পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণচ নয়, দুইবার তিনবার—ইংরেজী বাংলা দেবনাগরী, নানা হরফের সংমিশ্রণে অপাঠ্য দুৰ্ব্বোধ্য। পাতার পর পাতা উন্টাইয়া চলিলাম, কিন্তু সেই একই রূপ । একটা পাতায় লেখার উপরে খুব মোটা করিয়া লেখা—Who is She ? আবার কিছুদূর গিয়া এক পাতায় খুব মোটা করিয়া লেখার উপরে লেখা—কি রূপ তার ? শেষ পর্য্যস্ত হতাশ হইয়া খাতাখানা বন্ধ করিয়া দিলাম । বসিয়া থাকিতেও ভাল লাগিল না । নীচে নামিয়া আসিলাম । 登 肇 莓 মনটা চিন্তাকুল হইয়াছিল, পাগলের অসম্পূর্ণ কাহিনীর সূত্র ধরিয়া মন তাহার জট ছাড়াইতে যেন ব্যস্ত ! বড়মামা খবরের কাগজ পড়িতেছিলেন, থান-দুই পৃষ্ঠা আমাকে দিয়া বলিলেন-পড় । কাগজের উপর চোখ রাথিয়াই বসিয়া রহিলাম। কিছু ক্ষণ পর বাহির দরজায় কে ডাকিল—রবিবাবু আছেন নাকি —রবিবাবু! মাম। তাড়াতাড়ি গিয়া দরজা খুলিয়া দিয়া কাহাকে বলিলেন—আসুন, আসুন । কবে এলেন কাশী থেকে ? মামার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে প্রবেশ করিলেন এক জন প্রৌঢ়, BBB BB BB S BBBBS BBB BB BBBB BB DDDS অস্ত ত: ব্যক্তিত্বে র্তাহার বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করিলাম । ত কৃপোষের উপর বসিয়৷ ভদ্রলোক বলিলেন—অজই এগারটায় এসেই রসরাজের মৃত্যুসংবাদ শুনলাম। সে ম। কি আপনার বাড়ীতেই মারা গেছে । তাই এলাম একবার । কি হয়েছিল ? বড়মাম বলিলেন—এ্যাপোপ্লেৰুি । খেয়ে উঠে হাত ধুতে ধুতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলেন। অতি অল্প ক্ষণের মধ্যেই মারা গেলেন ; একট। দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া ভদ্রলোক বলিলেন – রসরাজ আমার বাল্যবন্ধু ছিল । একসঙ্গে বি-এ পৰ্য্যস্ত পড়েছি । লোকে আমাদের ঠাট্ট করে বলত মাণিকজোড় । বি-এ পড়তে পড়তেই সে পাগল হয়ে গেল। রসরাজ ষ্টুডেন্ট খুব ভাল ছিল । কিন্তু বেশী পড়তে পারত না সে । জামেন ত মস্তিষ্কবিকৃতি ওদের বংশের রোগ । ভদ্রলোক নীরব হইলেন । বড়মাম সহসা প্রশ্ন করিলেন--আচ্ছা লোকে বলে উনি শবসাধনা কি কালীসাধনা করতে গিয়ে পাগল হয়েছিলেন– কথাটা কি সত্যি ? আবার অনেকে বলে শেষ বয়সে না কি সিদ্ধও হয়েছিলেন । ভদ্রলোক বলিলেন—কি বলব ? হুঁ্য সাধনা বটে, তবে শবসাধনা কি কালীসাধন নয়। অদ্ভুত সে কথা। কেউ হয়ত বিশ্বাস করবে না । একবার এক ডাক্তারকে প্রতিপ্রনি BoNう বলেছিলাম—সে হেসে বলেছিল—ও সমস্তই তার বংশাতুগত রোগের ক্রমপরিণতি । বড়মাম বলিলেন–কি ব্যাপার একটু বলুন না। অবশু যদি বাধা না থাকে । ভদ্রলোক বলিলেন—ন, বাধা কিছুই নেই। বাধা আর কি ? আমি আর কৌতুহল সম্বরণ করিতে পারিলাম না, বলিয়া ফেলিলাম —-মুদি বলতেন তাহ’লে— কথাটা শেষ করিতে পারিলাম না, ভদ্রতাবোধ মনের মধ্যে বড় হইয়া ऐंठठिल । বড়মাম বলিলেন—আমার ভাগ্নে এটি নীলমাধববাবু । রসরাজদ সম্বন্ধে ওর বড় কৌতুহল--র্তাকে ওর বড় ভাল লাগত। আর শিবু, ইনি হচ্ছেন শ্ৰীযুক্ত নীলমাধব ঘোষ, এথানকার কলেজের ফিলজফির প্রফেসার ছিলেন । এখন রিটায়ার ক’রে কাশীবাস করছেন । আমি তাড়াতাড়ি নমস্কার করিলাম। প্রতিনমস্কার করিয়া নীলমাধববাবু বলিলেন, রসরাজকে আপনার ভাল লাগত ? শুনে আমার আনন্দ হ’ল । কিন্তু এখন ত আমার সময় হচ্ছে না, একটু কাজে বেরিয়েছি আমি । যাবেন দয়া ক’রে সন্ধের সময় আমার বাড়ী—রবিবাবু, যাবেন ভাগ্নেকে সঙ্গে ক’রে । রসরাজের কথা শোনাব । ভদ্রলোক বিদায়-নমস্কার করিয়া চলিয় গেলেন, যাইবার সময় আবার বলিয়া গেলেন—যাবেন সন্ধ্যেবেল ভাগ্নেকে সঙ্গে করে | 赛 粤 攀 সন্ধ্যায় নীলমাধববাবু বলিলেন—বহুক্ষণ থেকেই রসরাজের কথা ভাবছি। কিন্তু বৃদ্ধ হয়েছি—সব কথা ঠিক পর-পর মনে হচ্ছিল না । তাই চায়েরীখান বের করেছি, এ থেকেই বেছে বেছে শোনাই ... ওরে লছমন, চা নিয়ে আয়ু । তাড়াতাড়ি বলিল ম–না, ন, চায়ের প্রয়োজন নেই । হাসিয়া বুদ্ধ বলিলেন না, প্রয়োজন আছে--- সৃহস্তের ধৰ্ম্ম এটা। সামান্ত চ আর একটু মিষ্টিমুখ। ‘না' বলবেন ন. দুঃথিত হব ।...আমার আজ বড় আনন্দ হচ্ছে রসরাজকে ভাল লাগত আপনার, তার কথা শুনতে চান আপনি --- পাগল রসরাজকে দেখেছেন আপনি, সুস্থ সৌধীন যুবক রসরাজকে কল্পনা করতে পারবেন না । গৌর দেহুবর্ণ, পেশ-সবল দেহ, মাথার চুলের পরিপাটা, সৌধীন বেশভুষ!-- সে রূপ আমার চোখের সামনে আজও জলজল করছে। আর পৃথিবীতে সে চলত অত্যন্ত লঘুভাবে – একটা আনন্দময় রহস্তপ্রিয়তার মধ্য দিয়ে । চিস্তাপ্রবণতার প্রতি একান্ত ভাবে বিমূখ ছিল সে, ব্যঙ্গ আর রহস্ত করাই ছিল তার স্বভাব । এ নিয়ে একদিন তাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম । সেইখান থেকেই আরম্ভ করি ।