পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yతిష్టి - - লেনিইমামরা ক্যাপ্তি করা শিখলাম। এর আগের কালের ছেলেমেয়ের লেবুর খোসার ক্যাণ্ডি করেছিল। আমরা চালকুমড়ার করলাম। এদেশে একেই পেঠার মেঠাই বলে ও এটা খুব বিক্ৰী হয়। আগ্রার পেঠা প্রসিদ্ধ, কিন্তু আমাদের তৈরি পেঠা আমাদের কাছে তার চেয়েও উংকৃষ্ট भटन ट्रल । আমরা কিছু লেবুর রসের সিরাপ এবং কডিয়ালও করেছিলাম, তবে অনভিজ্ঞতার দোষে একটু তেতো হয়ে গেল । * করার সম্বন্ধে বক্তৃতা দিলেন। ইনি রোজ সকালে অল্লক্ষণ দুধের বিষয়ে বলতেন যদিও সেটা আমাদের কোসে ঠিক ছিল না। আমাদের সৌভাগ্যবশতঃ তিনি কোন কাজে সে-সময়ে এলাহাবাদে এসেছিলেন তাই আমরা দুধের মত অমূল্য আহাৰ্য্যের বিষয়ে অনেক দরকারী কথা জানতে পারলাম। লেমন ড্রপস তৈরি করার থিওরিও আমরা জানতে পারলাম, অনেকের ওবিষয়ে জানবার উৎসাহ ছিল বলে। ফ্যাক্টরী ভিন্ন লেমনড্রপস করা যায় না। যার ফলসংরক্ষণ-ব্যবসায়ে ব্রতী হবে তাদের উপলক্ষ্য করে মাথুর-মশায় আমাদের বললেন, ক্যানিঙে কি কি দোষ হয়। সেদিনই বিকালে পরীক্ষা হ’ল । যা যা শেখান হয়েছিল তারই মধ্য থেকে মুখে মুখে প্রত্যেককে আলাদা ডেকে প্রবাসী ఇళిaరి প্রশ্ন করা হ'ল। কিছু প্রাকটিক্যাল কাজও দেখা হ'ল। অনেককে কয়েক রকম জেলির নমুনা দেখিয়ে তাদের দোষগুণ বিচার করতে বললেন, কাউকে প্রেস্যর কুকারের ব্যবহার পরীক্ষকেরা দেখাতে বললেন। কয়েকটি রঞ্জন পোষ্টার দেখিয়ে অনেককে তারা জিজ্ঞাসা করলেন যে এর মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ। কেননা বিজ্ঞাপনাদি বিক্রীর বন্দোবস্তের মধ্যে এসে যায়। দুটি ছাত্র ছাড়া আমরা সবাই পাস হয়ে গেলাম । পরদিন এলাহাবাদের কালেক্টর মিঃ বিশপ আমাদের সার্টিফিকেট দিলেন। মা ও আমি সেদিনই কাশী ফিরে এলাম । আট-দশ দিন পরে পণ্ডিতজীর বিশেষ অন্তরোধে চাপরাসী দিয়ে আমরা বাড়ীতে তৈরি আচার জ্যাম জেলি প্রভৃতি সবসুদ্ধ একান্ন রকম জিনিষ এলাহাবাদে পাঠালাম প্রদর্শনীর জন্য। পণ্ডিতজীর চেষ্টায় যুক্ত-প্রদেশের ফলোৎপাদক-সমিতি একটি আম্র-প্রদর্শনী খুলেছিলেন । তাতে আচার-মোরব্বার জন্য একটি বিশেষ শাখা খোলা হয়েছিল । যারা যারা এখান থেকে শিথে গিয়েছে, তারাও অনেকে জিনিষ পাঠিয়েছিল ; পণ্ডিতজীই সবাইকে চিঠি লিখেছিলেন পাঠাবার জন্য । এই আম্র-প্রদর্শনীটি নাকি কাশী ও লক্ষ্মেীর প্রদর্শনীর অপেক্ষ অনেক উচু দরের হয়েছিল। এর থেকেই বোঝা যায় যে ফলসংরক্ষণ-শিক্ষা ক্লাসের উদেশ্ব কতটা সফল হয়েছে।