পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় সে যাহাই হউক না কেন, মামার বাড়ী একবার গিয়া গুড়িলে ও-সব ছোটখাট দুঃখের কথা আর কিছুই মনে থাকিবে না। দাদামহাশয় ত তাহদের দেখিয়াই কোলে করিয়! নামাইতে ছুটিয়া আসিবেন । যেন এখনও স্বধার কোলে চড়িবার বয়স আছে । এই আসছে-পৌযে তাহার ত নয় বৎসর পূর্ণ হইয়া ধাইবে । এ দিকে দাদামশায় ত বয়সে বঁকিয়া পড়িয়াছেন । তবু তাহার সুধাকে দেখিলে কোলে লওয়াই চাই। হলুদে রং-কর একটি টাকা হাতে করিয়া হাসিতে হাসিতে তিনি আসিয়া বলিতেন, “কই রে আমার রাঙ দিদি এলি ? মোহর দিয়ে ত আর তোর মুখ দেখতে পারব না, তাই গরীব দাদা টাকাটি রাঙা করে এনেছে।” দাদামশায় যতই নিজেকে গরীব বলুন না কেন, এমন দিলদরিয়! মাতুয কিন্তু সুধা কখনও দেখে নাই । তাহার গাড়ী হইতে নামিতে-না-নামিতে দাদামশায় তাহার খড়ম জোড় পায়ে দিয়া শুধু গায়ে গলায় একটা চাদর ক্লাইয়। মমর বাড়ী ছোটেন। ফিরেন যখন তখন দুটি ইণ্ডি সঙ্গে । একটি ভৰ্বি গুড়ের রসের রাজ রসগোল্লtয়, অনুটি মোটা মোট জি পেতে । সুধীর মনে আছে, এই দুইটি ইড়ির থাপার ততর। কখনও চতিয়া খাইত না। যতবার ইচ্ছ। গুগুত সুধ ও শিবু ইড়িব ভিতর হাত ভরিয়া যত ইচ্ছা দিদিম! একটু হাত টান মাতুষ । তিনি আসিলেই দাদামশায় বলিতেন, জু-দিনের জন্যে ছেলের এসেছে, তুমি ওদের পেছন পেছন fট । টিক করবে না। ওরা যত খুশী থাকৃ।” ঙ্গির করিয়া লহত । ংড়ি সিকায় তুf

  • び吏

মহামায়া হাসিয়া বলিতেন, “কিন্তু পেট কামড়ে যে মরবে ভূতগুলো ।” দাদামশায় বলিতেন, “ই ইfা, তোর। আর ছোট ছিলি না, ছেলে কেমন ক’রে মানুষ করতে হয় তোদের কাছে এখন আমি শিখব। কামড়ালেই বা একfrন পেট, পরদিন উপোস দিলেই সেরে যাবে ।” দাদামশায়ের উৎপাতে এই কয়দিন বাড়ীতে শাক ভাত রাধিবার উপায় ছিল না। দু-বেলাই দিদিমার রান্নাঘরের দরজায় দাড়াইয় তিনি বলিতেন, “বুটের ভাল, আলুর দম, বেগুন ভাজা, লুচি করবে, আমার দাদা দিদিকে ডিংলী *

  • ডিলে –‘বিলাতী কুমড়

অলখ-ঝেরিণ Nごヘ○位 আর কড়াইয়ের ডাল খেতে খবরদার দেবে না " বুনো পাতালফোড় ছাতুর তরকারি দিদিমা রাধিয়া দিলে স্বধার অমৃতের মত খাইতে লাগিত, নটেশাকের ডাটা আর কুমড়ার ঝালও ছিল তাহার খুব মুখরোচক । কিন্তু দাদামশায়ের ভয়ে রসগোল্লা জিলাপী আর ছোলার ডাল ছাড়া তাহাদের বিশেষ কিছু খাইবার উপায় ছিল না। র্তাহার মতে এছাড়া আর সবই তাহার নাতিমাতনীর পক্ষে অখাদ্য । মামীদের সাহায্যেও কোনও-কিছু যোগাড় করা শক্ত ব্যাপার । তাহারা তিন জনই তখন বৌমানুষ, দু-জনের ত পায়ে মল, নাকে নোলক আর মাথায় ঘোমটা । তাহার ভতর ছোটমামী ত একেবারে কনে-বউ। কথা বলিলে ফিক্‌ করিয়া একটু হাসা ছাড়া আর কোনও জবাব দিবার সাহসও তখন তাহার হয় নাই । যাহাকে দেখিতেন, ভাঙ্গারই সামনে একগল ঘোমটা টানিয়া দিতেন । সবচেয়ে বেশ ঘোমট টানিতেন ছোটমামাকে দেখিলে । কিন্তু তাহার ভিতরও একটা মজা ছিল বেশ । সুধা কতদিন দেখিয়াছে, তরকারি কুটিবার সময় হাত কাটিয়া ফেলিবার ভয়ে ছোটমামী মাথার ঘোমটাটা খট করিয়া লইতেন । কিন্তু যদি কোনও কারণে একবার ছোট মামার চটির শব্দ পাইলেন, ত দু-খানা হাত কাটা গেলেও বুক পৰ্য্যস্ত ঘোমটা না টানিয়া ছাড়িতেন না । সেই ছোটমামীকেই আবার রাত্রে অদ্ভুত বদলাইয়া যাইতে দেখিয়া স্বধার বিস্ময়ের সীমা ছিল না। মামাবাড়ীর দুতলায় ছাদের উপর একখানি মাত্র ঘর। সেটি ছোটমামীর ঘর। সুধা দুই-এক দিন রাত্রে তাহার সহিত উপরে গিয়া দেখিয়াছে, ঘরে ছোটমামী মামার কাছে ঘোমটা ত দূরের কথা মাথায় কাপড়ও দেন না। আবার হাসিয়া হাসিয়া কত গল্প করেন । সত্যই ছোটমামা অদ্ভুত। দিনের বেলা দেখিলে মনে হয় বোব, আর রাত্রে এমন ! স্বধী এমন মেয়ে কখনও দেখে নাই। কিন্তু তবু ছোটমামীকে এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন করিতে তাহার সাহস হইত না । মামাবাড়ীর যে কথাটাই মনে পড়ে, সেইটাই মনের ভিতর দামী পাথরের মত ঘুরাইয়া ফিরাইয়া নানা আলোকপাতে দেখিতে স্বধার বড় ভাল লাগিত । সারারাত্রি তাহার এমনই করিয়া পুরাতন স্মৃতির চিস্তায় কাটিয়া যাইতে ་་ པ་ལྟ“བབ་བབ་ཨ་ཏུས་པ། བར་ད་ སྨཁཁཕཡ