পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዕግo থ্যাতি-প্রতিপত্তিও যথেষ্ট বাড়িল । মন্দির ও মঠ নিৰ্ম্মাণে নেপালের বৌদ্ধগণ অনেক সাহায্য করিয়াছিলেন । সে কারণে ডুকৃপ লামা নামে ইনি দুই দেশেই থ্যাতি লাভ করেন । কুল্লুর ভিক্ষুদ্বয় তাহাদের গুরুর অনেক অলৌকিক শক্তির কথা আমাকে বলেন । তাহার ধ্যানসমাধি প্রথম কয়দিন আমাকে অত্যন্ত প্রভাবিত করিয়াছিল। দেখিতাম তিনি ধৰ্ম্মপাঠ বা শিষ্যভক্তবৃন্দের সহিত বাক্যালাপের মধ্যেই চক্ষু মুদ্রিত করিয়া কিছুকাল ধ্যানস্থ হইয়া বসিয়া থাকিতেন । আমি প্রথমে ভাবিতাম এই জীবন্মুক্ত পুরুষ বুঝিব এইভাবে মাঝে মাঝে বাহিরের জগং ত্যাগ করিয়া অস্তলোকে প্রবেশ করেন। ভাবিলাম আমার অদৃষ্ট প্রসন্ন, কোথায় চলিয়াছি শুষ্ক মসীলিপ্ত কাগজের সন্ধানে, পথে এইরূপ রত্নাকর লাভ ! কিন্তু আমার মত দুর্ভ:গ তাকিকের শুষ্ক ন্যায়বিচারে এ ভক্তিভাব বেশী দিন টিকিল না। অল্পদিন সঙ্গে থাকিতেই বুঝিলাম ইহা সমাধি মহে—নিদ্রাবেশ মাত্র। ইহার রাত্রে শয়ন ও নিদ্রীয় অতি অল্প সময় ধাপন করেন, সুতরাং এইরূপ বসিয়া বসিয়া ক্ষণিক তন্দ্রার অভ্যাস হইয়া যায় । পরে ভাবিয়া জ্ঞানমার্গব্ৰতীও যদি দিনে এইরূপে মথমুগ্ধবৎ হঠয়া যায়, তবে সাধারণ ভক্ত ন জানি কিরূপ বশ হয় । নেপালী ভক্তের ভিড় সৰ্ব্বদাই দেখিতাম, কেহ দণ্ডবং করিয়৷ সাধ্যমত মিছরি, দেখিলাম যে আমার মত তল চার

  • ジ。エ

ジラ料委 空 シリ ফল ও মুদ্র নিবেদন করিত, কেচ-বা সুখ-দুঃপের কথা বলিত এবং ভবিষ্কৃতের বিষয় প্রশ্ন করিত । ইনি পাশাক্ষেপ করিয়া ভবিষ্যৎ ব্যক্ত করিতেন, কাহারও বিলু-নাশের জন্ম যন্থ-কবচ দি দিতেন, কাতাকেও বা অল্প পূজাপাঠের দিতেন । তিব্বতী ভাষা অভ্যাসের জন্য অন্য শিযাবর্গের সঙ্গে এক জায়গায় থাকিবার ব্যবস্থা আমি দু-চার দিনের মধ্যেই করিয়ছিলাম, কিন্তু যতটা সুবিধা হইবে ভাবিয়ছিলাম কাস্যতঃ ততট। হঠল না । ভিক্ষু-ভিক্ষুণীর দল স্তযোদয়ের পূৰ্ব্বেই উঠিয়া পুস্তক ছাপিবার স্থলে চলিয় ঘাইতেন । ছাপিবার কোন প্রেস ছিল না, কাপড়ছাপ! ভক্তির মত কষ্টফলকের দুই পুষ্ঠে পুস্তকের অংশ পোদিত থাকে, সেই ফলকে মসী লেপন করিয়া কাগজ অ'টিয়া ছোট বেলন চালাইয়া মুদ্রণকাৰ্য্য সম্পাদিত হইত। ইহাই এদেশের প্রথা। ডুকৃপা লাম মষ্টপূত প্যবস্ত{ প্রবাসী SNつBいこ ঐভাবে মুদ্রিত সহস্ৰাধিক খণ্ড “বজ্রচ্ছেদিকা" বিনামূল্যে বিতরণ করিয়াছেন এবং এখন দশ হাজার খণ্ড বিতরণের জন্য ছাপাইতেছেন । তিববতী পোষাক পরা বা অল্প-স্বল্প ভোটিয়া ভাষায় কথা বলা অভ্যাস হওয়া সত্ত্বেও আমার আত্মবিশ্বাস হইতে অনেক দিন লাগিল । তখন মনে হইত, এই বুঝি বা আমার চেহারার পার্থক্য দেখিয় কেহ ধরিয়া ফেলে যে আমি ছদ্মবেশী ভারতীয় । বস্তুত: এরূপ ভয়ের কোনও কারণ ছিল না। আমার সঙ্গী কুল্ল অঞ্চলের ভিক্ষু রিপোনের চেহারা" মোটেই ভোটিয়াসদৃশ ছিল না। কিন্তু আমার মত অবস্থায় লোকের মনে ভয় ও সন্দেহের আতিশয়া হইয়াই থাকে এবং সেই কারণে এই পথের বিপদ সম্বন্ধে অতিরঞ্চিত শোনাকথা ধ্রুবসত্য বালয় মনে হয় । আসলে কিছু ভাষাজ্ঞান এবং তিব্বতী পোষাক-পরিচ্ছদ ও চালচলন মোটামুটি ঠিকমত ইষ্টলেই যথেষ্ট, কাহার এত দায় ন্ডিয়াছে যে সে অযথা স্তন্মভাবে তোমার জাতি পরীক্ষা করিতে আসিবে ? আমি কিন্তু ধরা পড়িবার ভয়ে সার মাস, মাস প্রায় কয়েদীর মতই ছিলাম, দিনে ত লাঠিব তই তামহ ন', রাত্রেওঁ নিত্যকত্য ব্যাপার ভিন্ন এক-আধ ব:র ম' : চৈত্য পরিক্রমায় যাইতাম । এই সময় ঠে গুসনের 'তিবেগুন ম্যাগুয়েল' পড়িয়; ডিব্বতী ভীমু আভ্যাস কিন্তু উচ্চারণ-শিক্ষায় টের পাতলাম যে এই পুস্তকে লাসার বিশুদ্ধ উচ্চারণ ব্যবহৃত হয় নাই, তইয়াছে টশ লুম্পোর নিকটস্থ চাং প্রদেশের । এই বিষয়ে সবু সলস বেলের পুস্তক শ্ৰেষ্ঠ, করিতেছিলাম, কেল-না তা হ’তে লাসার উচ্চারণ প্রয়োগ করা হইয়াছে । ডুকৃপ: লামা উপদেশ ও বাখ্যানে যোগ-সমাপির কথা বাদ দিয়া কেবলষ্ট মন্ত্র-তস্থের কথা বলিতেন । সুতরাং তাঙ্গার জ্ঞানের সীম। কত দর তাহ অল্পদিনেই বুঝিয় " যুছিলাম । কিন্তু আমাকে তিব্বতের সীমানার কাহার ৪ সঙ্গ লইতেই হইবে এবং সে হিসাবে ঠহার আশ্রয় পাওয়া আমার সৌভাগ্য, সে-বিষয়ে সন্দেহ কি ! কিছুকাল পরে যখন কাশীর পণ্ডিতের গোঞ্জে অনেক নেপালী আমার আশেপাশে ঘুরিতে লাগিল তখন আমি আবার চিস্তিত হইয়া উঠিলাম। আমার ইচ্ছ। যতশঘ্র সম্ভব ঐ স্থান ত্যাগ কর, কিন্তু লামার পুস্তক ছাপ শেষ হয় নাই মধ্যে ধাইতে হইrল