পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ প্রবাসী SNరిe وضع مصراصيN ৯০/] তখন দেখিবে ভূপ তুমি বিশ্ব একরূপ পুরাণ সে বেদ বিধি কেবল কৰ্ম্মেরি বিধি শুদ্ধ ব্ৰহ্ম সমুখে তুমার। সেই মত কৰ্ত্তব্য তুমার। আত্মবলি দিলে তবে আবার দেখিতে পাবে ফলাকাজক্ষা দাও ছাড়ি থাক নিত্য কৰ্ম্মে বেড়ি তুমি ব্ৰহ্ম সব একাকার ॥ একদিন হবে ব্রহ্মসার ॥ -জীবে দয়া সমতুল আছে কি ধৰ্ম্মের মূল তরু নাই ফল খাবে মরুভূমে জল পাবে হিংসা-সম পাপের পত্তন'। লাভ হবে ব্যবসায় বিনে । ডাকিলে মা তারা বলে যদি আসি লও কোলে একথা মানিলে সত্য তোর সম কে উন্মত্ত জীব-হিংসা তবে কি কারণ ॥ আছে রাজা এই ধরাধামে ॥ এতেক কহিলা যদি নরাধিপ ব্ৰহ্মবাদী অত্র জল স্থল বই সজীব সকলি হয় ব্ৰহ্মময়ী কহিলা তখন। খাও দাও মাখ পর যেবা । কেন রাজা কি কারণে নাশে অজ ভুজঙ্গমে লক্ষ লক্ষ জীব-ক্ষয় নিত্য তুম হতে হয় পুণ্যতম বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ । তার প্রতিকার কর কিবা ॥ কি কারণে স্লেচ্ছদেশে জনগণ জীব নাশে -এাহ্মণের জাতি যাবে রাজার কলঙ্ক হবে ক্ষত্র ধায় মৃগয়ায় বনে । ঘাতকের বংশ হবে ক্ষয় । নরমেধে অশ্বমেধে২৫ কেন সে পুরাণে বেদে এ কৰ্ম্ম কেমনে করি রক্ষা দেম ক্ষেমঙ্করী লিখে রাজা সাধু সিদ্ধ জনে । ভাব তুমি নর-রায় তারা কি নরকে যায় একি তব ধৰ্ম্ম আচরণ । কেন ভ্ৰান্ত হেন ভ্রমে ন লজিবে কোন ক্রমে ধ্রুব সত্য আমার বচন ॥ গোস্ত্র ১৬ অতিথিরে কয় চৰ্ম্মশ্বতী কেন বয় ১৭ জান সে ত হামীর রাজন। জ্ঞাত তুমি সব তত্ত স্বভাবের দোমে মাত্র মাতৃ-আজ্ঞা করিছ লঙ্ঘন । ১৫ ) নরমেধ অশ্বমেধ, মেধ যজ্ঞ । পশু অস্থিতি দিয়া ঘাঞ্জিক ও যক্তমান তাঁহার মাংস ভক্ষণ করিতেন। অশ্বমেধে দেখা যায়, অশ্বের কোন অঙ্গ কাহার প্রাপ্য, তাহ বিধিবদ্ধ হইয়াছিল। নর মেধেও অবখ্য নর-পশুমাংস ভঙ্কিত হইত। বেদে ইহার নাম পুরুষ-মেধ । ঋগ বেদে, শুক্লপ ছুৰ্বেনে, অথর্ববেদে, শতপথব্রাহ্মণ, ও দুই-একখানি শ্ৰেীতসুত্রে পুরুবমেধের কপ আছে । কালক্রমে এই বীভৎস যজ্ঞ উঠিয়া যায়, কিন্তু নর-বলি উঠিয়া যায় নাই । বৈঞ্চল প্রহ্মবৈবত পুরাণে নর-পশুর নাম ‘মায়াতি । চণ্ডীর প্রীতার্থে নর-বলি হইত, কিন্তু পূজক ভক্ত প্রসাদ পাইতেন না । ইহা এক আশ্চর্য ব্যতিক্রম। কারণ এতদৃদ্বার: যজ্ঞের উদেষ্ঠ ব্যর্থ হয়, এবং নিজের অখাদ্য অপ্রীতিকর পশু আরাধ্যা দেবীকে অপিত হয় । ১৬) গোল্প শব্দের মুলার্থ গোহত্যাকারী। বৈদিক কালে এবং বহু পরেও মাস্থ্য অতিথির ভোজনের নিমিত্ত গো-বধ করা হইত। এই কারণে গোঘ্ন শব্দের লাক্ষণিক অর্থ অতিথি হইয়াছিল। পরে গো-বধ কাতর অস্তরে নৃপ কয় ॥ -fবপ্র-বংশে শাক্ত ধার কুলে শ্রেষ্ঠ হয় তার ভূপ-শ্রেষ্ঠ যারা শক্তি পূজে । যের জীবে দেয় বলি তারে রাজ বংশাবলি দলে দলে ফিরিছে সমাজে ॥ সত্য জাতি থ্যাতি যাবে কৰ্ম্ম শেষ হবে যবে কেহ তোরে না কবে ভূপাল । পঙ্গুতে মারিবে লাথি তরুতলে হবে স্থিতি থাবে সঙ্গে কুকুর চণ্ডাল ৷ নিষিদ্ধ হইলে মাস্থ্য অথিতিকে গে প্রদর্শিত হইত। যাজ্ঞবশ্ব স্মৃতি:ে এই বিধি আছে । ১৭ ) চমধুতী নদীর বতমাল নাম চঞ্চল। মধ্যভারতে বিন্ধ্য পর্বত ছঃ ! নির্গত হইয় যমুনায় পড়িয়াছে। প্রতোক বড় বড় নদীর উৎপধি কাহিনী আছে। চমশ্বতী নদীরও আছে । চক্রবংশে রস্তিদেব নামে এক বিখ্যাত ধমপরায়ণ রাজ ছিলেন। তিনি প্রত্যহ ব্ৰাহ্মণভোজনঃ নিমিত্ত দুই সহস্ৰ গো-বধ করিতেন। সে গো-সমুহের চমের (র: চমৎউীয় উৎপত্তি। মহাভারতে বনপৰ্ব ২•৭ অঃ, শাস্তিপর্ব ২৯ অ” ! মৎস্য ও ভাগবত পুরাণেও আছে। এই সকল দৃষ্টাস্ত হইতে উৎয় সেনের মনের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি কবিরাজ ছিলেন । চিকিৎসকের নিকট মেধ্যামেধ্য বিচার নাই। সুশ্রুত গে৷ মাংস পবিত্র বলিয়াছেন ।