পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগষণচ মনে হয় পুৰ্ব্বাঙ্গাময়ই ধ্বংসাবশেষ এখন হমুমন্ত্ৰ অস্ত্ৰ পরিচিত । “এবার গোড়ী-বাহরাইচ জেলায় দুর্ভিক্ষ। পুকুর সবই শুষ্ক, বর্ষার ফসল জন্মায়ু নাই, রবিশস্তের ও জলের অভাবে বিশেষ চাষ হয় নাই, স্বতরাং আগামী বর্ষা পর্যন্ত ইহাদের কষ্টের অবস্থা চলিবে। এ অঞ্চলের লোক বিশেষ ক্লিষ্ট মনে হয়, সরকারের তরফে রাস্ত-মেরামতাদি কাজ আরম্ভ হইয়াছে, মজুরীর হার পুরুষের দশ পয়সা, অন্যদের দুই আন, তাই লোকে দু-ক্রোশ-তিন ক্রোশ দূর হইতে আসাযাওয়া করে। ভুট্টার দান চার আন সের। লুম্বিনীর পথে লোকের এইরূপ কষ্ট দেখি নাই । “শেয পত্র চম্পারণ জেল হইতে লিখিব। নেপাল পৰ্য্যস্ত দু-এক জন সঙ্গী পাওয়া যাইবে, সুতরাং নেপাল হইতেও তাহাদের মারফৎ একটি চিঠি পাঠাইব । তাহাতে ভবিযুতের জন্য কি উপায় স্থির হইয়াছে তাহা জানিবে। নেপালে পেীড়িবার পর হতে দেড় শত টাকা থাকিবে বোধ হয় । যাত্রার জন্ত বুদ্ধগয়ার মহাবোধিদ্রুমের ত্রিশ-চল্লিশটি পাতা, কুশীনারার কুশ ইত্যাদি লইয়াছি । “আজ অন্ধবন দেখিবার ইচ্ছা আছে।" 冰河 譽 豪 ২২শে ফেব্রুয়ারি রাত্রে চম্পারণ যাত্রা করিলাম । গোরখপুরে গাড়ী বদলের পর দশটার সময় ছিতৌনী ঘাটে পৌছিলাম। গণ্ডকের পুল ভাঙিয়া যাওয়ায় অনেক দূর পৰ্য্যস্ত নদীর বালির উপর চলিতে হইল । দেখিলাম পশুপতিনাথের বহু যাত্রী এখনই নৌকা পথে চলিয়াছে, কিন্তু আমার হিসাবে এখনও যাত্রার আট দিন বাকী । নরকটিয়াগঞ্জের নিকট বিপিনবাবুর বাড়ীর কথা মনে পড়ায় স্থির করিলাম সেখানেই যাওয়া যাক । বিপিনবাবু ছিলেন না, তবে তার ছোট ভাইকে বাড়ীতেই পাওয়া গেল । বে-ঘরের পক্ষে ঘরের সন্ধান পাওয়া কতট সহজ । কিন্তু এখন প্রশ্ন হইল ষে আট দিন কি করা যায়। কি করিলাম তাহ ২৮শে ফেব্রুয়ারি আনন্দকে লিথিত পত্রে আছে :– “বলরামপুর হইতে চিঠি পঠাইয়াছিলাম। এখানে আসা

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর . BBB BB BBBBB BB BB BBB BS BBBBS BBB BB BBBBS BBB S

ஒஇல் এই প্রকারে সময় কাটাইতেছি। “পিপরিয়া-গাওয়ের কাছে রমপুত্ববায়ু গিয়াছিলাম। লেখনি কাছাকাছি ছুটি অশোক-স্তম্ভ পাওয়া গিয়াছে যাহার একটিতে শিলালিপি আছে। পুরাতত্ত্ব-বিভাগের খননে, একটি বৃষমূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে যাহা একটি স্তম্ভের শীর্ষে ছিল, অন্যটির উপর কি ছিল তাহ এখনও সঠিক জানা যায় নাই। লোকপরম্পরায় এরূপ শোনা যায় যে ঐ স্তম্ভে ময়ুর ছিল । ময়ূর মৌর্য্যদের রাজচিহ্ন এবং পিপরিয়া গ্রাম কাছেই আছে, তবে কি মৌর্য্যদের প্রজাতন্ত্র রাজ্যের পিপ্পলীবনই এই পিপরিয়া-গাও ? পিপ্পলীবন মৌর্য্যদের মূলস্থান, উহার অধিবাসিগণ বুদ্ধকে সম্মান করিত এবং কুশীনারায় পিপ্পলীবনস্থ মৌর্য্যগণ চিতাভষ্মের অংশ পাইয়াছিলেন,—বিলম্বে আসায় অস্থি বা পুষ্প পান নাই। এখানে একই স্থানে দুইটি অশোক-স্তম্ভ স্থানের মাহাত্ম্য প্রকাশ করিতেছে। মনে হয়, নিজের বুদ্ধভক্ত পূৰ্ব্বপুরুষদিগের অস্থিান বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করিবার জন্যই সম্রাট অশোক এইখানে দুইটি স্তম্ভ প্রোথিত করেন । “পিপ্পলীবনের মত ছোট গণতন্ত্রের রাজধানী বিশেষ বড় শহর হওয়া সম্ভব নহে। অজাতশত্রুর সময় ইহা নিশ্চয়ই মগধ-সাম্রাজ্যের সীমাভুক্ত ছিল । খ্ৰীষ্ট-পূৰ্ব্ব পঞ্চম শতাব্দীর ক্ষুদ্র নগরের ধ্বংসাবশেষ বিশেষ স্পষ্ট না হইবারই কথা, বিশেষত যখন সে সময়কার অধিকাংশ পুরীপ্রাসাদ কাঠময় ছিল। ইহার ধ্বংসাবশেষ এখন বিশ-বাইশ ফুট মাটির নীচে জলতলের সমীভূত । “রমপুরবা হক্টতে সাত-আট মাইল উত্তরে «λιξή গিয়াছিলাম। উহ। নেপালের ভিতর এবং তিব্বতের অন্য এক পথের মুখে। ঠোরী হইতে তিন মাইল দক্ষিণে মহযোগিনীর গড় আছে, নীচের ইটের গঠন দেখিয় মনে হয় ইহা মুসলিম-আমলের পূৰ্ব্বেকার জিনিষ । পুরানো মন্দির সুদৃঢ়ভাবে প্রস্তরনিৰ্ম্মিত ছিল, মুসলমানের নষ্ট করিবার পর এক-শ কি দেড়-শ বৎসর পুত্র নৃতন মন্দির নিৰ্ম্মিত হয়। ইহা এখন তরাইয়ের জঙ্গলের মধ্যে ।" “এখানে থান্ধ' নামে এক বিচিত্র জাতির সঙ্গে পরিচয় হইল । বহু বিদ্বান ব্যক্তি ইহাদের সম্বন্ধে গবেষণা করিয়াছেন। - :|i i