পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰেণৰণ বিবিধ প্রসঙ্গ—তাদের কি বাসী পোলাও-ও জুcট না ? \$షా রণতরীর ঘাটি ও অাডডা এবং বিমান-ঘাটি ও বিমানের আডড যথেষ্ট যাহাতে হয় সেই চেষ্টা করিতেছে। অতুমান হয়, সেই কারণে আমেরিকা প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত তিনটি ছোট দ্বীপে ৪ জন করিয়া নিজেদের ছাত্র নামাইয়াছে। তাহার সেখানে আমেরিকার নিশান গাড়িয়াছে । সেগুলি প্রকৃতপ্রস্তাবে বা নামত ব্রিটেনের । এই জন্য ব্রিটেনে ও আমেরিকায় এ-বিষয়ে আলোচনা চলিতেছে । লিনলিথগোর ষাড় ও ধৰ্ম্মের ফাড় আধুনিক সভ্যত আইনের দ্বারা কিংবা রাষ্ট্রয় অন্য উপায়ে ও প্রভাব দ্বারা যাহা করে, হিন্দু ভারত তাহ ধৰ্ম্মের অঙ্গ বলিয়া কোন কোন ক্ষেত্রে করিয়া আসিতেছে । যেমন আধুনিক পাশ্চাত্য জগতে রাষ্ট্র অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করিয়াছে, হিন্দু ভারত অধ্যাপকদিগকে দক্ষিণ ও “বিদায়” আদি দিয়া বিনা বেতনে ছাত্রদের ভরণপোষণে ও অধ্যাপনায় সমর্থ করিয়াছিল ; পাশ্চাত্য নানা দেশে বেকারদিগকে রাষ্ট্র হঠতে নির্দিষ্ট ভাত দেওয়া হয়, হিন্দু ভারত কতকটা একান্নবৰ্ত্তী পরিবার প্রথাদ্ধার কতকটা অল্পসত্ৰাদি উপায়ে সেই উদ্দেশু সাধনের চেষ্টা করিয়াছে , পাশ্চাত্য মতে গোবংশ ও কৃষির উন্নতির নিমিত্ত ভাল জাতের সাড় স্থানে স্থানে রাখা আবশ্বক, হিন্দু ভারতে বৃষোৎসগের দ্বারা ধৰ্ম্মের ঘাড় রক্ষার প্রথায় সেই উদ্দেশ্য সাধিত হয় ; ইত্যাদি । হিন্দু প্রথা সবই নিখুঁত কিন, কিংবা আগে ভাল থাকিলেও এখনও নিখুঁত আছে কিনা, তাহার আলোচনা আমাদের উদ্দেশু নহে । আমাদের যাহ-কিছু ছিল ও এখনও আছে, সেকেলে বলিয়। বিনা বিচারে তাহার সবগুলি বা সবটাই বজ্জন করা উচিত নহে, ইহা বলিলে হয়ত অন্যায় বলা হইবে না । ভারতবর্ষের বর্তমান গবৰ্ণর-জেনারেল লর্ড লিনলিথগো গোবংশ ও কৃষির উন্নতির জন্তু জমীদারদিগকে ও অন্য সঙ্গতিপন্ন লোকদিগকে ভাল জাতের ঘাড় রাখতে ও পালন করিতে বলিতেছেন এবং নিজেও রাখিয়াছেন । তাহার দৃষ্টান্ত অমুস্থত হইলে তাহ হিতকর হইবে । এখানে ইহা বলিলে অপ্রাসঙ্গিক হইবে না, যে, ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রামসমূহের উন্নতির একটি উপায় স্বরূপ ঐনিকেতন হইতে কয়েকটি কেন্দ্রে উৎকৃষ্ট বৃষ কয়েক বৎসর হইতে বিতরণ করিয়া আসিতেছেন, এবং তাহার জ্যেষ্ঠ অগ্রজ ঋষিকল্প ভক্তিভাজন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের শ্রাদ্ধ আঙ্গুষ্ঠানে একটি উৎকৃষ্ট বৃষ উৎসর্গীকৃত হইয়াছিল। এক দিকে লর্ড লিনলিথগো উৎকৃষ্ট বৃষের সংখ্যা বাড়াইবার চেষ্টা করিতেছেন, অন্য দিকে ময়মনসিংহে এক (অ-হিন্দু) হাকিম হুকুম দিয়াছেন, যে, ধর্শের ষাড়ের মালিকরা তাহাদের ভার ন! লইলে তাহাদিগকে গুলি করিয়া মারা হইবে । ধৰ্ম্মের ষাড়ের মালিক কেহ নাই, যাহারা শ্রাদ্ধে বৃষ উৎসর্গ করেন, তাহাদের অধিকার সেইখানেই শেষ হয়। ধৰ্ম্মার্থে উৎসর্গীকৃত জীব বধ করিলে হিন্দুধৰ্ম্মে আঘাত করা হইবে, এবং অধিকন্তু গোবংশের আরও অবনতি হুইবে, গবন্মেন্টের ইহা বিবেচনা করিয়া এই হাকিমের হুকুম নাকচ করা কর্তব্য । “তাদের কি বাসী পোলাও-ও জুটে না ?” লর্ড লিনলিথগে উংকৃষ্ট বৃষ রক্ষা ব্যতীত গ্রাম্য লোকেরা কত দুধ খায়, তাহার খোজ লওয়াইতেছেন, ইস্কুলের অপুষ্ট ছেলেমেয়েদিগকে দুধ ভিক্ষ দেওয়াইতেছেন । বৃষ রক্ষার মত এগুলিও ভাল কাজ । কিন্তু দেশের সাধারণ দরিদ্র্য দূরীভূত না হক্টলে শুধু এইগুলির দ্বারা যথেষ্ট ফললাভ হইবে ऋ] । ভাল কুষ থাকিতে পারে । কিন্তু যখন কোন গাভী জার দুধ দেয় না. আবার বাছুর হইলে তবে সে দুধ দিবে, তখন যত দিন তাহার বাছুর না-হয় তত দিন তাহাকে পালন করিবার শক্তি গোয়ালার বা গুহস্থের না থাকিলে ভাল বাছুর কি প্রকারে হইবে ? গাভী কসাইকে বিক্ৰী কর হইবে । তম্ভিয়, যথেষ্ট গোচরণের মাঠ চাই, গবাদির খাদ্য খড় ঘাস প্রভৃতি যথেষ্ট উৎপন্ন হওয়া চাই, এবং তৈলবীজ দেশেই পেষণ করিয়া খইল অল্পমূল্যে দেশে যথেষ্ট প্রাপ্তব্য হওয়া চাই । তবে গোবংশের ৪ কৃষির উন্নতি হইবে, দুধের যোগানও বাড়িবে । বাংলা দেশের বহু জেলায় এখন যেরূপ তুর্ভিক্ষ চলিতেছে, তাহাতে তথাকার গ্রাম্য লোকদিগকে তাহারা কত দুধ খায় প্রশ্ন করিলে তাহারা অবাকৃ হইয়া ই করিয়া থাকিবে । একমুঠ ভাত মুড়ি যাহারা পায় না, তাহারা