পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র যাহাকে জীবনের সঙ্গিনী করিবার মানসে ডাম্বঙ মনে মনে কত আশা কত কল্পনা করিয়া আর্মিতেছিল, যাহাকে ছাড়া তাহার জীবনের একটি দিনও কাটিবে একথা সে ভাবিতেও পারে নাই, সেই প্রাণের প্রতিমাকে অন্যের হাতে তুলিয়া দিবার জন্ত তাহাকে যাইতে হবে । ডাম্বঙের অন্তরে দারুণ আঘাত লাগিল, কিন্তু ইঠ লিঙের ভালবাসা শেষকালে তাহাকে যাইতেই বাধা করিল। ঠুইঠ লিঙ যায়, তাহার পিছনে পিছনে ডাম্ব যায়। কত কথা, কত প্রাণের কথা, কত মনের কথা, কত অন্তরের কথা, কত স্থপের কথা, কত থের কথা চলিতে লাগিল। পথ নিমেযেই যেন ফুরাইয়া গেল, কথার কিন্তু সবই যেন বাকী রহিল। তাহারা উভয়ে ইঠ লিঙের শ্বশুরের গ্রামের কাছে উপস্থিত তোমাদের ও!াম দেখা যাচ্ছে, এবার আমায় বিদায় দাও।” ই? লিঙ উত্তর করিল, “ম, আমাদের বাড়ী চল ।” “আমাকে মেরে ফেললেও আমি তোমাদের বাড়ী যাব ন ; এত দূর যে এপেছি, সে কেবল তোমারই জন্য ।” g হইল । ৬ামবঙ বলিল, “ইঠ লিঙ, ঐ ‘ত;হ'লে চল, ক্ষেতে যে কুঁড়ে দেখা যাচ্ছে, তাতে গিয়ে ব'সে দু-দ ও গল্প করি । বাকী Ngo ” ক্ষেতের কুটীরে বসিয়া দুই জনে বিশ্রাম করিতে লাগিল । তাহীদের কথার আর শেষ হয় ন । কুলিবের সামনে দুইটি বঁ}শ একসঙ্গে জন্মিয় বেশ বড় হইয়াছে । তাহারা মাঝে মাঝে বাতাসে বিচ্ছিন্ন হইতেছিল, আবার একম হইতেছিল। তাহ দেখিয়া ঠুহঠলিঙ বলিল, “ঙামূবঙ দেখ দেখ, দুটি বঁশ আমাদের মতই একত্রে জন্মেছিল । তার মনে করেছিল সারা জীবনটাই তারা একত্রে কাটিয়ে দেবে। কিন্তু বাতাস এসে তাদের বিচ্ছিন্ন ক'রে দিচ্ছে। তবুও আবার তারা আরও বেশী প্রেমাবদ্ধ হয়ে মিলিত হচ্ছে । আমাদেরও শেষকালে প্রেমেরই জয় হবে । তুমি ছুটিকে কেটে নিয়ে এস আর গোড়া দিয়ে দুটি কোদালের প্লাট তৈরি কর " ৫মবঙ্গ বশ দুইটি কাটিয়া আনিল এবং তাহ দিয়া মুন্দর দুইটি কোদালের বঁটি তৈরি করিল। একটি বঁটি ঠুইঠ লিঙ তুলিয়া লইল এবং তাহা গ্রামবঙের হাতে দিয়া এখনও সন্ধ্যার টের ইইইলিঙ ও ঙrমবঙ

  • こ父

বলিল, “এটি তুমি নাও, এটি আমার স্মৃতিচিহ্ন। যখন দেখবে বঁাশ ফাটতে আরম্ভ করেছে, তখন জানবে মামার অম্লখ করেছে। যখন দেখবে বঁটি আগাগোড় ফেটে গেছে তখনই জানবে আমার জীবন শেষ হয়েছে।” অপর বাটটি ডাম্বঙ তাহার স্মৃতিচিহ-স্বরুপ ঠইঠ লিঙের হাতে দিল । এবার বিদায়ের পাল । যত বার ডাম্বঙ বিদায় লইতে চায় তত বারই ইঠ লিঙ বলে, “আর একটু ব’ল ।” ডাম্বঙ দেখিল এভাবে ইঠলিঙের নিকট হইতে বিদায় লণ্ডয় সম্ভব হইবে না। আবার, তাহার স্বামীর বাড়ীর কাছে বসিয়া এভাবে গল্প করাও নিরাপদ নয়। অনেক বুদ্ধি করিয়া ডাম্বঙ গঠ লিঙকে ফাকি দিয়া পলাইয় গেল । ঠঠ লিঙ কঁাদিতে কঁাদিতে বাড়ী চলিয়া গেল । ডাম্বডকে ছাড়া ইঠ লিঙ আর কিছু ভাবিতে পারে না, আর কিছু চিস্ত করিতে পারে না। সংসারের কাজকৰ্ম্ম সে করে কিন্তু কিছুই তাহার ভাল লাগে না । দেখিতে দেখিতে কাল রোগ আসিয়া তাহাকে আক্রমণ করিল। তাহার সেই রূপ আর নাই, সেই শরীর আর নাই । অল্পদিনের মধ্যেই ইঠলিঙকে বিছানার আশ্রয় লইতে হইল । পলাইয়া আসিয়৷ ডাম্বঙের মনেও শাস্তি নাই । অন্তরে তাহার সারাক্ষণই জলিতেছে । ডাম্বঙ রোজ ঠুই লিঙের দেওয়া কোদালের বাটটি দেখে । বাঁশের বাট তাহার সারা দেহে আগুন ছড়াইয় দেয়, তবুও তাই দেখিতে আগুল ভাল লাগে, ন দেখিয়ু উপায় নাই । এক দিন উমব ! দেখিল কোদালের বট ফাটিতে আরম্ভ করিয়ছে । তার অন্তরে ধেন উঠিল, "তোমার প্রাণপ্রতিমার আস্থখ করেছে, সে আর বঁচিবে না, সে আর বঁচিবে না। মূবং সেখানেই বসিয়া পড়িল । এত বড় জোয়ান শরীর ডামবঙের যেন ক’লে! ইহঁয়| গেল, শুকাইয়া যেন কাঠ হইয় গেল । থায় না, ঘুমায় না, থাকে আর কি ভাবে । শত শত রাক্ষস চীৎকার করিয়ু সারাদিন বনে জঙ্গলে বসিয়া ভম্বঙের বাবা চিস্থিত হইল, মা সমস্তই বুঝিতে পারিল। অবশেষে উভয়ে যুক্তি করিয়া ছেলের বিবাহ দিতে চেষ্টা করিল, কিন্তু ছেলেকে কিছুতেই রাজি করান গেল না। \