পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অীষাঢ় সাম্প্রদায়িক সাহিত্য Nలవ6 কলমে সংস্কার মুক্ত হইলেও হাতেকলমে সংস্কারেরই দাস । পীর পূজা (পীরপরস্তী ) বা গোরস্থানের পাথরকে চুম্বন করা বা দুলম্বুলের ঘোড়ার পায়ে জলদান বা পীর-মুরিদা প্রভৃতিও ফোটশিজম্ জড়পূজারই একটা রূপ। আরবের নৃপতি ইবন সাউদের কায্যকলাপও আমাদের মত সমর্থন করে । তিনি এই সকল পূজাদি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করিয়া দিয়াছেন । এই জড়পূজা ন্যায় বা অন্যায় নহে । যাহা আছে তাহার সহিত অন্থের বিরোধক্ত অন্যায় । খ্ৰীষ্টানদের মধ্যেও এই-জাতায় পৌত্তলিকতা আছে । কিন্তু এ-সব সত্ত্বেও মুসলমান বা খ্ৰীষ্টানকে কেই পৌত্তলিক বলিবে না । হিন্দু ও জড়পুঞ্জক বা পৌত্তলিক নহে। ঈশ্বরে বিশ্বাস বা ঈশ্বরের পূজা অস্তরের জিনিষ ; মাকুষ ঈশ্বরউপাসনা বা পূজার আনুষঙ্গিক হিসাবে বাহিরে যাহাই করুক তাঙ্গতে ইহ প্রমাণ হয় না যে সে ঈশ্বরকে ভুলিয়া বহিরের জড়বস্তু লইয়াহ মাতামতি করিতেছে । হয়ত ব্যক্তিগত ভাবে তাহাও কেহ করিতে পারে, কারণ মানুষের আস্তরিকতা সকল ধৰ্ম্মের লোকের মধ্যে সাধুর দেথ মিলিবে এবং শয়তানের দেখাওঁ মিলিবে । যদি এমন ইঠত যে ঈস্লাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলে মানুষ মাত্রেই সাধু হয়, তাহা হইলে পৃথিবীর যাবর্তীয় লোক ইসলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইত। হিন্দু ধৰ্ম্ম এবং খ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্ম সম্বন্ধেও একথা সত্য । কিন্তু দেথা যাইতেছে ধৰ্ম্মের আদর্শ যাহার যাহাই হউক, মানুষ সৰ্ব্বত্রই এক ; সেই জন্য মনে হয় সামাজিকতার ক্ষেত্রে যেথামে মাতুষে মামুধে সম্বন্ধ সেখানে ধর্শের প্রশ্ন ন তোলাই শ্রেয় । সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তাহই । আমরা যখন আরবী বা ফারসী পড়ি তখন আরব বা পারস্ত দেশের ধৰ্ম্ম সমাজ প্রভৃতি জানিবার জন্যই উহা পড়ি । আমরা যখন ইংরেজী পড়ি তখন ইংরেজদের সংস্কৃতির সহিত পরিচিত ( fetishism ) { সকলের সমান নহে । হইবার জন্যই তাহ পড়ি । এমম কি ইংরেজদের বাইবেল গ্রন্থ পাঠ যাহাতে হিন্দু ছাত্রদের পক্ষে আবশ্বিক হয় সেজন্য হিন্দুরাই উহা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে পাঠ্যরূপে মনোনীত করাইয়৷ লষ্টয়াছে । আমরা যদি বিদেশীর সংস্কৃতিকে ভয় করিতাম তাহা হইলে অতি সহজেই বিদেশী ধৰ্ম্মের যাবতীয় সংশ্ৰব সাহিত্যের দিক হইতে অস্তত ত্যাগ করিতে পারিতাম । ইংরেজীতে এইরূপ মনোবৃত্তিকে ফ্যানটিসিজম বলে । আমাদের ধৰ্ম্মবিষয়ে এই ফ্যামাটিসিজম নাই। সাহিত্যক্ষেত্রে ধৰ্ম্ম লইয়া গণ্ডগোল করা বড়ই লজ্জার বিষয় । কতকগুলি জিনিষ জানিলে ধৰ্ম্মে আঘাত লাগে, ধৰ্ম্ম এতখানি দুৰ্ব্বল বলিয়। ঘোষণা করাহ কি লজ্জাকর নহে ? জানা এবং পালন করা দুইটি সম্পূর্ণ পৃথক জিনিষ । নারায়ণ এবং লক্ষ্মীর সম্বন্ধ কি ইহা জমিলে ধৰ্ম্মে আঘাত লাগিবে কেন ? কোরানে কি আছে তাহ জানিলে, হিন্দুধৰ্ম্মে ত আঘাত লাগে না ? বরঞ্চ ম। জানিতে পারিলেই অজ্ঞতাজনিত দুঃখ পাই । যদি এমন হইত যে বাইবেল পড়িতে গেলে খ্ৰীষ্টান হইতে হইবে বা হিন্দু পুরাণ পড়িতে গেলে মন্দিরে দেবতাপূজা অভ্যাস করিতে হইবে তাহা হইলে অভিযোগের কারণ থাকিত । কিন্তু এরূপ কিছুষ্ট হইতেছে না । জ্ঞান লাভ করিব না বলিয়া জেদ কর। এ যুগের পক্ষে প্রকৃতই বাড়াবাড়ি । প্রসঙ্গত অার একটি কথা বল। প্রয়োজন । অচ্যু দেশের সাহিত্যের মত বাংলা-সাহিত্যের মধ্যেও কোন গুপ্ত উদ্দেশু নাই। অন্ত কোন ধৰ্ম্মের লোককে অকারণ পীড়া দিয় তাহাকে হিন্দু-সংস্কৃতিতে দীক্ষা দিবার ষড়যন্থও বাংলা সাহিত্য বা ভাষার মধ্যে নাই । পূৰ্ব্বেহ বলিয়ছি, কোন দীক্ষিত হওয়ার মধ্যে গুরুতর び জিনিষ গুণন এবং তাইতে পার্থক্য আছে । বৈশিষ্ট্যকেই অস্বীকার করার কথা শুনিতে বড় খারাপ লাগে । বাংলা-সাহিতা পড়িতে গিয়া বাংলা ভাষার