অণষণঢ় ১৮১৮ সালের ৩ নং রেগুলেশন N9వw9 ব্যবস্থার ভার প্রাপ্ত হন, তখন তাহার দ্বার সপার্ষদ গবর্ণরজেনারলও সময়ে সময়ে নিয়মকানুন, অর্ডিন্যান্স ও রেগুলেশন প্রণয়ন দ্বারা তঁহাদের অধীনস্থ স্থানসমূহের শাস্তি-শৃঙ্খল রক্ষা ও স্বশাসন ব্যবস্থার জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। কিন্তু ইহাতে ইহাও ব্যবস্থা করা হয় যে, সপার্ষদ গবর্ণর-জেনারল উক্ত ক্ষমতাবলে কোন রেগুলেশনাদি প্রণয়ন করিলে তাঙ্গ৷ তথনহ আইনে পরিণত হইতে পারিবে না । তাহ আইনে পরিণত করিতে হইলে তৎকালীন সুপ্রীম কোর্টে তাহা রেজিষ্ট্রেশন করা ও ঐ কোর্ট-কর্তৃপক্ষের অনুমোদনলাভও প্রয়োজন ছিল । নিয়ম ছিল, এরূপ রেগুলেশনাদি স্নপ্রীম কোর্টে প্রেরিত হইলে তাঙ্ক কুড়ি দিন উক্ত কোটের কোন প্রকাশ স্থানে জনসাধারণের জ্ঞাতীর্থ টঙাইয়। রাখিতে হইত এবং চতুরি বিধি-ব্যবস্থায় কোনও আপত্তি থাকিলে হি। উক্ত কোটের কর্তৃপক্ষেব গোচর করিয়া উহার リ রেমিথেশ্রমে বন্ধ দিবার ও অকৃতকাৰ্য্য হইলে তাঙ্গর বিরুদ্ধে বিলতে সপার্ষদ সম্রাট বাহাদুরের নিকট আপীল করার ও অধিকার জনসাধারণের ছিল । নহে, বিলাতেও ছিল । এরূপ ব্যবস্থা কেবল ভারতেই উক্ত রেগুলেশনাদি এগানে পাস ইঠলেই উহার এক প্রতিলিপি বিলতে কোম্পানীর কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠ ষ্টতে হঠত এবং তাহ তথায় জনসাধারণের জ্ঞতাৰ্থ ইণ্ডিয়া হাউসের এক প্রকাশ স্থানে টঙাইয়' রাথিবীর নিয়ম ছিল । সেখানেও ইহার বিধি-ব্যবস্থায় কাহারও কোন অপত্তি থাকিলে সপার্ষদ সম্রাটের নিকট তাহার আবেদন করিবার অধিকার ছিল । ইহার দ্বারা দেথা যায় যে, সপার্ষদ গবর্ণর-জেনােরল কস্তক রচিত কোন নিয়মকহিলে অন্যায় থাকিলে তাহ পরিবর্তন ব: নাকচ করিবার ক্ষমত ষে কেবল উচ্চ রাজকর্তৃপক্ষ বা বিধি-ব্যবস্থা সম্রাট বাহাদুরের নিজের ছিল তাহ; নহে ; পরস্তু উহার কোন অন্যায় বা আপত্তিজনক বিধি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কfরবার ক্ষমতা কি ভারতীয়, কি ব্রিটিশ প্রজবুন্দের সকলেরই সমান ছিল । ১৭৮১ সালে যে আর একটি য়াক্ট কারি হয় তাহার ব্যবস্থা অতুসারে উপরে ষে রেগুলেশনাদির সুপ্রীম কোটে রেজিষ্ট্রেশনের আবশুকতার কথা বলা হইয়াছে তাহা কোন কোন ক্ষেত্রে বাতিল হয়। এই জন্য অনেক সময় আপত্তি উত্থাপিত হইয়াছে যে, যে-রেগুলেশন উক্তরূপে রেজিষ্ট্ৰী হয় নাই তাহা আইন হইতে পারে না। আমরা যে রেগুলেশনটির বিষয় আলোচনা করিতেছি, নিম্নে ইহার বিরুদ্ধে যে মামলার কথা বলা যাইবে তাহাতেও অনুরূপ এক আপত্তি করা হইয়াছিল । উক্ত ক্ষমতার বলে সপার্ষদ গবর্ণর-জেনারল সময়ে সময়ে প্রয়োজনাতুসারে অনেক রেগুলেশনই বিধিবদ্ধ করেন । এষ্ট প্রদেশে যে রেগুলেশনগুলি বিধিবদ্ধ হয় Kolz Regulations of the Bengal Code aton খ্যাত । ১৮১৮ সালের ৩ রেগুলেশনটিও ইহার অন্যতম । এই রেগুলেশনগুলির অধিকাংশই এক্ষণে বাতিল হইয়া গিয়াছে । কেবল একবার জনৈক ভারতীয়কে এই রেগুলেশনে আটক করিলে কোটে ইহার বিরুদ্ধে যে মামলা হয় বলা হুইয়াছে, তাহাই অতীত কালে এই রেগুলেশনের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিবাদ বলিতে হইবে । সেই প্রসিদ্ধ মামলাটি হইতেছে আমির খার । ইহা ১৮৭০ সালের কথা, এবং যখন এই মামলাটি হয় তখন দেশে এক মই চাঞ্চল্য উপস্থিত হইয়াছিল। মামলাটির ব্যাপার এইরূপ । যে সময়কার কথা বলা হইতেছে সেই সময় ওয়াহাবীদের ষড়যন্ত্রে দেশে এক সস্থাসেব হাওয়া প্রবাহিত হইয়ছিল। এই ওয়াহাবী-দল ছিল ব্রিটিশ-বিবোধ", ভারত হইতে ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের উচ্ছেদের জন্য চহার এক ব্যাপক ষড়যন্ত্র করে । ইহার ভারতনিবাসী ছিল না । ভারতে আসিয়া ইহার: প্রথম সিতানায় বসবাস করিতে থাকে কিন্তু ১৮৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দে সেস্থান হঠতে বিতাড়িত হইলে মালক:য় আসিয়া বাস করিতে থাকে । ভ্রমণ করিত ও ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্থজলে fব্রটিশ গবর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে ঠহাদের ষড়যন্ত্র সিপাহী-বিদ্রে হের পূৰ্ব্বে ও পরে ৪ কিছুকাল বিদ্যমান ছিল । ইঙ্গদের চরের ফকিরবেশে ভারতের নাম স্থানে বিস্তার করত । DDBB BBBB SBBB BBBBB BBBBB BBB BB করে । এই সময় গবর্ণমেণ্ট এই ষড়যমের উচ্ছেদসাধনের নিমিত্ত উঠি -পড়িয়া লাগেন, এবং তাহ:র ফলে কয়েক জন ওয়াহাবী নেতাকে গ্রেপ্রার করিয়া পাটনাতে এক মামল zয় ৪ তাহতে তাঙ্গদের সাজ হয় । ইহাতে এই ওয়াহাবা-ষড়যন্ত্র নিম্মুল হয়। এই সম্পর্কে যাহাদিগকে গ্রেপ্তার করা হয় আমির খী ছিল তাহাদের অন্যতম ।
