পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুrাৰণ তিমিরবরণ নীচের রেক্টরেন্ট হইতে এক কাপ চ একটু একটু করিয়া কণ্ঠে ঢালিয়া নিঃশেষ করিয়া ছাত্র পড়াইতে বাহির হইয়া গেল । ছাত্রের বাড়ীর কাছাকাছি আসিয়া প। আর তাহার উঠতেছিল না। দুই দিন সে পড়াইতে আসিতে পারে নাই। অবশু, না আলিতে পারার যথেষ্ট কারণই তাহার রহিয়াছে, কিন্তু সে-কথা যদি ছাত্রের পিতা বিশ্বাস না করেন ? স্বরেশ্বরবাবুর প্রতি তিমিরবরণের কেন জানি ধারণ অভ্যস্ত বিরূপ ছিল । লোকটির কথাবার্তা কেমন যেন রূঢ় । সত্যই সুরেশ্বরবাবু যদি এমন কিছু কঠিন কথাষ্ট তাঙ্গকে বলিয়ু বসেন ত কি তাহার যথাকর্তব্য হইবে তথম ? তিমিরবরণ একবার মাত্র সে-কথা ভাবিল এবং সঙ্গে সঙ্গে সে সোজা হইয়া দাণ্ডাইল । দুঃখ-দারিদ্র্য জীবনে তাহার এমন কিছু অপরিচিত নয়, তবে আর তাহার ভাবিবার কি আচে । পনর টাকার মায়া সে সহজেই কাটাইয় উঠতে পারবে । তিমিরবরণ গেটের ভিতর পা বাড়াইয়াই একেবারে সুরেশ্বরবাবুর সম্মুথে পডিয়া গেল । সুরেশ্বরবাবু তাহার বাগানে পায়চারি করিতেছিলেন এবং একট চাকরের প্রতি কি থেন উপদেশবাণী বধণ করিতেছিলেন । fতমিরবরণকে দেখিঃ সুরেশ্বরবাৰু উপদেশ-বর্ষণ বদ্ধ করিয়া তাহকে বলিলেন–জাজ একটু বেশী ভোরে এসে পড়া হয়েছে ব’লে মনে হচ্ছে না কি ? তিমিরবরণ লঙ্গিত ইষ্টয়া উঠিল । সুরেশ্বরবাবু একটু যেন সময় লইয়াই আবার বলিলেন – দেখ তিমির, তোমার খুশীমত তুমি কামাই করগে ভ’তে আমার আসবে যাবে না কিছুষ্ট, কিন্তু বির্ণপুর পাশ করা চাই বছর বছর । ব্যস্, তাহলেই হ’ল । তিমিরবরণ অপ্রতিভ ভাবট কোন রকমে কাটাইয় উঠিতে না পারিয়া নিজের উপর ক্রুদ্ধ হইয়াই যেন বলিয়৷ ফেলিল-আমি ইচ্ছে ক'রে স্মার কামাই করি নি এ দু-দিন, বিশেষ কাজ ছিল তাই বাধ্য ইয়েছি কামাই করতে । স্বরেখরবাবু কেমন যেন একটু হাসিয়া বলিলেন–জামি কি তা অস্বীকার করছি বাপু । ক, কাজ ত মানুষের থাকতেই পারে । মাসে অমন জরুরি কাজ বেশী থাকলেই একটু অসুবিধার কথা যে ! বলিয়া সুরেশ্বরবাৰু আবার চাকরের প্রতি ফিরিয়া তাহারই সঙ্গে কথা আরম্ভ করিয়া দিলেন । তিমিরবরণ অস্বস্তিকর একটা উত্তেজনা লইয়া ক্ষণেক সেখানে দাড়াইয়া রহিল এবং অশোভন কিছু করিয়া ওঠা তাহার দ্বার সম্ভব নয় জানিম্বাই ষেন পড়াইবার ঘরের দিকে চলিয়া গেল । দুই দিন সে পড়াইতে আসিতে পারে নাই এবং সেজন্ত নিজের কাছেই সে যথেষ্ট লজ্জিত হইয়া ছিল, এ অবস্থায় ج: لا مسعه ع به এই সেই ৰথী তীর্থ 缸*@ তাহাকে তাহার দায়িত্ব স্মরণ করাইয়া দেওয়ায় তিমিরবরণের মনের অবস্থা যে কতদূর খারাপ হইয়াছিল তাহ অবহু তাহার ছাত্র বিন্দু ধরিতে পরিল নী, কিন্তু মাষ্টার-মশাই যে আজ স্বস্ব মনে নাই তাহ সে বুঝিল । একবার তাই সে জিজ্ঞাসা করিয়াও বসিল—আপনার কিঞ্জির হয়েছিল মাষ্টার-মশাই ? তিমিরবরণ এ প্রশ্নের উত্তরে সহজভাবেই বলিল—না বিণ্ট, আমার এক বন্ধুর বোনের বিয়ে হ’ল—তাই এ দু-দিন আসতে পারি নি । তারা আমাকে কিছুতেই এ দু-দিন পড়াতে আসতে দিলে না । তোমার কি পড়ার খুব ক্ষতি হয়েছে তাতে । ঘিণ্ট, বলিল—না। কেন, বাবা কিছু বলেছেন নাকি ? তিমিরবরণ বলিল—না। এম্নিই জিজ্ঞেস করছি। ক্লাসে এ দু-দিনে যদি বেশ কিছু পড়ানো হয়ে গিয়ে থাকে ত রবিবার দিন এসে তা পড়িয়ে দিয়ে ধাব’খন । বিণ্ট, তাড়াতাড়ি বলিল--না মাষ্টার-মশাই, রবিবার আসবেন না। রবিবার অামি পড়ব না কিছুতেই । ছুটির দিনে আবার পড়া কিসের ! তিমিরবরণ অন্য দিনের তুলনায় আজ একটু বেশী সময় বিল্ট কে পড়াইয়াহ বিদায়ু লইল । আবার অন্যত্র তাহাকে ছাত্র পড়াই তে যাইতে হইবে । সেখানে ৪ আবার এই একই পর্কের জাশঙ্ক। রহিয়াছে । দ্বিতীয় বাড়ীতে তিমিরবরণ নিতান্ত ভয়ে ভয়ে প্রবেশ করিল। কি জানি, অনস্তবাবুঙ ধদি আবার সহসা স্বরেশ্বরবাবুর মতই কোন নিদারুণ কিছু বলিয় আঘাত করিয়া বসেন ত সে কেমন করিয়া যে এই ট্রাইশ্যন বজা রাখিবে তাহ! সে কিছুতেই ভাবিয়ু ঠিক করিতে পালিতেছিল ন। স্বরেশ্বরবাবুর এক কথার পরেই সে যে কেন ঐ সামান্থ পলর টাকা অবজ্ঞা ভরে ছডি়েয় দিয়ু আসিতে পারিল ন তাহাও সে ভাবিয়া পাইতেছিল না । অনন্তবাবু সামা কোন কথা বলিলেই হয়ত সুরেশ্বরবাবুর প্রতি যে অচরণে ক্রটি রহিয়; গিয়াছে তাহার দিক হইতে ভাই সে চর করিয়া ক্ষোভ মিটাষ্টয়া সম্পন্ন করিবে । কিন্তু অনস্তবাবু তিমিরবরণকে দেখিয়া একটা কথা বলিলেন না । তিমিরবরণ যে এই দুই দিন পড়াঙ্গ আসে নাই তাহ যেন তিনি জানেন না এমন একটা আভ তাহার নীরবতা হইতে অকুমান করিয়া লইলে কিছুমাত্র অন্ত করা হয় না । তিমিরবরণ ইহাতে অধিকতর অস্বস্তি অস্ত্ৰ করিল। কত কথাই তাহার মনে জাগিতেছিল । এমনও হইতে পারে যে অনস্তবাবু তাহার এই দুই দিন কাম হওয়ায় এত দূর চটিয়াছেন যে একটি কথাও তিনি বলি পারিলেন না। এসব ক্ষেত্রে নীরবত: মানুষকে মুক্তি দেয় কোন দিনই, বরং অন্যায়টাকে আরও স্পষ্ট, আরও বৃ