পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰেণৰণ (communiqué) 25th of Tor, প্রশ্নের উদ্ভব হয় ; যথা— তাহাতে বহু বুত্তির টাকা গুণানুসারে বুদ্ভিযোগ্য ছাত্রের আবগুক কিনা, তাহা কে স্থির করিবে ? ছাত্র, তাহার অভিভাবক, তাহার শিক্ষক, বা শিক্ষা-বিভাগ, বা তাঙ্গার ডিরেক্টর । জ্ঞাপকপত্রে বলা হইয়াছে, কাহারও বৃত্তির টাকাটা আবশ্যক না হইলে সে উচ্চা ত্যাগ করিতে পারে ( “may give up" ) । তাহ যদি পারে, ত, সে ত্যাগটা স্বেচ্ছাকৃত হওয়াই বাঞ্ছনীয় । শিক্ষা-বিভাগের তাহাতে হাত দেওয়া, অর্থাং প্রকারাস্তরে হুকুম কর, জুলুমের নামস্থর হইবে । স্বেচ্ছায় ত্যাগের মূল্য আছে । যেমন বিগরে মন্ত্ৰী সৰু গণেশদত্ত সিং নিজে বেতনের বাংসরিক ১২ ০০০ টাকা লইয়। বাকী ৫২০০০ টাক দেশহিতার্থ দান করেন । ইহাতে তিনি প্রশংসা ভাঙ্গন ও হঠয়াছেন । কিন্তু বঙ্গের মন্ত্রী মাননীয় আজিজুল হক মহাশয়কে যদি গবর্ণর বলেন, "মঙ্গী হুইবার পূৰ্ব্বে আপনার মে আয় ছিল তাহাতেই আপনার চলা উচিত ; অতএব আপনি সরু গণেশদত্ত সিংয়ের মত দাঁত ইউন ৷” তাঙ্গতে যদি বঙ্গমস্থী মহাশয়কে প্রভূত অর্থ ত্যাগ করিতে হয়, তাহ হইলে তাঙ্গ ত্যাগনামধেয় ন হইয়। আর কিছু হইবে { কৃতজ্ঞতাভাজন ম্যাটিক ও ইন্টারমীড়িয়েটের উচ্চতম বৃত্তি দু-বংসরে ৬০০ টাকা । সচ্ছল অবস্থার কেহ বৃত্ত্বি পাইলে যদি সেও এনসাইক্লোপীডিয়া ব্রিটানিক, হরিচরণ পণ্ডিত মহাশয়ের অভিধান এবং বঙ্গীয় মহাকোষ কিনিতে চায়, তাহাও ত এই টাকায় কুলাইবে না। অথচ এগুলি থাকিলে কলেজের সব ছাত্রেরই সুবিধা হয় । বৃত্ত্বির টাকাটার দরকার নাই এমন ছাত্র ক'জন আছে ? বৃত্তিযোগ্য ছাত্রকে বঞ্চিত করা হউক, বা সে বৃত্তির টাক স্বেচ্ছাতেহ ত্যাগ করুক, তাহার পরবর্তী কাহাকে টাকাটা দেওয়া হইবে, তাঙ্গ কি প্রকারে নিদ্ধারিত হইবে ? পরবর্তী যে দরিদ্রতম ও গুণবত্তম তাহাকেই দেওয়া উচিত । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের প্রাপ্ত মার্ক সরকারী গেজেটে ব: বেসরকারী কোন খবরের কাগজে প্রকাশ করেন না । সুতরাং গুণানুসারে সৰ্ব্বোৎকৃষ্টকে দেওয়া হইয়াছে, এ বিশ্বাস সৰ্ব্বসাধারণের জন্মিবে কি প্রকারে । পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ ছাত্র ዓP-–እ ግ বিবিধ প্রসঙ্গ—শিক্ষামন্ত্রীর মত পরিবর্তন (ՖՀՏ ছাত্রীদের অভিভাবকদের আয় এবং পরিবারিক ব্যয়ের বজেট ( family budgets ) কখনও নিৰ্দ্ধারিত ও প্রকাশিত হয় না । সুতরাং পারিবারিক আয় ও ব্যয় বিবেচনা করিয়া দরিদ্রতমকে বৃত্তির টাকা দেওয়া হইয়াছে, এ বিশ্বাসই বা জন্মিবে কেমন করিয়া ? কোন দরিদ্র ছাত্র যত মার্ক পাইয়াছে, তার চেয়ে দরিদ্রতর ছাত্র মার্ক কিছু কম পাইয়। থাকিলে, কাহাকে বৃত্তির টাকা দেওয়া হইবে ? সরকারী জ্ঞাপকপত্রে বলা হইয়াছে, কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গীয় শিক্ষা-বিভাগের বাঞ্ছিত প্রথা আছে । ঐ ! বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নাম করা হয় নাই । ভারতবর্ষের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে কি ? মনে রাখিতে হইবে, বিশ্ববিদ্যালয় ৪ সরকারী শিক্ষ-বিভাগ, এক জিনিষ নয় । বঙ্গের ব্যবস্থাপক সভার গঠন, মন্ত্রীম গুল গঠন, শিক্ষা-বিভাগ গঠন শিক্ষা-বিভাগের চাকরি বণ্টন শিক্ষা-বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত নানাবিধ সাহায্য বণ্টন—সবের মধ্যেই সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব ও লীলাখেল এত বেশী, যে, কেবলমাত্র গুণানুসারে প্রদত্ত বৃত্তি কয়েকটিতে হস্তক্ষেপ কর সম্পূর্ণ অবাঞ্ছনীয়। সাধারণতঃ খুব ধনী বা খুব সচ্ছগ অবস্থার ছেলেমেয়েরাই অধিকাংশ স্থলে বৃত্তি পায়, এরূপ মনে কারবার কারণ নাই । সুতরাং দরিদ্রের সাহায্যের জন্য চিরাগত প্রথায় হস্তক্ষেপের কারণ নাই । অধিকাংশ স্থলে হিন্দু ছায়েরাই বৃত্তি পায় । সুতরাং মুসলমান-শাসিত শিক্ষ-বিভাগ দ্বারা এরূপ হস্তক্ষেপ সম্প্রদায়িক বুদ্ধিজাত বলিয়া সন্দেহ জন্মিতে পারে । এই কারণেও তাহা অবাঞ্ছনীয়। সরকারী জ্ঞাপকপয়ে বলা হইয়াছে, যে, বঙ্গীয় শিক্ষামন্ত্রী ১৯৩২ সালে পরিবর্হিত প্রথার অনুমোদন করেন, এবং বৰ্ত্তমান বংসর হক্টতে উহা প্রচলিত করিবার অভিপ্রায় ছিল । এই অভিপ্রায়ট আগেকার মন্ত্রীর, না বর্তমান মন্ত্রীর ? যদি আগেকার মন্ত্রীর হয়, তাহা হইলে বৰ্ত্তমান মন্ত্রীকে না জানাইয়া ও তাহার অনুমোদন ন-লহয় তাহার অধীনস্থ ডিরেক্টরের নূতন নিয়ম জারি করিবার অধিকার ছিল কি ? শিক্ষামন্ত্রীর মত পরিবর্তন ংলা দেশের বিদ্যালয়ুসকলের—বিশেষ করিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়সকলের –শিক্ষাদান প্রণালী, পরিচালনা প্রণালী,