পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন २२०] রাজা কহে কি যে বল মৃত্যু যার সখা। যার সনে রণে বনে নিত্য হয় দেখা । তার নাম করি মোরে কি দেখাও ভয় । বার বার কত মাগো দিব পরিচয় ॥ মোরে কই মিথ্যাবাদী বুঝিতু ভবানী। সঙ্গদোষে সব গুণ হারাঞেছ তুমি । পরম বৈষ্ণবী তুই তেই এক কালে । ছিল চেষ্টা যাহে তোরে না পূজে মাতালে। না পূজে দস্থ্যর দল ছাগ মেষ দিয়া। নর-রক্তে না পূজে সে নর কপালিয়া* ॥ উণ্ট বুঝি এলি তুষ্ট মল্লরাজ্য লাগি । ধৰ্ম্ম করি হইমু আমি অধৰ্ম্মের ভাগী । ক্ষত্র রয় পড়ি যদি মৃত্যুশয্যাপরে । তার স্থানে রণ বাঞ্ছা যদি কেহ করে ॥ বিকার কাটিয়া সেই উঠে সেইক্ষণে । আমি তবে বিমুখিব তোরে বা কেমনে । মরণ নিশ্চিত মোর তোর করে জানি । তত্ৰাপি সতর্ক হও তুমি কাত্যায়নী ॥ যন্ত্রণার সীমা আছে আমার মরণে । তোর কিন্তু নাহি সেই মৃত্যুহীন প্রাণে ॥ র্তেই বলি সাবধানে কর শু্যাম রণ। সংগ্রামে নামিল ক্ষত্র করি প্রাণপণ ॥ অসিতে অসিতে যুদ্ধ হয় ঘোরতর। স্বর্গে কাপে দেবগণ মৰ্ত্তে কঁাপে নর ॥ মুহুমুহু হুহুঙ্কার ছাড়ে দুই জন। প্রলয়ের মেঘ যেন গর্জে ঘনে ঘন ॥ সামাল সামাল রাজা ইণকে কাত্যায়নী । রাজা কহে আপনারে সামাল কল্যাণী ॥ হাক দিয়া হৈমবতী কহে অট্টহাসি। মাথার মুকুট রাজা পড়িল যে খসি । রাজা কহে বাতাঘাতে পড়িল তা জানি । কিন্তু যে ছিড়িল তোর কটির কিঙ্কিণী ॥

  • কপালিয়া, কাপালিক ।

চণ্ডীদাস-চরিত tూఫిe এই মতে দুই জনে হয় ঘোর রণ। বিষ্ণুপুরে জানিল তা মদন-মোহন ৷ ভৈরব ভৈরব বলি ইকে হরপ্রিয়া । গৰ্জিঞা ভৈরব তথা উত্তরিল গিঞাঁ ॥ অঁাকড়ে বাধিঞ ভূপে তুলি শূন্ত ভাগে । লঞ যায় বন্দীশালে পবনের বেগে ॥ কৃতাঞ্জলি-পুটে রাজা কহিলা তখন। রক্ষা কর আসি মোরে মদন-মোহন ॥ ভয় নাই ভয় নাই বলিতে বলিতে । মদন-মোহন আসে গদা-চক্র হাতে ॥ শিরপরে কাপে ঘন শিথি-পুচ্ছ-চুড়া । বনমালা সুশোভন গলে গুঞ্জ-বেড়া ॥ পীতাম্বর অণটা কটি কমল-লোচন । ভক্ত-মনোহর শু্যাম মদন-মোহন ৷ মুখে সদা হারেরেরে হারেরেরে রব । মাভৈঃ মাভৈঃ ইণকে ভৈরবী ভৈরব ॥ শু্যাম শুমা দেণহে যবে হইল দেখাদেখি । কি অপূৰ্ব্ব ভাবে তারা অশ্রপুর্ণ অাখি ॥ কিন্তু ক্ষণে ঘনশ্যাম মুছিঞ নয়ন। বাসলীরে কহে কিছু কর্কশ বচন ॥ তমোগুণে পূর্ণ তুমি হঞ হৈমবতী । একেবারে থোয়াঞিবি বিষ্ণুর শকতি ॥ জানি তোর ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কিছু জ্ঞান নাঞি । অস্থর-দলনে তোরে জন্ম দিতু তাঞি । মোর রণে তোর আজি দৰ্প হবে চুর । দেবী কয় এস মোর মাথার ঠাকুর । সত্য তুমি ধৰ্ম্মময় কিন্তু কোন কাজে । কিঞ্চিদপি ধৰ্ম্ম তব নাহি পাই খুজে । মাতৃ-বক্ষ হতে ছিনি পুত্রে কর নাশ । এ কেমন ধৰ্ম্ম তব কহ শ্ৰীনিবাস ॥ লঙ্কার রাবণ হয় তাহার প্রমাণ । আমি মাতা তুমি ঘাত রঘুবর রাম। চোরাঘাতে বধি তুমি বালীর জীবন। কেমনে করিলা প্রভু ধৰ্ম্মের রক্ষণ ॥