পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\y:Rరి প্রবাসী }\రి8లి দুধ কোথায় পাইবে ? যখন দুর্ভিক্ষ থাকে না, তখনই বা গরীব লোকের দুধ কতটুকু পাইতে পারে ? লর্ড লিনলিথগোর উদ্দেণ্ডের বিচার করা আমাদের অভিপ্রেত নহে, কিন্তু তাহার চেষ্টা স্বশাসন হইতে বঞ্চিত লোকদিগকে তাহার সমতুল্য কিছু দানের মত যে নহে, তাহাও আমরা বিস্তারিত ভাবে বলিতে চাই না । কিন্তু দেশের যেরূপ অবস্থা তাহাতে দুধের দুপ্রাপ্যতা ও স্বপ্রাপ্যতা সম্বন্ধে অনুসন্ধান ফ্রান্সের এক রাজকুমারীর ও ব্রিটিশ আমলের পূৰ্ব্বেকার অযোধ্যার এক নবাবজাদীর যে গল্প মনে পড়াইয়া দিয়াছে তাহা বলিতে হইতেছে। ফ্রান্স চিরকালই সাধারণতন্ত্র ছিল না। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে সেদেশে সাধারণতন্ত্র স্থাপিত হয় । তাহার আগে রাজার দ্বারা দেশ শাসিত হইত। সেকালে ফুর্ভিক্ষ হইত না, এমন দেশ ছিল না ; ফ্রান্সেও দুর্ভিক্ষ হইত ( এখন হয় না ) । এইরূপ এক দুর্ভিক্ষের সময় এক দয়াময়ী রাজকুমারী শুনিলেন, রাজধানীর রাজপথ ভিক্ষুকে পূর্ণ হইতেছে, তাহার রুটি পাইতেছে না। তিনি বিস্ময়ে প্রশ্ন afātā, “why don't they eat cakes 7” “Rosol of পায় না ত কেক্‌ খায় না কেন ? কেক স্বথা স্বমিষ্ট পিষ্ঠক । কথিত আছে, যে, এইরূপ অযোধ্যাতেও একবার দুর্ভিক্ষ হওয়ায় রাজধানী লক্ষ্মেী ভিক্ষুকসমাকীর্ণ হয়। তাহাতে এক মমতাময়ী নবাবজাদী দুঃখের সহিত স্বধাইয়াছিলেন, “ওদের কি এক এক মুঠা বাসী ঠাণ্ড পোলাও-ও জুটে না ?” হাবড়ার নূতন পুল তিন কোটির উপর টাকা ব্যয়ে হাবড়ার যে নুতন পুল নিৰ্ম্মিত হুইবার প্রস্তাব কয়েক বৎসর হইতে বিবেচিত হইতেছিল এত দিনে তাহার ঠিক বিলাতের এক ইংরেজ কোম্পানীকে দেওয়া হইয়াছে। ইহা অপ্রত্যাশিত ঘটনা নহে। এই কোম্পানীর টেণ্ডার সর্বনিম্ন ছিল না। ইহার দয়া করিয়া বলিয়াছেন, দর ও অন্যাস্ত সৰ্ব যুক্তিসঙ্গত ( "reasonable” ) হইলে তাহারা ইস্পাত ভারতবর্ষ হইতেই লইবেন । টাটা কোম্পানীর অদৃষ্টে কি জুটে, দেখা যাকৃ। এ-বিষয়ে ইতিপূৰ্ব্বে প্রবালীতে অনেক কথা লেখা হুইয়াছে। তাহার পুনরাবৃত্তি জনাবগুৰু । বৃত্তি প্রদানের নূতন ব্যবস্থা স্থগিত বাংলা-গবন্মেণ্টের শিক্ষা-বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল অনুযায়ী গুণ অতুসারে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা রহিত করিতে যাইতেছিলেন । এই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সংবাদপত্রসমূহে তীব্র সমালোচনা হইতেছিল। তাহাতে সম্প্রতি বাংলাগবঙ্গে টের শিক্ষা-বিভাগ এক ইস্তাহার প্রচার করিয়া জানাইয়াছেন যে, বৃত্তিপ্রদানের নিয়ম পরিবর্তনের প্রস্তাব সম্পর্কে সমালোচনার প্রতি শিক্ষা-বিভাগের দৃষ্টি আকৃষ্ট হইয়াছে। নৃতন নিয়মের রেগুলেশ্বন এই যে, যে-সকল ছাত্রছাত্রী বৃত্তি পাইবার যোগ্য স্থান অধিকার করিবে, তাহাদিগকে বুক্তিযোগ্য ( scholar ) বলিয়া অভিহিত করা হইবে । বৃত্তির টাকার দরকার থাকিলে তাহাদিগকে দেওয়৷ হইবে। তবে যাহ্বাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল, তাহারা তাঙ্ক: না পাইয় তাহদের পরবর্তী স্থানের অধিকারী দরিদ্র ছাত্রছাত্রী তাহ পাইবে । ১৯৩২ সালে বঙ্গীয় শিক্ষ-বিভাগ এই নিয়ম করেন । এষ্ট বৎসর হইতেই এই নিয়ম কার্য্যকর করা অভিপ্রেত ছিল । কিন্তু কতকগুলি অসুবিধা উপলব্ধি করা গিয়াছে । তজ্জন্য এই বিষয় আরও বিবেচনা করা প্রয়োজন । এমত অবস্থায় গবয়ে টি এই সিদ্ধাস্ত গ্রহণ করিয়াছেন যে, বর্তমান বৎসরে এবং ষে-পৰ্য্যস্ত না এক্ট বিষয় আরও পরীক্ষা করিয়া দেখা হয়, সে-পৰ্য্যন্ত পুরাতন ব্যবস্থাই বলবৎ থাকিবে । বৃত্তি সম্বন্ধে বরাবর যে নিয়মটি প্রচলিত ছিল এবং এখনও আছে, তাহার উৎকর্ষ এই, যে, তদনুসারে ছাত্রছাত্রীর নিজ নিজ বুদ্ধি ও পরিশ্রম দ্বারা বুজি পায় । তাহাতে গুণের পুরস্কার হয়, এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস ও আত্মসম্মান বর্জিত হয় । পরিবর্ধিত নিয়মের দোষ এক্ট, যে, কোন ছাত্রছাত্রী গুণ জনুসারে বৃত্তির যোগ্য হইলেও তাঙ্গর টাকাটা পাইতে হুইলে তাহাকে কৃতাঞ্জলি হঠয়া নিজের দারিদ্র্য প্রমাণ করিতে হুইবে । ইহা হীনতাজনক, এবং দারিদ্র্যে বা সচ্ছলতার কোন নির্দিষ্ট মান না থাকায়—উভয়ই আপেক্ষিক হওয়ায়—নৃতন নিয়মে স্বপারিশ ও পক্ষপাতিত্বের খুব অবসর থাঙ্কিবে । নৃতন নিয়মটা সম্বন্ধে গবরেন্ট যে, জ্ঞাপঞ্চপয়