয়াই চাই । মনে আছে ছাত্রদের প্রাত্যহিক কাজে যখন আমার যোগ ছিল, তখন এক দল বয়স্ক ছানদের পক্ষ থেকে আমার কাছে নালিশ এল যে, বড় বড় ধাতুপাত্র পরিবেষণের সময় মেজের উপর দিয়ে টানতে টানতে তার তলা ক্ষয়ে গিয়ে ঘরময় নোংরামি ছড়িয়ে পড়ে । আমি বললেম, তোমরা পাচ্ছ দুঃখ, অথচ তাকিয়ে আছ আমি এর প্রতিবিধান করব। এই সামান্ত কথাটা তোমাদের বুদ্ধিতে আসছে না যে, ঐ পাত্রটার নীচে একটা বড়ে বেঁধে দিলেই ঐ ঘর্ষণ থামে । চিন্তা করতে পারে না তার একমাত্র কারণ, তোমরা এইটাই স্থির করে রেখেছ যে নিস্ক্রিয়ভাবে ভোতুত্বের অধিকারই তোমাদের, আর কর্তৃত্বের অধিকার অন্যের । এতে আত্মসম্মান থাকে না । শিক্ষার অবস্থায় উপকরণের কিছু বিরলত আয়োজনের অল্পভরা