পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭১৬ প্রবণসী ゞNご8いご নেই। ছেলে বয়সে কত পাগলামি যে করেছি ভাবলেও হাসি পায় ।” সুরধুনী বলিলেন, “জন্ম জন্ম অমনি পাগলামি কর এই আশীৰ্ব্বাদ করি । আমাকে যতই লুকোস, তোকে চিনতে আমার বাকী নেই । ই রে, গয়না কাপড় এখনও সব ওব হুকুমমত করিসূ । পুরুষ মানুষের পছন্দ তোর পছন্দ হয় ? এই ত নুতন চুড়ি গড়িয়েছি দেখছি, কার পছন্দ এটা ?” মহামায় বলিলেন, “বিয়ের পর দু’চার বছর সব পুরুষমানুষঙ্গ স্ত্রীর গয়না কাপড় বাছতে বসে, এটা পর সেট। পর করে অস্থির করে, তা বলে চরকালই কি আর সেই ধরণ বজায় থাকে ? এখন আমি থাকি আমার ধাণায়, তিনি থাকেন তার ধান্দয়, সারাদিনে কে কার খোজ রাখে ?” সুরধুনী বলিলেন, “মন যাদের এক মৃতোয় বাধা থাকে, তাদের মন-জনাজানি হতে এক লহমাও লাগে না । চোখের ভিতর একবার তীকালে কার মনের কি সাধ ত কি আর জানতে বাকি থাকে ?" মহামায়ু মনে মনে ভাবিলেন রক্তমাংসে গড় স্বামীটি কৈশোর-লীল! শেষ করিয়া সংসারের বেচিত্র্যময় কৰ্ম্মক্ষেত্রে নামিবার পূৰ্ব্বেহ বিদায় লইয়াছেন বলিয় দিদি পুরুষমানুষের দৈনন্দিন জীবনে বীর স্থান কোনখানে তাহ। এত বয়সেও ঠিক *l(○。 “সারাদিনের ইjiস্বামে চোখ আছে কি নেই তাই তাদের মনে থাকে না, তার আবার চোখের ভিতর তীকাচ্ছে । সবাই বেঁচেবৰ্ত্তে কাজকৰ্ম্ম চালিয়ে যাচ্ছে, এইটুকু খবর ছাড়া আর বেশী খোজ নেবার সময় কি আর সদ সৰ্ব্বদা হয় ?” বুঝতে নাই । হাসিয়া তিনি বলিলেন, অবশ্ব স্বামীকে যতখানি নীরস ও নিরাসক্ত করিয়া দিদির কাছে মহামায়া চিত্রিত করিলেন তাহার স্বামী ঠিক তাহা ছিলেন না। দিনাস্তে স্ত্রীর নিকট একবার করিয়া প্রেম অর্ঘ্য দিতে তিনি আসিতেন না বটে, কিন্তু তাহার জীবনযাত্রাপথে সঙ্গিনীর সান্নিধ্যট। তিনি সৰ্ব্বদাই অনুভব করিয়া চলিতেন । নিশেষে তাহার এই পথচলার গান মহামায়াকে না শুনাইলে তাহার পথচলা সার্থক হইত না । কাব্যচর্চাই হউক কি অধ্যয়ন অধ্যাপনাই হউক, সকল বিষয়েই প্তাহার চিস্তার ধারা যেদিকে প্রবাহিত হইত এবং কাৰ্য্য প্রণালী যে ভাবে চলিত তাহা তিনি মহামায়াকে বলিয়৷ যাইতেন, যেন আত্মচিস্তাকে ধ্বনিতে রূপ দিতেছেন এই ভাবে , সকল কথাই যে মহামায়া ঠিক স্বামীর মাপকাঠিতে মাপিয়া বুঝিতেন তাহ নয়, তবু মহামায়ার মুখের ভাবে প্রশংসা ও স্বামীগৌরবের দীপ্তি দেখিলেই চন্দ্রকাস্ত তৃপু কিন্তু এ সকল নিজেদের অন্তরঙ্গ জীবনের তাছাড় হইতেন । কথা দিদিকে বলিতে মহামায়ার লজ্জ করিত। দিদি স্বামী বলিতে এখনও পুরুষমাযের অপরিণত বয়সের একটা যে বিশেষ রূপকে চিনিতেন এবং তাছাকেই আপণ মনের প্রেমঅধ্য দিয়া সাজাহঁতেন, মহামায়ার স্বামী পুরুষজীবনের সে অবস্থার পর অনেকখানি পরিণতি লাভ করিয়াছিলেন । বিস্মৃতপ্রায়, স্থায়াময় স্বরধুনীর স্বরচিত নীলাম্বরের পাশে এষ্ট এবং অনেকখানি পরিণত বুদ্ধি সৰ্ব্বতোমুণীপ্রতিভাবান দড় ওজন বুঝিবেন কিন: জীবন্ত ও b&本柠乙夺 করাইলে স্বরধুনী ঠিক দুজনের মহামায়ার সনেীত হইত ; দিদিকে তিনি নিক্সের চেয়ে অনেকখানি ছেলেমগুস এই পিকূটায়ু ভাবিতেন । যদিও দিদি এত বড় একটা বিরাট সংসারের কত্রী এবং দুষ্টটি বয়স্ক ছেলের নবপরিণী তা কিম্ব {{ is 2 * '!

  • y :

দাম্পত্যঞ্জাবণ সম্বন্ধে তাতার ধারণ অধিবাfতত কিশোরীর মত। সুরধুনী একটু নিরাশ হইয়া বলিলেন, “মায়, তুষ্ট সেদিনের মেয়ে আর আমি বুড়ো বুড়ে ছেলের মা । কিন্তু তারই বয়স বেড়েছে, আমার মনে এ জন্মে আরি পাক ধরবে না । আগে বছর কার সময় তোর আশাতে থাকতাম, কিন্তু এখন দেপাছ তুই আমার চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছিস্ । পৃথিবীতে আমি এখন একেবারে এক।” ( ७ ) স্বরধুনীর সহিত গল্প করিতে করিতে রাত্রি গভীর হইয়া আসিল, বাহিরে ঝিঝির তীক্ষু ডাক ও ক্রমে মৃত্যু হষ্টয়া আসিতেছে, বহু দূরে দুই-একটা শিয়াল কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করিয়া এথন নীরব হইয়া গিয়াছে। মহামায়ার দুই চোখে ঘুম ভরিয়া আসিয়াছে, এমন সময় মায়ের ডাক শুনিতে পাইলেন, “ও মায়, ও স্বর, তোরা ঘুমোলি বাছ ?”