পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GIBB প্রবাসী $Nలి8\లి তোমার সোনার সংসার একেবারে সবাই লুটপাট ক’রে নেবে না। না-হয় পড়া আজ থাকৃ। আজ সেই কথাটাই হয়ে ধাক না ।” কমলা আর মালতী মাটির উপর বস্থল। মালতী বললে, “কই জিজ্ঞেস কর না, আমি ওকে যেতে বলেছি, ন, ও আমাদের মামু কাটাতে চাইছে ।” এই কথায়, কথাটা পাড়বার সুযোগ পেয়ে নন্দলাল কমলার দিকে চেয়ে বললে, “এখানে তোমার দিদি তোমাকে বিয়ের মত খাটায় ব’লে নাবি তুমি বলেছ যে গতর খাটিয়েই যদি খেতে হয় তবে এখানে কেন ; একটা কাজটাজ শিথে চাকরি ক'রে থাবে ?” মালতী ব্যস্ত হয়ে রেগে বললে, “কথখনে আমি তা বলি নি। যত মিথ্যে কথা আমার নামে । ভারি অন্তায় । না জোছনা, ওকে মোটেই সে কথা বলি নি ।” মালতীর রাগ দেখে কমলা হেসে ফেললে, ধীরে ধীরে বললে, “কথাটা একটু উন্টিয়ে নিলেই ঠিক কথাটা হবে। এখানে দিদি সমস্ত দিন বিয়ের মত নিজে খাটবেন—আমার হাত-পা নাড়ার পর্য্যন্ত জো নেই। এমন ক'রে মানুষ থাকতে পারে না। তা ছাড আমার ভয়ানক ইচ্ছা যে আমি কোন একটা কিছু শিথি যাতে আমার জীবনটা মানুষের লাগাতে পারি । ছেলেবেলা থেকে বাবার ইচ্ছা ছিল আমাকে ডাক্তারী পড়বার । তার ত এখন আর উপায়ু নেই। অম্নি আর একটা ছোটখাট আমার বিদ্যের উপযুক্ত কিছু কি শেখা যায় না । এই যেমন নাসের কাজ ?” এত কথা একসঙ্গে এ বাড়ীতে এসে অবধি সে কখনও উচ্চারণ করে নি । নাসের কথাটা বলতে তার নিজের মনেও সঙ্কোচ ছিল। তবু বলা হয়ে যাবার পর তার হঠাৎ মনে হ’ল ব’লে ফেলতে পেরে ভালই হয়েছে। মালতী ত গুনেই বলে উঠল, “ম গে, কি দেল্লী । শেষকালে ধাইমাগীদের কাজ করবে নাকি ? ন ন সে হবে না।” সে ভেবেছিল, ছাতা হাতে ক'রে বড়জোর মাষ্টারনীর জন্য জ্যোৎস্নার এই উমেদারী । ধাইবৃত্তির মত এত নিরুষ্ট ঘৃণাঞ্জনক কাজে জ্যোৎস্নার রুচি হ'তে পারে এ-কথা স্বপ্নেও সে ভাবে নি। তার গা যেন ঘিন ঘিন ক’রে উর্দু ল । স্ত্রীর উত্তেজনায় নন্দলালের সংস্কার-প্রবৃত্তি অকস্মাং প্রবল কাজে হয়ে উঠল । বললে, “ঘেন্না আবার কি ? সব কাজই সম্মানের কাজ । যারা আমাদের পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ করায়, যারা আমাদের রোগের যন্ত্রণায় মায়ের মত শিয়রের পাশে ব’সে রাত জাগে, তার আমাদের মা । তাদের কাজ সন্মান পাবার যোগ্য । সত্যেন দত্তর সেই কবিতাটা---” মালতী বললে, “থাক আর কবিতায় কাজ নেই। চিরকাল এই ধাইমাগীদের দেখলে আমার গা কেমন করে--দোক্ত ঠসে একগাল পান চিবুতে চিবুতে—ম গো মনে করলেও ঘেন্না হয় । তা মেথররাও তো আমাদের কত উপগার করে—-পাঠাও তবে মেথরাণি হ’তে । না না, ওসব হবে না। চললুম, আমার টের কাজ আছে । যত বীজে কথা শোনবার আমার সময় মেই ।” ব'লে সে কারুর জবাবের অপেক্ষ না ক’রে হন হন ক'রে বেরিয়ে চলে গেল । 3. с. আজ প্রায় বৎসরপানেক হ’ল কমলা একটি দেশীয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রোগচৰ্য্যাশিক্ষার কাজে ভৰ্ত্তি হয়েছে । সহজে এ-কাৰ্য্য সিদ্ধ হয় নি। অনেক বাক্ বিতণ্ড কাশ্লাকাটি মান অভিম নের পালার পর সে মালতীর মতকে এবং নিঞ্জের মনকে আয়ত্তে আনতে পেরেছিল । তার নিজের মনেও দ্বিধা ছিল বিস্তর ; তবে সে দ্বিধ আর মালতীর আপত্তি এক জাতের ছিল না । কমল গাজীপুরে থাকৃতে একটি প্রৌঢ় ইংরেজ নাসের সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ছিল । তার চালচলন কাজকৰ্ম্ম পরিচ্ছন্নতা এবং মধ্যে মধ্যে তার নিকট থেকে কেক বিস্কুট লজেঞ্চুস প্রভৃতি আহায্য এবং জন্মদিনে লোভনীয় উপহারস্রব্য লাভ করে তার শিশু-চিত্তের কল্পনার রঙে মাস জাতি সম্বন্ধে তার ধারণ উচ্চই ছিল । কিন্তু অপরিচিত বাক্টরের জগং এবং সাধারণত: অপরিচিত পুরুষ সম্বন্ধে তার মনে যে সঙ্কোচ এবং আতঙ্ক সঞ্চিত ছিল তার বাধাই মালতীর প্রবল মতের বিরুদ্ধে তার তর্কের শক্তিকে পৰ্ব্ব ক'রে রেখেছিল । মালতীয় কোন যুক্তি ছিল না ; বস্তুত যুক্তির জন্ম उार বিশেষ আগ্রহও ছিল না। ধাঠ-বৃত্তি সম্পর্কে তার ধারণা খুব নীচ শ্রেণীর ছিল এবং এরুপ কাৰ্য্য নির্বাচন ও সমর্থনের জন্তু সে তার স্বামী ও কমলাকে তীব্র তিরস্কারে সম্ভাষণ করতে