পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণষণ ৰিবিধ প্রসঙ্গ—হিন্দু আবেদনের বিরুদ্ধে একটা যুক্তি S DeeS SSS SSAAAAS S AS جولا ৩০৮ ধারা এবং তাহার ৪ ও ২ উপধারা । এই ধারা ও উপধারাগুলি অনুসারে সকেন্সিল ইংলণ্ডেশ্বরকে প্রার্থিত পরিবর্তন করিতে ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে । যখন উপধারাসমূহসমন্বিত এই ধারাটি আইনে সন্নিবিষ্ট হয়, তখন মুসলমানের ভয় ও অসস্তোষ প্রকাশ করিয়া আপত্তি করিয়াছিলেন । তাহাতে বড়কৰ্ত্তার মুসলমানদিগকে আশ্বাস দি ছিলেন যে, যদিও আইনে উক্তরূপ ব্যবস্থা রাখা হঠল, তথাপি তদ্যুসারে কাজ করা হইবে মা ! শুন যাইতেছে, ভারতবর্যের এখনকার কৰ্ত্তার না কি বঙ্গের হিন্দদের দরখাস্ত নামঞ্জুর করিবার এই ওজুহাত দেখাইতে প্রস্তুত হইতেছেন, যে, তাহারা ঐ ধার ও উপধারাগুলা অনুসারে আছেন । যদি এই উঠে । প্রথম আন্তসারে কাজ ভারতবর্ষের তৎকালীন কাজ না-করিতে প্রতিশ্রত গুজব সত্য হয়, ত প্রশ্ন --আঠনের কো ধণি ছিল, তাহ হহলে ঐ ধারণ ও উপধারা আইনে নিবিষ্ট হইয়াছে কেন ? উহা কি স্তোকবাক্য ? উঃ কি কোন লোক সমষ্টিকে মিথ্যা প্রবোধ দিবার নিমিত্ত্ব আই নে রাখা হইয়াছে ? ন-করিবার ইচ্ছ, ৪ fতজ্ঞ ইহা সুবিদিত, যে, ভূতপূৰ্ব্ব হংস্কণ্ডেশ্বর, ভূতপূৰ্ব্ব ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী, ভূতপূৰ্ব্ব দু-জন ভারতের বড়লাট ও অন্য অনেক উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ রাজনীতিজ্ঞ ভারতবর্ষের অচিরে ডোমীনিয়নত্ব প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি ও আশা দিয়াছিলেন । ইহাও স্ববিদিত, যে, নূতন ভারতশাসন আইনের খসড়া লইয়া যখন পালে মেণ্টে তকবিতৰ্ক চলিতে ছিল, তখন এক জন পালেমেণ্টসদস্ত বলেন, যে, পালেমেণ্ট নিজে যাহা আইনে নিবিষ্ট করেন নাই বা অন্য প্রকারে পালে মেণ্ট নিজে যে অঙ্গীকার না-করিয়াছেন, এরূপ কোন প্রতিশ্রুতি পালেমেণ্ট মানিতে বাধ্য নহেন । সদস্যটির এই উক্তির কোন প্রতিবাদ হয় নাই । সুতরাং দেখা যাইতেছে, ধে, পালে মেণ্ট স্বয়ং ইংলণ্ডেশ্বরের ও উপহার প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ করিতেও বাধ্য নহেন । আইনে ডোমীনিয়নত্বের নামগন্ধও স্থান পায় নাই । অতএব দ্বিতীয় প্রশ্ন এই— সেই জন্য নুতন ভারতশাসন পালেমেণ্ট যখন মুসলমানদিগকে এইরূপ কোন কথা দেন নান্ত, যে, পূৰ্ব্বোক্ত ধারা ও উপধারা অনুসারে কাজ হইবে না, তখন, ভূতপূৰ্ব্ব ভারতসচিব বা ভূতপূৰ্ব্ব বড়লাট জাই, ব্যবস্থার বিপরীত কোন স্তোকবাক্য উচ্চারণ করিয়া থাকি ইংলণ্ডেশ্বর ও বর্তমান পালেমেণ্ট কি তদনুসারে চলি বাধ্য ? হিন্দু আবেদনের বিরুদ্ধে একটা যুক্তি বঙ্গের হিন্দুরা ভারতসচিবের নিকট যে দর করিয়াছেন, তাহাতে বলা হইয়াছে, যে, তাহারা বঙ্গের অন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসাবে তাহাদের সংখ্যার অন্ত অনুযায়ী আসন অপেক্ষ অধিক আসন ত পানই নাই, সংহ অনুপাত অনুযারী আসনও পান নাই । শুনা যাইতে ধে, সরকারী জবাব এই প্রকার হইবে, যে, বঙ্গের হি তাহাদের জন্য নিদিষ্ট ৮০টা আসন ছাড়া বিশেষ ম ( যেমন জমীদারদের আসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ইত্যা অনেকগুলি দখল করিতে পারিবে, এবং তাহাতে তা তাহানের সংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী আসন পাইয়৷ ঘাই এরূপ কথা পরীক্ষিত হওয়া আবশুক । বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় (ফ্ল্যাসেম্বলীতে) ২৫০টি আসন অ’ জৈন প্রভৃতি সমেত হিন্দুরা বঙ্গের অধিবাসীদের শতকরা ঃ সুতরাং সংখ্যার অনুপাতে তাহদের ২৫০টি অস ১১২টি আসন পাওয়া উf আরও ৩২ টি পাইলে তবে ১ 玩哥以 শতকরা ৪৪-৮টি অর্থাং তাহার। পাইয়াছে ৮০টি । হয় । ২৫০টি আসনের মধ্যে বিশেষ আসল ৫১টি । ত ইউরোপীয় । ২৫ ), ফিরিঙ্গী ( s ) ও দেশ খ্ৰীষ্টয়ান । দের জন্য ৩১টি রাখ হইয়াছে, বাকী থাকে ২০টি ;ি আসন । এই কুড়িটি হিন্দু ও মুসলমানরা পাইবে । হিন্দুরা ২০টিই পায় । যাহ তাহার: নিশ্চয়ই পাইবে তাহা হইলে ও তাই বা তাহাঙ্গের সংখ্যার অকুপাতের অল্প ১ ১২ টি অfসন অপেক্ষ ১২টি কম পাইবে । শুঙ্গব-অক্স সরকারী জবাবের প্রত্যুত্ত্বর এই ৷ এ-বিষয়ে দ্বিতীয় মন্তব্য এই, ষে, পঞ্জাব ও ত্ব ছাড়া অনু সব প্রদেশেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়দিগকে এত নিৰ্দ্দিষ্টসংখ্যক আসন দেওয়া হইয়াছে, যাহা তাহদের সং অকুপাতে প্রাপ্য অপেক্ষ বেশী। এখানে, বঙ্গে, কিন্তু স: লঘু হিন্দুদিগকে অতিরিক্ত আসন দেওয়া ত হয়ই ।