পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণশ্বিন ভাগ এবং বীতপালের পদ্ধতিকে মধ্যদেশ শিল্প-বিভাগ লা হইত। - দশম শতাব্দীর শেষভাগে দ্বিতীয়-গোপাল সিংহাসন ধিকার করেন। সেই সময়ের একখানি সচিত্র পুথি iাওয়া গিয়াছে এবং তাহ বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়মে ক্ষিত আছে। ইহার পর একাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে হীপাল দেবের সময় বঙ্গ-শিল্পের পুনর্জাগরণের বিশেষ চেষ্ট৷ ইয়াছিল এবং এই সময়েই অষ্টসাহস্ত্রিকা প্রজ্ঞাপারমিত নুথি লিখিত হয়। এই মাধির চিত্রগুলি ত্রিবর্ণেরঞ্ছিত এবং ইহা এশিয়াটিক সোসাইটার চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। এই সময়ের কতকগুলি চিত্র বিচার করিলে আমরা দেখিতে পাই যে (ক) বুদ্ধমূৰ্ত্তির অবয়বে সামান্ত রকম পরিমাণের অভাব ; হস্তের তুলনায় পদদ্বয়ের হ্রস্বত, (খ) দেহের উপরিভাগের তুলনায় নিম্নভাগের খৰ্ব্বত, (গ) সাধারণতঃ কটিদেশ বস্ত্রাবৃত ; অন্য কোন পরিচ্ছদের অভাব। পেগানের কুব্যি অকুচি চান্‌জিখের ওলুমিন গুহমন্দিরে (একাদশ শতাব্দ) ফ্রেস্কে-চিত্রগুলি বিচার করিলেও দেখিতে পাই যে ইহার বিষয়বস্তু, বর্ণবিদ্যাস ও মুষ্ঠিরচনা পূৰ্ব্বোক্ত বদীয় শিল্পধারার অতুবর্তী। মিন পেগানের কুবি অকুচি মন্দিরের ফ্রেস্কেচিত্রগুলি, বিশেষত এই চিত্রে বৃক্ষের পরিকল্পনার সহিত প্রযুক্ত গুরুসদয় দত্ত কর্তৃক অধুনা আবিষ্কৃত পটগুলিতে অঙ্কিত পত্রগুচ্ছের বিশেষ সাদৃশু আছে। এই বৃক্ষগুলির* পত্রগুচ্ছ গাঢ় বর্ণে রঞ্জিত, আদর্শ প্রতিরূপে কেবলমাত্র উপরিভাগ গোলাকৃতি অথবা অৰ্দ্ধগোলাকৃতি অবস্থায় অঙ্কিত। এই সম্বন্ধে ঐযুক্ত গুরুসদয় দত্ত মহাশয়ও জর্নাল , গত ১৩৪১ সনের ফজিলের eনদীতে “বঙ্গের পটচিত্র" প্রবন্ধে একালি "লে" নামে লিখনিত লৈটো অতি আছে। अइ जिशनि अखत्मा गड ****** পত্রিকায় প্রকাশিত বহল চিত্র অনুসরণ আধুনিক পটুয়া কর্তৃক অতি। ব্ৰহ্মদেশে ও আরাকানে বঙ্গ-সংস্কৃতি ty :e নিয়া উতে অবস্থিত চানজিখ ও মিন্‌ মন্দিরের ফ্লেক্ষেীচিত্রের অঙ্কন-রীতি নেপাল অথবা উত্তর-বঙ্গের শিল্পীর বলিয়া মনে হয় । 剑 ইহার পরেই মিয়ান, নন্দ-মানা প্রভৃতি মন্দির উল্লেখযোগ্য। এই মন্দিরগুলি দক্ষিণ-বঙ্গের স্থাপত্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়াছিল এবং ইহার অধিকাংশ ফ্রেস্কো-চিত্রই জড়ানো পটের অনুরূপ। এই ধরণের ফ্রেন্থে-চিত্রই পেগানের অধিকাংশ মন্দিরে আদর্শরূপে গৃহীত হইয়াছিল। চিত্রগুলির সৌন্ধ ও কমনীয়তাই এই শিল্পের বিশেষত্ব। এই চিত্রগুলির মুখ, হাত, পা দুইটি দীর্ঘ রেখার দুই পার্থে গ্রামের পায়ী-থোন, পূর্বেই বলিয়াছি, তুলি দিয়া নিটােল টানে অতি এবং ইহার অঙ্কনভঙ্গীতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কমনীয়তা ফুটি উঠিয়াছে। সাধারণত মূর্তিগুলির বক্ষ উন্মুক্ত, শুধু কটিদেশ বস্ত্রাবৃত। পায়ু-থোন মন্দিরের দেওয়ালের,জড়ানোপটের অক্ষপ যে একটি চিত্র এখানে প্রকাশিত इड्रेट, ऐंशत्र শেষের এবং দ্বিতীয় চিত্ৰখানির উপরের কীৰ্ত্তিমুখ ও সিংহ দুইটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। भूरुिं इंटेंद्रि সহিত অধুনা ত্রযুক্ত গুরুসদয় দত্ত বস্তৃক আবিষ্কৃত মথুরাপুর দেউলের কীর্মুিখ ও সিংহের পরিকল্পনার একটি বিশেষ সাদুখ দেখিতে পাওয়া যায়। মথুরাপুর দেউলে অতি সিংহের স্থায় এই সিংহগুলিও এক-একটি পয়ের কুঁড়ি দংশনে ছিন্ন করিতে উদ্যত ; এ-ছাড়b ঐগুরুসদয় দত্ত মহাশয় মথুরাপুরের দেউলের নারীমুক্তিগুলির যে বিশিষ্ট পদ্ধতির কথা ১৯৩৪ সালের মার্চ সংখ্যা মডার্ণ রিভিউতে উল্লেখ করিয়াছেন উহার সহিত পেগানের এই মন্দিরগুলির চিত্রাঙ্কনপদ্ধতির একটি ঐক্য লৰিত হয়। এঁদেবপ্রসাদ বোম জনাল অব দি ইণ্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আগে পত্রে লিখিয়াছেন– কুমারস্বামী ও ক্রামরিশ নেপাল ও ত্রদেশের চিত্রে বলীয় শিল্পের সহিত যে-সাদৃপ্ত নির্দেশ করিয়াছেন, মথুরাপুরের “ দেউলে খোদিত এই ফলকগুলি তাহার সমর্থন করে । উক্ত প্রবন্ধেই শ্ৰীদেবপ্রসাদ ঘোষ মহাশয় দক্ষিণ-বঙ্গে