পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# শ্রাবণ যে দেবগণ মাত্র জড়ের অধিষ্ঠাতৃদেবত রূপে প্রতিভাত হন নাই তাহ নিঃসন্দেহ । অতএব ঋষিগণ জড়প্রকৃতির উপাসক ছিলেন, এ-মত ভ্রান্ত । প্রাকৃতিক ব্যাপারের আগস্তুক দেবতা হিসাবেই ইন্দ্রদি দেবগণকে তঁাচারা কল্পনা করিয়াছিলেন । ২ । সবিতা, রুদ্র, বায়ু প্রভৃতি দেবকে4 মাত্র জড়ন্তোতক প্রাকৃতিক দেব বলা চলিবে না । যে-সকল যুক্তির বলে ইন্দ্রকে প্রাকৃতিক দেব বল চলে না সে-সমস্ত যুক্তিই বৈদিক অস্থানু দেব সম্বন্ধেও প্রযোজ্য । অবশু যেখানে ঝড়, জল, অরণ্যকে সরলভাবে আবাহন করা ইষ্টয়াছে সেথানে মাত্র প্রাকৃতিক বস্তুষ্ট আতুত হইয়াছে বুঝিতে হুইবে ; এই সকল স্তবে কোনও অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃত কথা নাই । চন্দ্র, বরুণ রুদ্র প্রভৃতি আগন্তুক দেবগণ ধে একই আদর্শে কল্পিত হইয়াছিলেন তাহাতে সন্দেহমাত্ৰ নাই । ৩ । বিভিন্ন জাতির মধ্যে বৈদিক দেবগণ অতুলপ নামে পূজিত তহঁতেন সত্য, কিন্তু এই উক্তিতে তাহারা যে জউদ্যোতক প্রাকৃতিক দেব মাহ সিলেন তাহা প্রমাণিত হয় না । ইহাতে এষ্টমার বুঝা যায় যে এই সকল জাতির ও হিন্দুর পূর্বপুরুষগণ পুরাকালে হয় এ ত্র ছিলেন বা তাহদের মধ্যে ভাপের আদম প্রদান ছিল । কেন বা কি করিমু দেবকল্পনা তঙ্গল এ-প্রকার বিচারে "াহ! নিধাবিত হয় না। উন’ ধাত্র অর্থ ‘বর্ষণ’ অতএব বর্ষণেব দেবতার নাম হইল ‘ইন্দ্র', ইহাও সক্তি নহে । প্রথমত ভারতীয় নিরুক্তিকারগণের মতে ঠন ধাতু মুখ্যত: ঐশ্বযাবাচক । ইন্দতের্বৈশ্বয মন । ইন্দ্রের দেবত্ব নিম্পন্ন ততবার পর ইন্দ ধাতুর নানা প্রকার অর্থ আসিয়ছে। ইন্দ্র শব্দের বিভিন্ন নিরুক্তির জন্য নিরুক্ত ১•৮ এবং সায়ণ ১৩।৪ দ্রষ্টব্য । ইন্দ ধাতুর মুখ্যার্থ বর্ষণ এ কথা নিরুক্তে নাচ । নিরুক্তে দান, পোষণ, বিদারণ, দ্রবণ ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থ নিম্পন্ন করা হইয়াছে । ইন্দ ধাতুর অর্থ বর্ষণ মানিয়া লইলেও আপত্তি উঠিবে যে এই অর্থ ইন্দ্রকে বর্ষণের দেব বলিয়া কল্পনা করিবার পর নিদিষ্ট হইয়াছে । আদিতে অপর কোন কারণে ইন্দ্র জলদাতা রূপে বিখ্যাত হইয়াছিলেন, পরে ইন্দ ধাতুর অর্থ বর্ষণ হইয়াছে । ইংরেজীতেও এরূপ প্রয়োগ আছে, যথা, macadanize, galvanize FE:f mesmerize, boycott, স্বয বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক বস্তু কি করিয়া দেবরূপে পরিচিত হইল তাহ পরে নির্দেশ করিয়াছি । কি কারণে বজ্র ইন্দ্রের আয়ুধ হইল তাহাও পরে বিচার করিব । ৪ । ইন্দ্র, বায়ু প্রভৃতি দেবতা যে প্রাকৃতিক রূপক মা ঋকৃস্বত্ত-পাঠে তাহা বুঝা যায়, অনেকে এ-কথা বলেন । ইহার জ্যোতিধিক বা আস্তরাক্ষ ব্যাপার হিসাবেই সুক্তগুলির ব্যাখ্যা করেন। রূপক ব্যাখ্যার বিশেয এই যে ইহার সাহায্যে ঋগ্বেদে ইন্দ্র

w

Bu* * সকল বস্তু বা ব্যাপারেরই স্বাভাবিক অর্থ উণ্টাইয় দেওয় যাহতে পারে । রূপকের অসাধা কিছুই নাই। রূপক ব্যাখ্যা সম্ভব বলিয়া বিষয় রূপক-হিসাবে লিথিত হইয়াছিল এ-যুক্তি আসার । ইন্দ্রস্তুতিতে সর্বত্র প্রাকৃতিক রূপকের সন্ধান করিতে যাইয়৷ বহু শব্দের কষ্টকল্পিত অর্থ করিতে হইয়াছে। যথা-বুত্র অর্থে মেঘ, পৰ্ব্বত অর্থেও মেঘ ইত্যাদি। যে-যে স্থলে ইন্দ্রকে সেনানায়ক, সম্রাট, শ্মশ্রীধারী, সুনাসিক প্রভৃতি বিশেষণে অভিহিত করা হইয়াছে সেই সকল ক্ষেত্রে রূপক অর্থ করা অতি কষ্টসাধ্য । ইন্দ্রকে ঋষি গো-দাতাই বা কেন বলিতেছেন ? ন্দ্রের অশ্ব আছে এ-কথারই বা অর্থ কি ? ঋকুসমূহ মনোনিবেশ সহকারে পাঠ করিলে যে-কেহ দেখিতে পাইবেন, যে সর্বত্র রূপক ব্যাখ্য' সঙ্গত নহে । যদি অনুমান করা যায়. যে, প্রাকৃতিক ষ্ঠোতক সন্তাকে দেব-রূপ দিতে যাহয় তাহাকে দেহধারা কল্পনা করা হইয়াছিল, তাহা হইলেও ইন্দ্রে বিশেষ বিশেষ গুণগ্রাম কেন আরোপিত হইয়াছে, তাহার সস্তোষজনক ব্যাথ্য পাওয়া যায় না । ইন্দ্রের পঞ্চমূতি ।-ইন্দ্র-সম্বন্ধায় স্বত্তগুলি পাঠ করিলে দেথা যায় যে হন্দ্র (ক) কখনও আকাশবাসী জৌতিষিক দেবরূপে উপাসিত হইতেছেন। যথ! -- হে মনুষগণ । ( যারূপ ইঞ্জ ) ( নিদ্রায় ) সংজ্ঞারহি স্তর্কে স ও দান করিয় { অন্ধকারে ) রূপরহিতকে রূপ দান করিয়া জ্বলন্ত রশ্মির সহি ঠ উদিত হইতেছেন । ঋ । ১ম । ৬৩ ৷ ( খ ) কখনও বা ইন্দ্রকে অন্তরীক্ষবাসী আবহ দেবতা বল হইতেছে । যথা— হে সৰ্ব্বক্ষলন্ত , হে বৃষ্টিপ্রদ ইস্‌ ! তুমি আমাদের জন্ত ঐ মেঘ উদ্‌ঘাটন করিয় দাও, তুমি আমাদের যাঙ্ক কখনও অগ্রাহ কর নাই । ঋ। ১ম ৭i৬ বা প্রকে ইলাবৃতবাসী যখ{--- (গ ) কখনও আবাহন কর হইয়াছে । cহ বায়ু ও ইস্ট্র ' অভিযুবকর যজমানের অভিযুক্ত সোমরসের নিকট আইস . হে নরদ্ধয় । এই কম ত্বরায় সম্পন্ন হুইবে । ॥ধ ১ম ২৬। নর রাপে যুব মেধাবী প্রভূতবলসম্পন্ন সকল ক:ম র ধৰ্ব, বঞ্জযুক্ত, ও বই স্ততিভা জন ইন্দ্র । অস্তরদিগের । নগরবিদ্যুবকরূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । ধl১ম ১১161 বাহুল্য ভয়ে আরও উদ্ধৃতি দিলাম না । ‘হে অশ্বযুক্ত ইন্দ্র ? হে সোমপায়ী ইন্দ্র ? 'সম্রাট ইন্দ্ৰ ! ইত্যাদি নরোচিত বর্ণনার প্রাচুর্য ঋকৃঙ্গক্তে দেখিতে পাওয়া যায়। (খ ) নিরুক্তকার যাস্ক পত্যক্ষ ও পরোক্ষ দেবতা হিসাবে মস্ত্রের প্রকারভেদ নির্দেশ কfরয়াছেন । ইন্দ্র কখনও বা মঙ্গলকারী অদৃপ্ত দেব রূপেও পূজিত হইতেছেন। যথা—