পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

գՆՀ প্রৰণসী SN28 డి র্তাহারা নিজেরাই বহু পিছনে পড়িলেন, সুতরাং সমস্ত সমাধান সহজেই হইল । চড়াইয়ের পর অতি কঠিন উৎরাই প্রতিমুহূর্বেই প্রতীক্ষা করিতেছিলাম, কিন্তু কাছে আসিতে দেখিলাম এখানেও নুতন রাস্তায় উৎরাইয়ের কায় পরিবর্তিত হইয়াছে, সহজেই নীচে পৌছিলাম। পথের শেষে মহাপ্রাণীর পোষণের প্রশ্ন সকলেই নীচের সদাব্রতের মালপোয়ার কথা বলায় আমিও তথাস্তু বলিয়া চলিলাম । দেখিলাম সেখানে অনেক মহাত্মাই আশ্রয় লইয়াছেন, গাজার কলিকায় দমের পর দম চলিয়াছে । আমারও সাদর আমন্ত্রণ হইল “আও সস্তজী" । কোন রকমে পাশ কাটাইয়া মালপোয়া লইয়া গস্তব্য পথে চলিলাম । থানকোটে দুধকলাও জুটিল, সুতরাং আজ ভোজনের ব্যবস্থা পরিপাটি। পথে দেখিলাম রোপলাইনের শেষে লরীর সার ষ্টেশন হইতে মাল লইয়া আগে চলিয়াছে। এই রোপলাইনের কথায় আমার ভরিয়া তাহদের দুঃখের কথা বলিল, রোপলাইন হওয়ার পূৰ্ব্বে ভীমফেনী হইতে কাঠমাণ্ডব পৰ্যন্ত মাল বহিয় তাহার মভ হাজার হাজার কুলি-পরিবারের বৎসরকার অন্নসংস্থান হইত। এখন রোপলাইনে মণ-প্রতি ছয় আনা ভাড়া, কাহার দায় পডিয়াছে আট গুণ বেশী দিয়া তাহাদের ভরণপোষণ করে ! বস্তুতই এই বেচারাদের দিনগুজরাণের ব্যবস্থা না করিয়া রোপলাইন নিৰ্ম্মাণ করা বড়ই অবিচার হইয়াছে । কাঠমাণ্ডব শহর হইয় দশটার সময় আমি থাপাথলীর বৈরাগীমঠে পৌছিলাম। যদিও পূৰ্ব্বের বারে সপ্তাহকাল থাকার দরুণ মহন্তজীর সঙ্গে পরিচয় হইয়াছিল, এবং তিনি তাহার জন্মস্থান ছাপরার সঙ্গে আমার সম্বন্ধের কথাও অবগত হইয়াছিলেন, তবুও ভীড়ের মধ্যে পরিচিত লোকের কথা কত দিন আর মনে থাকে ? যাহা হউক তিনি আমার থাকিবার জন্ত পরিষ্কার জায়গা ব্যবস্থা করিয়া দিলেন । 鬍 黎 鬍 ৬ই মার্চ নেপাল পৌছিলাম। সেদিন কোথাও যাওয়া হয় নাই। শিবরাত্রির কয়দিন নেপাল-মহারাঞ্জের তরফে খাপ্রাথলীর সমস্ত মঠে যাবতীয় সাধুর জন্য আহার, গাজ, তামাক, ধুনীর কাঠ, সব জিনিষই দেওয়া হয়। সাধারণ দিনেও প্রতি মঠে কয়েক হাড়ি প্রসাদের –এক ষ্টাড়ি অর্থে এক জনের ভোজন-বাধা ব্যবস্থা আছে। এই দৈনিক হাড়ি ও বার্ষিক ভোজের খরচের পয়সা বঁাচাইয়া এথানে মহস্তের দল বিপুল অর্থ সংগ্ৰহ করিয়াছেন, যদিও বাহিরের চালচলনে র্তাহাদের অতি দরিদ্রই দেখায়। নেপাল দৃনের মহন্ত কেন, রাজপরিবার ভিন্ন কেহই নিজ অবস্থানুযায়ী চালচলন রাখে না। এইরূপ আত্মগোপনের কারণ ছদ্ম শত্রুর ভয়, পাছে কেহ রাজকর্ণে প্রজার ঐশ্বর্ষ্যের কথা বলে—রাজ বা উচ্চকৰ্ম্মচারীরা সৰ্ব্বজ্ঞ নহেন, সুতরাং তাহাতে গুপ্তধন রক্ষা পায় । আমি নিজে দেখিয়াছি যে বহু নেপালী সাহুকার দেশে নিতান্ত সাধারণভাবে আছেন, তাহাদেরই লাসার বিরাট প্রাসাদতুল্য পুরী বহু লক্ষ টাকার প্রব্যে পরিপূর্ণ । মহস্তদের অবস্থা আরও শঙ্কটাপন্ন, তাহারা ত নিজেদের বারুদের গাদায় অবস্থিত মনে করেন—কখন কাহার কথায় সৰ্ব্বনাশ হয় । যাহাদের ভয়ের কারণ ভাবেন তাহীদের পূজা-অৰ্ঘ্য দিতে হয়, আবার যে টাকা আত্মসাৎ করেন তাহাও লুকাইয়া নেপালের বহিরে রাখিতে হয় যাহাতে পদচুতি ব! ততোধিক বিপদে প্রাণ পঁাচাইয়া আশ্রয়ের চেষ্ট দেখিতে পারেন । শিবরাত্রির ভোজের তদারকের জন্য রাজকৰ্ম্মচারীর দল থাকেন, তাহাদের দরুম আসল কাজের কিছুক্ট শুধু ন}, তবে তাহারা ঐ সময়ে কিছু গুছাহয়৷ লক্টতে পারেন এই দোষ সে-সব শাসন-প্রথাতেই আছে যেখানে কোনও মূল্য নাই এবং সেই সকল ক্ষেত্রেই শাসকগে ক্রমেই পাশ্বচর পড়েন । পরদিন বিচাব করিয়া দেখিলাম আমার পক্ষে বসিয়া কালক্ষেপ করা যুক্তিসঙ্গত নহে । পথের ব্যবস্থা খোজ করায় জানিলাম তিব্বত-সীমান্থের নিকটস্থ মুক্তিনাথ ও সেইবুগু এই দুই তীর্থ স্থানে যাওয়ার অনুমতি চাহিলেই পাওয়া যায় কিন্তু সরকারী খরচে এবং তদারকে সাধুদিগের যাওয়া-আসব সময় নিৰ্দ্দিষ্ট আছে । এই উপায়ে গেলে আমার কাiাসিদ্ধির সম্ভাবনা কম, সুতরাং স্থির করিলাম সে কার্ধ্যের জন্য কোন ভোটীয় ( তিব্বতী ) সার্থী সংগ্ৰহ করিতে তইনে । পশুপতিনাথ-মন্দিরের অল্প দূরেই বোধাস্তান । ইহাকে নেপালের অন্তর্গত তিব্বতের টুকর! বলিলেই চলে । ঠিক কাশীর বাঙালী, মারাঠা বা তৈলঙ্গ মহল্লার মতষ্ট ইত্যর জাতিবৈশিষ্ট্য আছে । সেখানে ভোটীয় সঙ্গীর সদ্ধান পাওয়া বস্তুত: ফ্লেমড়ে ? রক্ষক-ভক্ষকদিগের করতলগত ইষ্টয়া