পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

שלא לא প্রবাসী SN?8Nご পারিত, যদি না সারাদিনের দুরন্তপনার ফলে চোখ দুটি ক্লাস্ত হইয়া কখন তাহার অজ্ঞাতসারেই বন্ধ হইয়া যাইত । ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া স্বধী স্বপ্ন দেখিতেছিল, দাদামশায় সুধার জন্য চন্দ্রকোণার চৌখুপী শাড়ী আনিয়া দিয়াছেন, তাহার হলদে রেশমের তাবিজপাড়টি স্বধার বড় পছন্দ হইয়াছে । এমন সময় মা তাহাকে ঠেলিয়া তুলিয়া দিলেন, "ওরে, কাক কোকিল উঠে গেল রে । এখুনি লখা-মাঝি* গরুর গাড়ী এনে হাজির করবে।” & স্বধার বাবা চন্দ্রকান্ত মিশ্র চার মাইল দূরে সহরের স্কুলে সামান্ত বেতনে হেডমাষ্টারী করিতেন । সেই স্বল্প আয়ে তাহার সংসার ত চলিতই না, অধিকন্তু স্কুলের এই প্রাত্যহিক পার্থীপড়ার মধ্যে তাঙ্গর বহুমুখী মনের খোরাকও জুটিত না। তিনি মানুষটি ছিলেন একটু কবি-প্রকৃতির। সেকালের ব্রাহ্মণ-সস্তানদের মত চুল ছটিয়া টিকি কোনও দিন তিনি রাখেন মাই, সৰ্ব্বদাই ঘাড় পর্য্যস্ত তাঙ্গর কোকড় বাবরী চুল দুলিত । দাড়ি গোঁফের চিহ্ন মুখে থাকিতে দিতেন না । আয়নার সাম্নে দাড়াইয়া নিজেই নিজের চুল দাড়ির পারিপাট্য সাধন করা তখনকার দিমে অতি সৌধীন লোকেও করিত না । কিন্তু চন্দ্ৰকাস্থ ধোপনাপিতের ধার ধারিতেন না। নিজের কাপড় কাচিয়া ইস্ত্রী করা এবং নিজের চুল মাপিয়া ছাটা তাহার সথের কাজ ছিল । সকল কাজের মাঝেই তাহার স্নমধুর কণ্ঠে স্বরচিত ও রামপ্রসাদী মিঠা গান লাগিয়া থাকিত । গানেই ছিল তাহার প্রাণের মুক্তি । নিজের একটি তানপুর লইয়া অতি প্রত্নামে একলা বসিয়া হিন্দী ভজন গান করা ছিল তাহার নিত্য কৰ্ম্ম । শহরের ছোট বাসা-বাড়ীতে তাঙ্কার ভজন-সাধন, র্তাহার কাব্যচর্চ ঠিক খুলিত না। তাই তিনি গ্রামে এই দিগন্তজোড়া মাঠের মাঝখানে একটি নিজস্ব নীড় বধিয়া তুলিয়ছিলেন । শহরের বাসা তুলিয়া দিয়া এখানেই যখন তিনি থাকা স্তির করিলেন তখন প্রত্যহ সকালে চার মাইল ইণটিয়াই তিনি স্কুলে যাইতেন । বিকালেও তিনি অনায়াসে

  • সাওতাল পুরুষদিগকে মাঝি বলে। এ নৌকার মাঝি নয়।

হঁটিয়া বাড়ী ফিরিতেন। তাহার প্রসন্ন হাস্য ও শ্রান্তিহীন মুখ দেখিলে মনে হইত যেন তিনি কেবল দুই দশ পা সখের ভ্রমণ করিয়া আসিলেন । এই গ্রাম্য জীবনযাত্রার সহিত এক ছন্দে চলিবার ইচ্ছায় ইস্কুল-মাষ্টারীর উপর ধানজমি চাষ করাও তিনি একটা আর্থিক আয়ের উপায় বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন । তাহার গোয়ালে গরু, মরাইয়ে ধান, উছলিয়া না পড়িলেও, কোনটারই একাস্থ অভাব ছিল না । স্বধী যখন বিছানা হইতে উঠিয়া মুখ ধুইয়া বাসি থোপায় রূপার ফুল গুজিয়া মাথার সামনেটা আঁচড়াইয়া বাবার কাছে বিদায় লইতে গেল, চন্দ্রকান্ত তখন বাহিরের দাওয়ায় বড় পিড়ির উপর বসিয়া কাশীরাম দাসের মহাভারত সুর করিয়া পড়িতেছেন, . “দেখ চারু যুগু ভুরু ললাট প্রসর কি সানন্দ গতি মন্দ মত্ত করিবর ভুজযুগ নিন্দে নাগ আলেক্ট্রলম্বিত করিকর যুগবর জন্তু সুলম্বিত ।" এই বর্ণনাটা শুনিলেই স্তধর মনে হইত ধেম ত’’ক BBB BBBB BBBBBB BB BBS BBBBBBB S S ggg বাবার মত এমন ধষ্টকের মত ভুর আর বিস্তৃত কপাল সে কখনও দেখে নাই । ত:হার উপর কবি হইলেও চন্দ্রকান্ত বারের মত বলিষ্ঠ ও সুগঠিতদেহ ছিলেন। ভোরবেলার ভজন গানের পর একজোড়া মুগুর লইয়া মালকো মারিয়৷ ব্যায়াম করিয়া তবে তিনি করিতে যাইতেন । তাহাদের বাড়ীতে অনেক খরচ করিয়া তিনি একটি কূপ কাটাইয়াছিলেন, যাঙ্গতে পুকুরের পঙ্কিল জলে স্নান করিয়া বাড়ীর লোকের খোস-পাচড়া না হয় । নিজ হস্তে বালতি করিয়া জল টানিয়া প্রত্যহ প্রায় পচিশত্রিশ বাল্‌তি জল মাথায় ঢালিয়া তিনি যখন স্নান করিতেন তখন র্তাহার কুবিস্তৃত কপাটবক্ষ, সিংহকটি ও পেশীবহুল বাহুদুটি দেখিয় তাহাকে বীরশ্রেষ্ঠ অৰ্জুন মনে করায় স্বধাব অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরব ছিল । লখা মাঝির গরুর গাড়ী আসিয়া হাজির হইয়াছিল । মহামায়ার সবুজ টিনের তোরঙ্গ ও বড় বেতের ঝাপি দুইটাই চন্দ্রকান্ত গাড়ীর ভিতর তুলিয়া দিলেন । সুধার ছোট নীলাম্বরী শাড়ীতে হৈমবতী টানা লাড়ু ও বড় বড় চিনির স্বাম - مة. সেহ কৃপ ইহতে