পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দতত্তের একটি তর্ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঐযুক্ত বিজনবিহারী ভট্টাচাৰ্য্য শব্দতত্ত্বঘটিত তার এক প্রবন্ধে “গান গা’ব" বাক্যের "গা"প" শব্দটিকে অশুদ্ধ প্রয়োগের দুষ্টাস্তস্বরূপে উল্লেখ করেছেন । এই দুষ্টান্তটি আমারই কোন রচনা থেকে উদ্ধৃত । স্বীকার করি, এরূপ প্রয়োগ আমি ক'রে থাকি। এটা আমার ব্যক্তিগত বিশে ত্ব কি মা তারই সন্ধান কল্পতে গিয়ে আমি মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত বিধুশেখরকে জিজ্ঞাস করলেম ঘে যদি বলি, “আজ সভায় আমি গান গ’ল ন গালে বসন্তবাবু, এখানে গ:- গা’বার আরো অনেক লোক আt .8" তাতে কোন দোষ হবে কিনা—প্রশ্ন শুনে তিনি বিস্মিত হলেন, বললেন তার কানে কোথাও ত্রুটি ঠেকৃষ্ঠে না । বাংলা *াক:কার্যকর পূণ্ডিত হরিচরণকেও অনুরূপ প্রশ্ন করাতে তিনি বললেন তিনি স্বয়ং এই রকমই প্রয়োগ ক’রে থাকেন । বিজনবিচারীর সঙ্গেও আলোচনা করেছি । তিনি বাংল শব্দ এক্সের একটি নিয়মের উল্লেখ ক'রে বললেন, বাংলা গাওয় শব্দটার মূলধাতু “গাহ ”—যে ইকার এই হ ধ্বনির সঙ্গে মিলিত, তাক বৈধব্য ঘটলেও বিনাশ হয় না, গু লোপ হ’লেও ই টিকে থাকে । অতএব গাওয়া থেকে গাঠব হয়, গ’ব হ'তে পারে না, সহমরণের প্রথা এস্থলে প্রচলিত নেই। আমাকে চিন্তা করতে হ’ল । শব্দের ব্যবহারটা কী, আগে স্থির ই’লে তবে তার নিযুম পরে স্থির হতে পারে । বল বাহুল্য, বাংলার ধে ভূভাগের ভাষা প্রাকৃত বাংলা ব'লে আজকালকার সাহিত্যে চলেছে সেইখানেই অগুসন্ধান করতে হবে । এখানে ই ধ্বনিযুক্ত ক্রিয়াপদের তালিকা দেওয়া যাক – কং, গাং, চাহ, নাহ, সহ, বাঙ্গ, বহ, দোহ । দেখা যায় অধিকাংশ স্থলেই এই সকল ক্রিয়াপদে ভবিষ্যৎ কারকে বিকল্পে ই থাকে এবং লোপ পায় । “কথা কইবে”ও হয় “কথা ক’বে”ও, যথা, “গেলে কথা ক’বে না সে নব ভূপতি।” ভিক্ষে চাব না বললেও হয়, ভিক্ষে চাইব বললেও হয় । “তোমার কাছে শাস্তি চ’ব না” গানের পদটি আমারই রচনা বটে, কিন্তু করে কানে এ পর্য্যস্ত খটকা লাগে নি । “এ অপমান সবে না’ কিম্বা “দুঃখের দিন ব্ল’বে না" বললে কেউ বিদেশী ব’লে সন্দেহ করে না। মূদি বলি "গঙ্গায় না’বে, ন তোলা জুলে’ তা হ’লে ভাষার দোষ ধ'রে শ্রোত আপত্তি করবে না । কেবল বহ। ও বাহা ক্রিয়াপদে "ব'বে” “বাবে” ব্যবহার শোনা যায় না তার কারণ পাশাপাশি দুটো “ব"-কে ও} পরিত্যাগ করতে চায় । ই ধ্বনি বর্জিত এই জাতীয় ক্রিয়াপদে প্রাকত প্রয়োগে নিঃসংশয়ে ই স্বর লুপ্ত হয়। কথ্য ভাষায় কখনই বলি নে গাইব, যাইব, পাইব । “দোহ” ক্রিয়াপদের আরম্ভে ওকার আছে, তারই জোরে ই থেকে যায়—বলি “গোর দুইবে” । কিন্তু একেবারেই হ লোপ হ’তে পাবে না ব'লে আশঙ্ক কবি নে। “রুগ্ন গোরু কথনষ্ট দেবে না" বাক্যটা অকথ্য নয় । “পোঠা" অর্থাৎ প্রভাত হওয়! ক্রিয়াপদের ধাতুরূপ “পোহ৷”,-- পোহাইরে বা পোe:ইল শব্দে লিখিত ভাষায় হ চলে কিন্তু কথিত ভাষায় ১লে ন! ! সন্দেহ হচ্ছে “কথম রাত পুস্তবে" বলা হয়ে থাকে অথাৎ "পোস্লাবে” এর “ઠ કંrત” ક્રેકે ઝર i 4:4” श्ॐ श्ध्र