পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b~ఫి8 প্রবণসী >N○8Nご চলিচু এবার আমি রণযাত্রা করি। নড়িতে চড়িতে বাজে কটিতে কিঙ্কিণী। তুমিও আইস মাগো নিজ রূপ ধরি ॥ চরণে সঘনে হয় নূপুরের ধ্বনি ॥ এই কহি আগে রাজা সৈন্য পিছে চলে। পৃষ্ঠে দুলে কেশ-পাশ যেন ঘন-ঘট । কেহ গজে কেহ অশ্বে কেহ চতুৰ্দ্দোলে। উঠিল চৌদিকে ঘন [ ] ধ্বনি । গৰ্জিল কামান শত র্কাপায়ে মেদিনী ॥ ভাঙ্গিল সবার ঘুম ঘুম ঘুম নাদে । কেহ দেখে দ্বার খুলি কেহ উঠি ছাদে। ক্ষণে দ্বার রুদ্ধ করি ছাদ হতে নামি । পশে গিঞ পুর-মধ্যে যুদ্ধ-যাত্রী জানি ॥ কতক্ষণ পরে রাজা চাহে চতুৰ্ভিতে। সমুথে আলোক ছটা পাইল দেখিতে ॥ রবির সমান তার নি - - - - - - 拂 ২১9] পাশে তার রহে থাড় একটি যুবতী ॥ ভুবন-মোহিনী রূপে তুলা নাহি তার। নীল বাসে অণটা কটি গলে চন্দ্রহার ॥ নাসায় বেসর ঝুলে কৰ্ণেতে কুণ্ডল । কেয়ুর কঙ্কণ করে করে ঝলমল । সাতাকি বিপদে পড়িয় গো-সিংহকেও নিমন্ত্রণ দিলেন । মালুম-ভক্ষণের লোভে অসুর যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হইল, কৃষ্ণ চিন্তায় আকুল । গে -সিংহ তিন লম্ফ প্লাজাকে গিলিয়া ফেলিল, ছাপন্ন কোটি যদু-বংশকে সমুদ্রে ডুবাইল, কৃষ্ণ বলরামকে যজ্ঞে পূর্ণাহুতি দিল। রৈবতক পর্বতে একটি মানুষ রহিল না । গো-সিংহ রূপবর্তী সত্যভামাকে রথে লইয়া স্তরাজ্যে যাত্র, করিল, সত্যভাম কৃষ্ণসথ অৰ্জুনকে ডাকিতে লাগিলেন । তথন অজুন প্রভাসতীর্থে তপস্যা করিতেছিলেন । অজুন জানিতে পারিয়া পাশ-ভেদী বাণ স্বার গো-সিংহের রথ আটকাইলেন । দুই জনের ভীষণ সংগ্রাম হইল। তেত্রিশ কোটি দেবত থৰ্ব-থর কাপেন, সপ্তদ্বীপ পৃথিবী টল্-মল করেন, সপ্ত সাগরের জল উথলিয় পড়ে । অজুনের ব্ৰহ্মাশ্বও নিষ্ফল হইল, অম্বরের কাট মুণ্ড যোড় যাইতে লাগিল । অজুন শূন্তবাণী শুনিলেন, গো-সিংহ পাৰ্বতীর বর-পুত্র, তাহার মৃত্যু-শর পার্বতীর উদরে আছে। অজুন মন-ভেদী বাণ দ্বারা ত্রিলোচনের চরণে নিবেদন করিলেন। শিবের স্তবে তুষ্ট হইয় পার্বতী মৃত্যু-শরটি দিলেন, মন-ভেদী অৰ্জুনের হাতে আনিয়া দিল । গো-সিংহ রাজ্যদিকে উপর হইতে বাহির করিল, যদু-বংশকে সমুদ্র হইতে তুলিল, কৃষ্ণ বলরামকে অগ্নিকুণ্ড হইতে উদ্ধার করিল। পরে অজুনের হস্তে তাহার নিপাত হইল। সত্যভাম অজুনের নাম বিজয় রাখিলেন। "অজুনের বিজয় নাম এত দূরে সায় । সারঙ্গ সেবিয়। সে সারল কবি গায়।” সারল-জাস । পঞ্চদশ খ্রিষ্টাদশতকে ছিলেন । তৎ-কৃত মহাভারত মধ্যপর্বে উপাখ্যানটি আছে, কিন্তু বঙ্গানুবাদের সহিত অবিকল ঐক্য নাই। e পাতাখানির দক্ষিণ ধার স্থানে স্থানে ছিন্ন । মাথায় মুকুট শোভে বিদ্যুতের ছটা ॥ দক্ষিণ করেতে ধরা খরতর অসি । অগ্নি-ভরা অাখি মুখে অট্র আট হাসি । কহে রাজা করপুটে করিঞ প্রণাম । কি রক্ষিচু হেথা মাগে| ত্যজি বিশ্বধাম ॥ বিশ্বের জননী তুমি একি তব রীতি। নয় কি গোপাল-সিংহ তুমার সন্ততি । এক পুত্র হামীরের করিতে কল্যাণ। আর পুত্র গোপালেরে দিবি বলিদান । আকাশের চাদ পাড়ি দিবি এক পুতে। আর সুতে দিবি বিষ মাথি দুধে ভাতে ৷ ক্ষত্র আমি বিনা যুদ্ধে কেমনে মা ফিfর । ক্ষত্রিয়ের রীতি এই মারি কিম্ব মরি ॥ মা হঞে সস্তানে বধ অতি বড় সোজা । কিন্তু বহা কঠিন সে কলঙ্কের বোঝা । এই দণ্ডে ত্যজ মোর বন্দী সেনা-দলে। ছাড় পথ যাই আমি সংগ্রামের স্তলে । দেবী কহে জানি আমি শক্তির যে লীল । ভূতনাথ পতি তার ভূত সঙ্গে খেলা ৷ তেঞি তুমি নিজ রাজ্যে করিলে ঘোষণ। কেহ যেন নাহি করে শক্তির পূজন ॥ মাতালের মাতা তিনি ডাকুর পূজিতা । মদিরা মহিষ ছাগ রক্তে হরষিতা ॥ নর-রক্ত হলে হয় আরো প্রীতি তার । হেন রাক্ষসীর পূজা না করিহ আর ॥ এত শক্তি যদি তোর জন্মিয়াছে মনে । আমারে আরতি তুই করিস কেমনে । ক্ষত্র হয়ে মিথ্যা কথা ধিক্ দুরাশয়। শক্ৰ হঞে পুত্র বলি দিস পরিচয় ॥ বিধিমতে সাজা তার আজি তুমি পাবে। ধর অন্ত্র কর রণ স্মরি ইষ্টদেবে।

  • ডাকু, ডাকাইৎ । ওড়িয়াতে ডাকু ।