পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২০ মহামায় বলিলেন, “না ভাই, তোমাদের সঙ্গে সব করলে আমার পাপ হবে না। আজ আমার ওসবে কাজ নেই।” শীত অল্প অল্প পড়িয়াছিল, একতলার ঘরের মেঝে বেশ কনকনে ঠাণ্ডা। মেজছেলে গোপাল বলিলেন, “এই সময় মাটিতে গুয়ে সবাইকার যে বাত ধ’রে যাবে। খাটের উপর একথান ক’রে কম্বল পেতে শুলে ত হয় ।” শুনিয়া লক্ষ্মণচন্দ্র অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “মা’র জন্যে এ জন্মে আর ত কিছু করবার রইল না, দশটা দিন মাটিতে গুতেও ফুলপাবনরা পারবে না ? আমি মরলে ঠ্যাঙে দড়ি দিয়ে ফেলে দিস্। কিন্তু আমার চোখের উপর তার কাজে কোনও ক্রটি আমি ঘটতে দেব না।” মাটিতে খড় পাতিয় তাহার উপর কম্বল বিছাইয়া সকলের গুইবার ব্যবস্থা হইল। চিরকাল স্থথশয্যায় অভ্যস্ত শরীর অত্যন্ত কাতর বোধ করিতে লাগিল। গায়েও কম্বল ছাড়া দিবার কিছু জো নাই, কিন্তু সকলের জন্য কম্বল ত জুটে নাই, কেহ পাতিবার কম্বলখানাই খুরাইয়। আধখান। গায়ে দিলেন, কেহ আঁচল মুড়ি দিয়া কুণ্ডলী পাকাইয়ু আপনার শরীরের সাহায্যেই শরীরের তাপ রক্ষা করিতে চেষ্টা করিলেন। স্বরধুনী ও মহামায় একখানা কম্বলের তলাতেই আশ্রয় লইলেন । ছোট ছেলেদের অত নিয়মের কোনও প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এমন একট। দুর্ঘটনার পর সুধা ও শিবু যে মাকে ছাড়িয়া থাকিতে চায় না। তাহারাও সেইখানেই আসিয়া আশ্রয় লইল । সারারাতই শিৰু শীত শীত’ করিয়া মায়ের গায়ের কাপড় ধরিয়া টানাটানি করে । পাছে স্বরধুনীর গা আলগা হইয় যায় কি ঘুম ভাঙিয়া যায় এই ভয়ে

প্রবাসী 's) ১৩৪৩ ৷ মহামায় নিজে প্রায় অনাবৃত থাকিয়া শিবুকে কলমী দিয়া রাখিতেন । শীতের হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গায়ের চামড়া আপনি শু৯ হইয়া উঠে, তাহ'র উপর গায়ে মাথায় তেল নাই। পুরুং ঘাট হইতে স্নান সারিয়া ভিজে কাপড়ে আসিতে আমিন মুখ-হাত-পা যেন চড় চড় করিয়া ফাটিয়া উঠিত, এমনকি গ-টায় পৰ্য্যন্ত জ্বালা ধরিয়া যাইত। ফাটাগায়ে রাষ্ট্রে কম্বলের রোয়াগুলা কাটার মত থচ খচ, করিয়া বিধিত। মহামায়ার গা-হাত পা ফাটার ধাত আর সকলের চেয়ে বে৯ ক্ষতবিক্ষত হইয় গেল। থাকিয়ু তিনি বিচামার তাহার মনে হষ্টত সৰ্ব্বাঙ্গ যেন ঘুম নয় ত সরকযন্ত্রণ থাকি উপর উঠিয়৷ বসিতেন । তুঙ্গ হাতের তেলোয়ু মুখথনি রাথিয় যতথানি ঘুমানে ধায় অনেক সময় তাহার অধিক ঘুম অষ্টে ঘটিত না। সেই অৰ্দ্ধ ঘুমের ভিতর থাকি থাকিয় মা’কে মনে পড়িয়; দুই চোথে অশ্রীর প্লাবল পঠিয় যাহত । মহামায়াকে কাদিতে দেখিয়া মৃধা ও শিবু ধড়মড়িয় উঠিয়া বসিত । মায়ের চোখে জল দেখা তাহদের অভ্যু নাই । অন্ধকার রাত্রে নীরবে স্থধ ধীরে ধীরে মায়ের গাঃে হাত বুলাইত আর নিরুপায় হইয় ভাবিত, “কেন ম': আমি দুঃখ ভোলাতে পারছি না । ভগবান এমন নিষ্ঠুর কে ধে দুঃখের প্রতিকারের কোলওঁ উপায় রাখেন না ?” শিবু জাগিয়াত মা’কে সজোরে দুই হাতে চাপিয় ধরিত, যেন বলিতে চাহিত, “আমি ত রয়েছি তোমার আশ্রয় ভুলে ধাণ্ড আর সব দুঃখ ।" কিন্তু ভাষায় এ-কথা ব্যক্ত করিবার শক্তি তাহার ছিল না। তবু ঘুমে জগৎsে সারারাত্রি সে এক হাত দিয়া মহামায়াকে ধরিয় রাখিত । 岱 ( ক্রম", { ルダ*} 之 $

గ్హామ్బ్లా