পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マtー কীর্তন బ్రnvరి কাকে আর বিশ্বাস করতে পারি বল ? অথচ না ব'লেও তে আমার নিস্তার নেই। তাই তোকে বারণ করছি যে যে-কয়ঘণ্ট বেঁচে আছি তোর চিকিৎসার উৎপাত থেকে আমায় রেহাই দে ।” কিন্তু নিখিল ডাক্তার—তার কৰ্ত্তব্য তাকে করতেই হবে। সে তার পকেট-কেস বার করে সরঞ্জাম প্রস্বত করতে করতে বললে, “দাদা, আমরা f প্রোণ দেবার মালিক ? কে বলতে পারে প্রাণশক্তি কখন কোন অবস্থায় কেমন ক’রে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রকাশ করে, কেমন ক’রে আমাদের সমস্ত ভবিষ্যৎ বাণী ব্যর্থ ক’রে দিয়ে নিজের কাজটুকু ক'রে তোলে।” এই বলে সে একটা ইঞ্জেকসান দেবার পূৰ্ব্বে অস্থিচৰ্ম্মমাত্রসার একটা বাহুতে য়্যালকোহল ঘষতে লাগল। অনেকক্ষণ কথা বলার জন্যেই বোধ করি একরকম নিশ্চেষ্ট হয়ে সত্যবান চুপ ক’রে পড়ে রইল । ( ক্রমশ: ) কীৰ্ত্তন শ্ৰীদক্ষিণারঞ্জন ঘোষ “কীৰ্ত্তন” বলিতে সাধারণত বৈষ্ণব মহাজন-পদাবলী অবলম্বনে শ্ৰীকৃষ্ণের ব্রজলীলা-বিষয়ক পালা-বন্দী গান বুঝায় । ইহার প্রচলিত নাম “মনোহরসাই কীৰ্ত্তন' । ইহার প্রসিদ্ধ সুরলোফ, খয়র, দশকোশ, ছোট দশকোশ প্রভৃতি । এই কীৰ্ত্তন-ভঙ্গিমার একটা অনন্যসাধারণ মাধুৰ্য্য ও চিত্তাকর্ষক গুণ আছে । প্রকৃতহ, ইহার এমন একটা সহজমধুর শক্তি আছে যাহার গুণে গানের রস ও ভাব ‘কানের ভিতর দিয়া মরমে পশে । শ্ৰীমদ্ভাগবতে একটি কথা আছে "হৃৎ-কর্ণ রসায়ন” । মনোহরসহী-কীৰ্ত্তন বস্তুতই এইরূপ জিনিষ । এই “কীৰ্ত্তন” বাংলার, তথা বাঙালীর, এক অমূল্য নিজস্ব সম্পত্তি, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বঙ্গসংস্কৃতির অংশবিশেষ । কহাকে বজায় রাখা ও শুদ্ধ আদশে পরিচালিত করা বাঙালী মাত্রেরই ধৰ্ম্ম-ঋণ বলিয়া গণ্য হওয়া কৰ্তব্য । ইহার আদি উদ্ভব ও প্রচলন-ক্ষেত্র হইল বীরভূম জেলার মনোহরসাহী পরগণা ! বোলপুর শান্তিনিকেতন ও বদ্ধমানের শ্ৰখণ্ড ( কাটোয়ার নিকটবৰ্ত্তী অঞ্চল ) এই মনোহরসাহী পরগণার অন্তর্গত । পূৰ্ব্বে "রেণেটা” এবং “গরাণহাট" নামক দুই প্রকার কীৰ্ত্তনের রীতি প্রচলিত ছিল । অধুনা উভয় ধারাই লুপ্ত হইয়াছে । উড়িষ্যার রেণেট এবং খেতুর-রাজসাহীর গরাণহাট অঞ্চলের নামাতুযায়ী ঐ দুইটি রীতির নামকরণ হইয়াছিল । বৰ্ত্তমান কালের ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্যের প্রভাবে, আমাদের অনেক বিষয়ের মতই, কীৰ্ত্তনেরও অবনতি ঘটিয়াছে , ইহার মাহাত্ম্য ও ময্যাদা নষ্ট হইতে বসিয়াছে । শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অংশবিশেষ লহয়, মহাজনপদাবলীসম্বলিত এক-একটা পাল নিদিষ্ট আছে । উহা মনোহরসাষ্ট্রী স্বরে ও পদ্ধতিতে গীত হইলে, উহার নামকরণ হয় “কীৰ্ত্তন” । “লীল-কীৰ্ত্তন”, “রস-কীৰ্ত্তন” নামেও ইহা প্রসিদ্ধ । “সঙ্কীৰ্ত্তন” ইহল বহু লোকের একসঙ্গে উচ্চৈঃস্বরে নামকীৰ্ত্তন । ইহা ব্রজলীলা-বিষয়ক পালা-বনী গান নহে এবং “কীৰ্ত্তনে” যেমন একটি স্বরের বাধাবাধি পদ্ধতি ও গীতপয্যায় নির্দিষ্ট আছে, ইহাতে তাহার দরকার নাই । সঙ্কীৰ্ত্তন ও লীলাকীর্তনের মধ্যে ইহাই প্রভেদ । শ্ৰোতৃমণ্ডলী সম্বন্ধেও একটা তারতম্য নিৰ্দ্দিষ্ট আছে । “কীৰ্ত্তন" আস্বাদনের জন্য একটু ‘অস্তরঙ্গ’ ভাবের, (reflective #1 introspective moodeo; ) w8*f; I &l, শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতের নিদেশ :–