পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

T. Ł দোকানীর বউ (got বস্থা, আর কোথাও আলো নাই । বেড়া ডিঙাষ্টযু Fবাড়ীর আলো খানিকট শোবার ঘরের চালে আসিয়া ড়িয়াছে। ঘরে গিয়া একটা দেশলাইয়ের কাঠি জালিয়া ফুল যে খাটে গুইয়া আছে শস্থ তাহাও দেখিয়া লইল, একটা |ਿ8 ধরাইয়া লইল। তার পর সরলাকে একবার ডাকিয়৷ |াড়া না পাইয় নিশ্চিন্ত মনে চলিয়া গেল ওiাড়ীতে । তখন উঠিয়া বসিল সরলা। এ-বাড়ীতে এক বছর |াণীর মত যে মল বাজাইয় সে ষ্টাটিয়া বেড়াইয়াছে আজ }থম সেই মলগুলি খুলিয়া ফেলিল। এমন হাল্কা মনে ইতে লাগিল পা দুটিকে লার। লঘুপদে সে নামিয়া গল উঠানে। বেড়ার ফুটায় চোখ দিয়া বুঝিতে পারিল ৪-বাড়ীর একমাত্র কালি-পড়া লণ্ঠনটি জলিতেছে বড় ঘরে এবং ও-ঘরেই আসর বসিয়াছে তিন ভাইয়ের, দরজার কাছে সিয়া আছে কালী অার ভিতরে তার শাশুড়ীর শরীরট হিয়াছে আড়ালে, শুধু দেখা যাইতেছে মাল-জপ-রত হাত । iাল্লার চালাটার পিছন দিয়া ঘুরিয়াই বেড়ার ওপাশে ও-বাড়ীর উঠানের একটা প্রাস্ত পাওয়া যায়। সরলা সেদিকে গেল না, একেবারে নামিয়া গেল ও-বাড়ীর রান্নঘর ও তার লাগাও ক্ষেস্তির ঘরের পিছনে ঝোপঝাড়ের মধ্যে। কি অন্ধকার চারি দিক। ভয়ে সরলার বুক চিপ টিপ করিতেছিল । ছিটাল পার হওয়ার সময়ে পায়ে একটা মাছের কাটা ফুটিল । কিন্তু কি করিবে সরলা ? ভয় করা আর মাছের কাট ফোটাকে গ্রাহ করিলে তার চলিবে কেন ? এক মেয়েমানুষ সে, এতগুলি লোক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র জুড়িয়াছে, রচনা করিতেছে ফাদ । কিসের ভয় এখন, কিসের র্কাট ফোট ! আর যা হয় হোক, অন্ধকারে এভাবে বনে জঙ্গলে আর ছিটালে ইটার জন্য কিছু যেন তার নাগাল না পায়, পেটের ছেলেট এবারও যেন তার মরিয়া না যায় জন্ম নেওয়ার আগেই। এলোচুলে সে ঘরের বাহির হয় নাই, একটি চুল ছিড়িয়া ফেলিয়া বা-হাতের কড়ে-আঙুলের নখে །ས། ཨ་ཀྱཱ་ দিয়া তবে উঠানে নামিয়াছে, এই যা ভরসা সরলার। বড় ঘরের পিছনে কয়েকটা কলাগাছ আছে, ঘরের છૂળે F- আছে এদিকে। উচু ভিটার ঘর, জানালাগুলিও বেড়ার অনেক উচুতে। এত কষ্টে এখানে আসিয়া জানালার নাগলি না পাইয়া সরলার কান্না আসিতে লাগিল । তবে জানালার পাশে পাতা চৌকীতেই বোধ হয় তিন ভাই বসিয়াছে, ওদের কথাগুলি বেশ শোনা যায়, শুধু বোঝা যায় না পুটি কালী শাশুড়ী ওদের মন্তব্য। কান্না এবং ঘরের ভিতরের দৃশ্বটা দেখিবার প্রবল ইচ্ছা দমন করিয়া সরল কান পাতিয়া শুনিতে লাগিল । শঙ্কুর গল ; কবার ত বললাম, এই সোজা হিসেবটা তোর মাথায় ঢোকে না বদ্যি ? আমার দোকানে যা মণিহারী জিনিষ আছে তার দাম এক-শ'র বেশীই হবে,—ধরলাম মাল না কেনার জন্যে হাতে জমেছে এক-শ দু-পাচ টাকা,—ধরলাম এক-শ । আর শ্বশুর-মশায় দিয়েছে তিন-শ। এই হ'ল পাচ-শ,-আমার ভাগ। তুই আর দাদা পাচ-শ ক’রে দিলে হবে দেড় হাজার । হাজার টাকায় দোকান হবে ; হাতে থাকবে পাচ-শ । হাসি চাপিতে ক্ষেস্তির মুখে কাপড় গোজার আওয়াজ । দীননাথের গল। : বৌমা ! বেহায়াপনা করো না বেীমা । —কি জনিস শস্তু, বড় বৌয়ের সব গয়না বেচে আর কুড়িয়ে-বাড়িয়ে আমি না-হয় পাচ-শ দিলাম, বদ্যি অত টাকা কোথা পাবে ? ছোট বোমার গয়না বেচলে ত আত টাকা হবে না। বৈদ্যনাথের গল ; শ-তিনেক হয় ত ঢের । আমার বিয়ের আংটি বেচলে— শঙ্কুর গল! : থাম্‌ বাপু তুই, সব সময় খালি ফাজলামি তোর । দীননাথের গলা : যেমন স্বভাব হয়েছে তোর তেমনি স্বভাব হয়েছে ছোট বৌমার । শঙ্কুর গলা : ঋক্, যাক্ । কাজের কথা হোক। বদ্যি তবে আড়াই-শ দিক, লাভের আমরা যা ভাগ পাব ও পাবে ভাগাভাগির কথা বলছি এই জন্যে, আগে থেকে এসব কথা ঠিক ক’রে না রাখলে পরে আবার হয়ত গোল বাধবে । যে যত দেবে তার তত ভাগ, বাস্, সোজা কথা ; সব গণ্ডগোল মিটে গেল । একটু স্তব্ধতা। তার পর দীননাথের গল ; তবে আমিও এক-শ । তবে তার অষ্ট্ৰেক ।