পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীরন্দাজ মাছ মানুষ যেমন দূর হইতে তাঁর ছুড়িয়া পশু-পার্থী শিকার করিয়া থাকে কোন মাছের পক্ষে ঐক্কপ কোন উপায়ে শিকার ধর সম্ভব কি ? বহুকাল পূর্ব হইতেই এইরূপ এক জাতীয় তরঙ্গাজ মাছ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক মহলে যথেষ্ট আলোচনা হইতেছিল। . ৭৬ খৃঃ অকে লণ্ডনের বিখ্যাত রয়েল সোসাইটির পত্রিকায় সৰ্ব্বপ্রথম তীরন্দাজ মাছ সম্বন্ধে এক চমৎকার বর্ণন প্রকাশিত হয়। বাটাভিয় হাসপাতালের গভর্ণর মি: হোমেল বর্ণন-প্রসঙ্গে বলেন-জ্যাকুলেটর নামে এক প্রকার মাছ নদী ও সমুদ্রের ধীরে ধীরে থাদ্য স’গ্রহের আশায় ঘূর্যি বেড়ায় । পাড়ের কাছে অগভীর জলের উপর অনেক রকমের গাছপাল ঝুলিয় থাকে। সেই সব লতাপাতার উপর কোন কীটপতঙ্গ আসিয় বধিলে, এই মছি দূর হইতে তাহ দেখিতে পাইয় আস্তে আস্তে কাছে আদিয়া উপস্থিত হয় এবং প্রায় ৭৬ ফিট দূর হইতে অতি দক্ষতার সঙ্গিত এক ফোট জল পোকার উপর ছড়ির মারে। ইহাদের লক্ষ্য অব্যর্থ জলের ফেট গায়ে লাগিয়া পোকার্ট জলে পড়িৰ মাত্রই মাছট উহাকে ধরিয়া গিলিয় ফেলে। মাছের এই কৌশল সম্বন্ধে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করিবার নিমিত্ত বড় বড় পাত্র জলপুর্ণ করিয়া তাহাতে তিনি এই মাছ রাখিয় দিয়াছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যেই মাছগুলি ঐ স্থানে থাকিতে অভ্যস্ত হইয় গেলে তিনি কাঠির মপায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কীট-পতঙ্গ আটকাইয়। জল হইতে উচুতে রাখিয় দেখিয়াছেন।--মাছগুলি অব্যর্থ সন্ধানে কীট-পতঙ্গগুলিকে জলের ফোট ছুড়িয় মারে কোনরূপে লক্ষা ব্যর্থ হইলে পোকাট পড়িয়া না যাওয়া পয্যন্ত বীর বার জলের ফোঁট ছুড়িতে থাকে। কিন্তু এরূপ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা থাক। সত্ত্বেও বৈজ্ঞাণিকের অনেক দিন পর্যন্ত এ ব্যাপারটাকে কাল্পনিক বলিয়াই সাব্যস্ত করিয়া কাঠ কই--ব ল দেশের নদীতে প্রাপ্ত তীরন্দাগু মাছ ছিলেন, কারণ এই বিবরণের পর তাহার সমর্থক আর কোন বিষরণ তখনও পাওয়া যায় নাই, এতদ্ব্যতীত প্রাচ্য-মৎস্তবিশেষজ্ঞ কয়েকজন বৈজ্ঞানিক জ্যাকুলেটর মাছের এইরূপ কোন অস্তুত ক্ষমতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ না পাইয়। এই ঘটনাকে দেখার ভুল অথবা কাল্পনিক বলিয়াই সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন। ডাঃ পিটার ত্রিকার একজন মৎস্তবিশেষজ্ঞ বৈজ্ঞানিক । হোমেল যেস্থানে ছিলেন ডাঃ রিকার ও সেই ব্যাটাভিয়াতে ৩৫ বৎসর কাল মৎস্ত-গবেষণা করিয়; কাটাইয়াছেন। তিনিও এই মাছের এই প্রকার অদ্ভুত শিকার-ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করেন নাই এবং ইহাকে একটি ভ্রান্তু ধারণা বলিয়াই উড়াইয় দিয়াছিলেন। - ডাঃ ফান্সিস ডে ভারতবর্ষ ও ব্রহ্মদেশের মাছ সম্বন্ধে প্রায় ২৫ বৎসর ধরিয়া বহুবিধ গবেষণা করিয়াছেন । তিনি “ফন ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া য় লিখিয়াছেন - শোনা যায় জলের ফেঁট ছুড়িয়' এই মাছের কীট-পতঙ্গ শিকার করে কিন্তু রিকার প্রভৃতি বৈজ্ঞানিকের এই অদ্ভূত ক্ষমতার কথা অস্বীকার করেন। বিশেষতঃ এই মাছের মুখের আকৃতি ও অ’ভাস্থরিক গঠনে এমন কিছু বিশেষত্ব নাই যাহার সহায়তায় ইহার জল চুড়িয় মারিতে পারে। এতদ্ব্যতীত প্রোফেসর কিংসূলি এই ম!ছ সম্বন্ধে আলোচনায় বলিয়াছেন-ইহাদের মুথের ভিতরে এমন কিছু অদ্ভুত যান্ত্রিক বৈশিষ্ট। নাই যাঙ্ক দ্বার জল ছুড়িয়’ উপর হইতে পোকামাকড় শিকার করিতে BB BBBB BBBB BBBB SBBSSBB BBBBS এই মাছ সাম্ব দ্ধ বিশেষ ভাবে পরীক্ষ করির যে বিবরণ প্রদান করিয়াছেন তাহাতে ইহাদের এই অদ্ভুত শিকার-ক্ষমশ্র সম্বন্ধে সম্বেন্থের নিরসন হইয়াছে । তিনি সিঙ্গ পুর হইতে এই জাতীয় জীবন্ত মাছ সিটেডেণ্ট-- দক্ষিণ-সমুদের তীরন্দাজ মাছ সংগ্ৰহ করিয় তাহদের কীটপতঙ্গ শিকারের কৌশল ও অষ্ঠাস্ত স্বভাব প্রত্যক্ষ করিয়া লিখিয়াছেন—যে-সব কীট-পতঙ্গ জলের উপর উড়িয় বেড়ায় অপব জলের উপরিস্থিত লতাপাতায় আশ্রয় গ্রহণ করে তাহাদিগকে ধরিয়া পাইয়। ইহার! জীবন ধারণ করে । লতা-পাতায়