পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ আড়তে হিসাব লেথার কাজ করে, এত সব দেখিয়া তার বাব শম্ভর সঙ্গে তার বিবাহ দিছিল, তার দাত উচু কালে মেয়েকে । ন-ই বা দিত ? পাশের গায়ের জগৎ নামে যে লোকটি জমি চাষ করিয়া থায় তার সঙ্গে দিলেই ইষ্টত ? সে লোকটা এমনিই বশে থাকিত সরলার, আর অদৃষ্টে থাকিলে তাহাকে দিয়া আস্তে আস্তে অবস্থার উন্নতি করিয়া এমন দিন হয়ত সে আনিতে পারিত যখন ডুরে শাড়ীটি পরিয়া মল বাজাইয় সে ঘুরিয়া বেড়াইত, না করিত সংসারের কাজ, ন শুনিত কারও বকুনি। দোকানদারের দাত উচু কালে মেয়ের মুখ্য চাষ স্বামীই ভাল । লেখাপড় শিথিয়া পরের আড়তে যে কাজ করে আর পরের টীকায় দোকানী হয় তাব মত পাজী বজাত লে – পরদিন অনেক বেলায় শস্তু ফিরিয়া আসা মান সরলা টের পাইল যে-লোকটী কাল বাড়ী ছাড়িয়া গিয়াছিল অবিকল সেই লোকটাই ফিরিয়া আসে নাই । গিয়াছিল দমআটকানো অবস্থায়, ফিরিয়া আসিয়াছে ষ্টাফ চাড়িয়া । শস্থ একবার একটা মামলায় পণ্ডিয়াছিল, রায় প্রকাশের দিন সে যেমন অবস্থায় কোটে গিয়াছিল আর স্বপক্ষে রায়ু শুনিয়া যেমন অবস্থায় ফিরিয়া আসিয়াছিল এবার শ্বশুরপাণ্ডী যাওয়া-আসা তার সঙ্গে মেলে । —টাক পেলে ? সরলা জিজ্ঞাসা করিল। শস্থ একগাল হাসিয়া বলিল, ই পেয়েছি । —সব ? —সব । পাথাটা কই ? বাতাস কর না একটু । সরল হাত বাড়াইয় দেখাইয়া দিল, ওই যে পাথ বেড়ার গায়ে। ষ্ট্যাগো, দাদা কিছু বলল ন৷ এই টাকার ব্যাপার নিয়ে ? বিয়ের সময় তোমাকে চার-শ টাকা পণ দেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে যে কাণ্ডটা বেধেছিল দাদার ! শঙ্কর মুগের হাসি মিলাইয়া গিয়াছিল, কড়া দৃষ্টিতে চাহিয়া সে বলিল, ঘেমেটেমে এলাম এই রোদে, পাথাটা পৰ্য্যস্ত এনে দিতে পার না তুমি হাতে । অন্য কেউ হ'লে বাতাস করত নিজে থেকে, বলতেও হ’ত না । সরল হাসিয়া বলিল, ছোট বেী করে, ঠাকুরপো ওকে খুব হাসায় কি-না সেই জন্যে। পাপাট আনিয়া সরলা স্বামীকে বাতাস করিতে লাগিল 8 سباس-جون দোকানীর বউ (:O(: বটে, বাতাসে শম্ভু কিন্তু ঠাণ্ড হইল না। ভিতরে ভিতরে সে যে গরম হঠয়াই আছে সেট বোঝা যাইতে লাগিল তার মুখের ভাবে ও তাকানোর রকমে। সরলা আনমনে বলিতে লাগিল, যাট, যাট ! আমার মাথার যত চুল তত বচ্ছর পরমাযু হোক ছোট বৌয়ের । —কেন ? —কাল রাত্তিরে দুঃস্বপন দেখলাম যে । হাসতে হাসতে ছোটবেট যেন মরে গেছে বুক ফেটে ! আগুন লাণ্ডক আমার পোড় স্বপন দেথায় ! শম্ভু রাগিয়া বলিল, ইয়ার্কি জুড়েছ নাকি আমার সঙ্গে, এ্যা ? ভাল হবে না বলছি । ঘেমেটেমে এলাম আমি— বকুনি শুনিয়া সরলা অভিমান করিয়া পাখী ফেলিয়া রোয়াকে গিয়া ছেড়া মাদুরে শুইয়া পড়িল ৷ কিছুক্ষণ পরে বাহিরে আসিয়া তেল মাখিতে মাধিতে শস্তু বলিল, রাগ হ'ল নাকি ? রাগবার মত কি তোমাকে বলেছি শুনি ? সরল জবাব না দেওয়ায় গামছা-কাধে সে স্নান করিতে চলিয়া গেল পুকুরে । চলস্থ স্বামীকে দেখিতে চৈত্রের রোদে চোথে যেন ধাধা লাগিয়া গেল সরলার । ডুরে শাড়ী নয়, লজেঞ্ছস নয়, সোহাগ নয়, মিষ্টি কথা নয়, শুধু সে রাগ করিয়াছে নাকি জিজ্ঞাসা করিয়া স্বাম করিতে চলিয়া যাওয়া ! একদিনে এমন অধঃপতন হইয়াছে শঙ্কুর ? কে জানে, স্বান করিয়া আসিয়৷ থাইতে বসিয়া ডাল পোড়া-লাগার জন্য সরলাকে হয়ত আজ সে গালাগালি পৰ্য্যন্ত দিয়া বসিবে ! সব কথা খুলিয়া বলিয়া বাবার সঙ্গে পরামর্শ না করিয়া কি ভুলই সে করিয়াছে ! ডাল পোড়া-লাগার জন্য শস্তু কিছু বলিল না, বরং মুখ ভার করিয়া না থাকার জন্য একবার অযুরোধই করিল সরলাকে । সরলা সজল মুরে বলিল, বকলে কেন ? শত্ব বলিল, না, বকি নি। ঘেমেটেমে এলাম কিম।– খাওয়ার পর সরলাই আজ তাকে তামাক সাঞ্জিয়া দিল । সাজিয়া দিল, ফু দিয়া তামাক ধরাইয়া দিল না। আয়নাব সামনে সে অভিনয় করিয়ু দেখিয়াছে যে ফু দিবার সময় বড় বিশ্ৰ দেখায় তার মুখখান। শম্ভু নিজেই তামাক ধরাইয়া পরম পরিতৃপ্তির সঠিত টানিতে আরম্ভ করিল। সরলা বলিল, ঠাকুরপো য। বিক্রীস্ত্রিী করেছে, হিসাব নিও।