পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواریخ ۹ অনুযায়ী খাদ্যের সংস্থান সমস্যার সমাধান হইতে পারে। এবং মানুষদের খাদ্যের সংস্থান ও সম্পদবৃদ্ধি সহকারে সংস্কৃতির উন্নতি হইলে স্বভাবত লোকসংখ্যাবৃদ্ধির হার কমিয়া আসে, কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করা আবশ্বক হয় না । এই বহুজনাকীর্ণ বাংলা দেশেই এখনও কৃষিযোগ্য অনেক জমীতে চাষ হয় না—কৃষির বিস্তার হইতে পারে। কৃষির উন্নতি ত খুব বেশী হইতে পারে। এক বিঘা জমী হইতে আমরা যত ধান, গম, যব, নানা তরকারী আদি পাই, তাহা অপেক্ষা অনেক বেশী অন্য অনেক দেশের কৃষকেরা পায় । সম্প্রতি আমেরিকায় বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন দ্বারা বিস্ময়কর ফল পাওয়া গিয়াছে। দু-একটা দৃষ্টান্ত দি। কালিফোশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর গেরিক ( Dr. W. F, Gericke) ১৫ ফুট উচু টমাটোর বা বিলাতী বেগুনের গাছ জন্মাইতেন । তিনি এক এক একর (কিঞ্চিদধিক তিন বিঘা ) জমীতে ২১৭ টন করিয়া বিলাতী বেগুন ও ২৪৬৫ বুশেল গোল আলু জন্মাইয়াছেন। আমেরিকায় সাধারণতঃ গড়ে এক একরে ১১৬ বুশেল জন্মে। এক বুশেল প্রায় সাড়ে নয় সের । অন্যান্য অনেক তরকারী ও ফুলের চাষেও তিনি আশ্চৰ্য্য ফল পাইয়াছেন । নূতন লাঙ্গল বঙ্গে সাধারণত: ব্যবহৃত লাঙ্গলে মাটী গভীর ভাবে খনিত হয় না বলিয়া ফসল যে পরিমাণে হইতে পারে তাহ হয় না । বঙ্গীয় কৃষি-বিভাগের ডিরেক্টর নুতন এক রকম লাঙ্গলের খবর দিতেছেন যাহার দ্বারা মাটী গভীরতর ভাবে কষিত হয়। ইহার ভিন্ন ভিন্ন অংশ সূত্রধর বা কৰ্ম্মকারের হাতিয়ার ভিন্নও জোড়া দেওয়া যায়। কিন্তু উহার দাম ৫০ টাকা। ইহার অৰ্দ্ধেক দামে বা তিন টাকা সাড়ে তিন টাকায় পাওয়া গেলে বঙ্গের গরীব চাষীদের সুবিধা হয় । স্বাবলম্বন ও সাম্প্রদায়িক অনুগ্রহ বোম্বাইয়ে মুসলমানদের একটি সভার অধিবেশনে তাহার সভাপতি সত্ব রহিমতুল্লা সমবেত মুসলমান শ্রোতৃবর্গকে বলিয়াছেন :– -- “নিজ সম্প্রদায়কে শিক্ষিত করুন, সংরক্ষণের উপর নির্ভর প্রষণসী SNరిgNE করিবেন না। কোনও সম্প্রদায় বা শ্রেণীর পক্ষে চিরকাল অনুগ্রহের প্রয়োজন অনুভব করার মত অপমানজনক আর কিছু হইতে পারে না। অতএব নিজ সম্প্রদায়কে উপযুক্ত এরূপ শিক্ষা দেওয়া প্রত্যেক মুসলমানের কৰ্ত্তব্য, যাহার দ্বার তাহারা পেীর জীবনে যাহা আবশ্বক তাহ পাইবার যোগ্য হইতে পারে।” চাকরির প্রতিযোগিতার বাঙালী সমগ্রভারতীয় সরকারী যে-সকল বিভাগের চাকুরীতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দ্বারা লোক নিযুক্ত করা হয়, তাহাতে বাঙালী ছাত্রেরা যথেষ্ট কৃতিত্ব দেখাইতে পারে না ! এ অবস্থা সম্পূর্ণ অবাঞ্ছনীয়। এই সকল চাকরি জীবিকনিৰ্ব্বাহের উপায় ত বটেই, অধিকন্তু দেশহিত করিবার ইচ্ছ। থাকিলে এই সব চাকররি দ্বারাও কতকটা করা যায়, অবসর সময়েও করা যায়। সুতরাং এগুলি অবহেলা করা অনুচিত । আর একটা কথাও ভাবিবার বিষয় । বর্তমানে বাংলা দেশের পরাধীনতা দু-রকমের। ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের মত বাংলা দেশ ব্রিটেনের অধীন। আর এক রকম পরাধীনতাও বাঙালীদের আছে—তাহারা অবাঙালী কনষ্টেবল পাহারওয়ালাদের অধীন। গবষ্মেন্ট ইচ্ছা ও চেষ্টা করিলে এবং পুলিস অফিসাররা কনষ্টেবল ও পাহারাওয়ালাদের সহিত ভদ্র ব্যবহার করিলে, এই সব কাজের জন্য যথেষ্ট বাঙালী পাওয়া যায়ু । বাঙালী যুবকের সমগ্রভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাসমূহে অকৃতকাৰ্য্য হইতে থাকিলে অচিরে বাংলা দেশের তৃতীয় আর এক রকম পরাধীনতা ঘটিবে—যাহার আরম্ভ হইয়া গিয়াছে ; বঙ্গের অধিকাংশ জেলা জজ মাজিষ্ট্রেট ও অন্যান্য বড় কৰ্ম্মচারী অবাঙালী হইবে । তাহ বঙ্গের কল্যাণ ও সম্মানের দিক দিয়া অবাঞ্ছনীয় । বাঙালী ছেলের যে কৃতকাৰ্য্য হয় না, তাহ তাহাদের বুদ্ধির নূ্যনতার জন্য নহে। আমাদের স্কুলকলেজগুলির সাধারণ শিক্ষাদানপ্রণালীর উন্নতি আবশ্যক। তদ্ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং অন্ততঃ কোন কোন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ছাত্রদিগকে পারদর্শী করিবার নিমিত্ত বিশেষ চেষ্টা ও ব্যবস্থা করা উচিত। কয়েক দিন,