পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GN○8 প্রবাসী SNLHNථා ফলিয়ে তুললেন ফরাসী দেশীয় শ্রেষ্ঠ ভ্রাক্ষাক্ষেত্র। তুত গাছের চাষ হ'তে লাগল রেশম তৈরির জন্যে। দেশবিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের আনিয়ে চাষবাসের ধারাই বদলে দিলেন । দেখতে দেখতে জমির চেহারা গেল ফিরে, মাটিতে সোনা জুকভের একটি স্বারক্ষণাগার ফলতে লাগল। কিন্তু এত করেও রথচাইল্ডের এই বিপুল আয়োজনের গোড়াতে যে গলদ ছিল তা ক্রমশ বড় আকার ধারণ করে এই প্রচেষ্টাকে পুলিসাং ক’রে দিল । তিনি ইহুদীদের সামাজিক দিকটা উপেক্ষা ক'রে তখনকার দিনের প্রথাতুযায়ী আরবদের মজুরীর কাজে লাগালেন । তাতে ফল হ'ল এই যে ইহুদীদের মজুরী পাওয়া বন্ধ হয়ে গেল, কারণ আরবদের মজুরীর হার এত কম যে সেই হবে ইহুদীদের পক্ষে পুষিয়ে ওঠ দুষ্কর ৷ বাইরে থেকে বসবাস করতে যারা এল তাদের চেয়ে আরব মজুরদের সংখ্যা গেল বেড়ে । মাটির সঙ্গে যাদের সম্বন্ধ বেশী তারাই মাটিকে চেনে ; অতএব ক্লযির কাজ আরবরাষ্ট শিখতে লাগল বেশী । রথচাইল্ডের এই উপনিবেশ স্থাপনে মদের ব্যবসার উন্নতি হ’ল কিন্তু সমগ্র ইহুদী জাতির সামাজিক অবস্থার কোন উন্নতি হ'তে পারল মা ! জিওনিষ্ট আন্দোলনকারীদের পিছনে রথচাইলের মত টাকা ঢালবার লোক কেউ ছিল না । একতা ও সংঘবদ্ধভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে তারা একে একে প্রতিকূলতাকে জয় ক'রে পুরনো প্রথাকে ভেঙে-চুরে সম্পূর্ণ নূতন ধরণে উপনিবেশ গড়ে তাদের এত দিনের স্বপ্নকে সফল ক'রে তুলতে লাগল। কি ভাবে ও কি উপায়ে ইহুদী কৃষকরা এই ‘ফেলাইন কৃষকদের সনাতন কৃষিপ্রণালীর প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করে সম্পূর্ণ নুতন ধরণে বিভিন্ন কৃষিপদ্ধতির সাহায্যে এই মরুভূমি ও নেড়া পাহাড়ের দেশকে এমন স্থজল সুফলা শস্যশ্যামল ক'রে তুলতে পারল তা দেখলে আশ্চৰ্য্য 2'(ISe হয় । বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক প্রণালীতে কুমিশিক্ষার জন্য নানা রকম পরীক্ষাঙ্গে , স্থানে স্থানে খোলা হ'ল । জমির উর্বরত , বিদেশ থেকে সমদানী নুগুন গাছ-গাছড়াকে পালেঃাহনের আবহাওয়ার সঙ্গে পাপ খণ্ডয়ানো এবং বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে চাষবাস করার উপর তীব প্রথম দৃষ্টি দিল । ইহুদী যুবকদল অয়ভব করল যে বাঙ্গরের থেকে আরব কিংবা অন্যান্য ভাণ্ডখাটালে মজুরদের কাছ থেকে বেশ কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। পরের জমিতে ভাড়া থাটে ল'লে মাকুম শিক্ষ; ও লাগাতে পারে । ধন দৌলতের মধ্যে লাfলতপালিত, উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়ের দায়ুসর;-গোছে; ক{ঞ্জ ক'রে চলে যায়ু । অভ্যাসের জেরে সব কাজেঃ হাত নিজেদের দেশকে গড়ে তুলবার আদর্শে জয়প্রাণিত হয়ে সব আভিজাত্যকে পূলে গিয়ে মনে প্রাণে কাজের মধ্যে জীবনকে ঢেলে দিল । দিনরারি, বছরের পর বছর অসীম অধ্যবসায় নিয়ে অক্লাস্ত পরিশ্রম করে যেতে লাগল। ব্যক্তিগত চেষ্টাকে পরিত্যাগ ক'রে রাশিয়ার মত সমবেত ভাবে কুমির চেষ্টা অর্থাৎ collective farm গড়ে তুলতে পেরেছে বলেষ্ট শস্যোৎপাদনের সঙ্গে পশুপালন ও মুরগীর চাযে এত উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে । ইনটেন্সিভ চাষের সাহায্যে দশ বছরের মধ্যে জিওনিষ্টরা তাদের রুসিকার্য্যের প্রধান সমস্যাগুলির