পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ8 প্রবাসী

్సNరిgNరి

নভেল যাত্র-থিয়েটার প্রভৃতিকে ঘৃণা করিয়াছেন । আজিও গোপনে গোপনে এ সবে যোগদান করিলেও নীতির দিক দিয়; এগুলিকে তাহারা তাচ্ছিল্য করিয়া থাকেন। অভিনয়ক্ষেত্রে ইসলামের প্রথম যুগের মহাপুরুষগণকে মঞ্চোপরি কোনও ভূমিকায় নামানে। ত দূরের কথা, সেই নামীয় কোনও ব্যক্তি কোন ভূমিকা গ্রহণ করিলে সমাজে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় । শুনা যায় বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাস এক সময় এই কারণে অভিনীত হইতে পারে নাই । সুতরাং ইসলামের আদর্শ, সভ্যতা, সংস্কৃতি, ইতিহাস প্রভৃতি এই পন্থায় প্রচারিত হয় নাই, সেই জন্য এই সবকে উপলক্ষ্য করিয়া বিশেষ কোনও সাহিত্য রচিত হয় নাই । যদি তাহার কারবালার ঘটনা, আরবের অন্ধযুগের কাহিনী, ইসলামের প্রভাবে তাহার পরিবর্তনের বিবরণ, ভারতে রাজ্যবিস্তারের কথা, ভারতে মোসলেম সভ্যতা প্রচারের বিবরণ প্রভৃতি বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া কাব্য, নাটক, উপন্যাস রচনা করিতেন ও তাহাকে মঞ্চোপরি অভিনীত হইতে দিতেন তাহা হতলে মুসলমানদের মধ্যে সাহিত্যচৰ্চ্চার প্রবৃত্তি খুবই বাড়িয়া যাইত, এবং ইসলামী সভ্যতার প্রভাব বঙ্গভাষায় পরিস্ফুট হুইত । ঠিক হিন্দুদের মতই যাত্র-থিয়েটারে ইসলামী কাহিনী উপকথা প্রভৃতি প্রচারিত হইত এবং এই দুই সভ্যতার প্রচারের ফলে দেশের উভয় সমাজহ উপতে হঠত, বঙ্গসাহিত্যে উভয়েরই প্রতিভার পড়িত। এ যুগের সিনেমাকে বাহন করিয়া হিন্দুভারতের কত কাহিনী প্রচারিত হইতেছে, অথচ যাত্র-থিয়েটারের মত সিনেমা-শিল্প আজ মুসলমানদের নিকট অবজ্ঞাত ও পুণ্য। এই-সব বিষয়ে বাঙালী মুসলমানরা এত পশ্চাৎপদ যে পদায়ু তুলিবার মত চাপ অধিক গ্রন্থ আমাদের মধ্যে নাই ! এই ভাবে আমরা সভ্যতা প্রচারের সমুদয় পথ বন্ধ করিয়া দিয়াছি – প্রথম যুগে বাংলাকে অবহেলা করিয়াষ্টি, এবং এ-যুগে আদর্শ প্রচারের বাহনগুলিকে অবহেলা করিয়াছি । আর চোথের সম্মুখে দেখিতেছি অপরে এই-সব উপায়ু অবলম্বন করিয়া সাহিত্যের সৰ্ব্ব স্তরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করিতেছে, কিন্তু ইহাতেও আমাদের চৈতন্যোদয় হয় নাই । আমাদের সংস্কৃতি নষ্ট হইতেছে বলিয় চীৎকার করিলেই কি সংস্কৃতি ফিরিয়া আসিবে ? উঠার মুরুব্বি ত ব্রিটিশ প্রভৃ নয় যে, চীৎকার করিয়া হিন্দুদের বিরুদ্ধে দু-একটা কথা আওড়াইলে রাতরাতি বাটোয়ারার মত র্তাহাদের হাতে-গড়া ‘রেডি-মেড' একটা সংস্কৃতি দিয়া অনুগ্রহপ্রার্থিগণকে থামাইয়া দিবেন ! বুঝিয়া-স্বঝিয়া সম্ঝিয়া চলিয়, প্রেরণার আবেগে নয়, প্রয়োজনের তাগিদে কোন কিছু লিখিলেই তাহা সাহিত্য হয় না, তাহা সাহিত্যকে প্রভাবিত করিতে পারে না, তবে এই-সব চীংকারের পরোক্ষভাবে এই ফল হইয়াছে—আজ আমরা বুঝিয়াছি যে বাংলা ভাষায় ও সাহিত্যে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাব বেশী পড়ে নাই । কিন্তু সাহিত্যসৃষ্টির চিরাচরিত পথ ব্যতীত অন্য পথে ও অন্য ভাবে প্রভাব বিস্তার করিতে গেলে তাক ধ্যর্থ পরিশ্রম হইবে । আসাহিত্যিকের নির্দেশে যে রচনা সষ্ট হইবে তাই চিরঅচল হইয়া রহিবে । এজন্য সাহিত্যিক পন্থা অবলম্বন করিতে হইবে—তাহা হইতেছে অনুপ্রাণিত হইয় সৎসাহিত্য সৃষ্টি করা । কাল্পত বঙ্গসাহিতাকে যে পৌত্তলিকতার ভাবে ও অাদর্শে পরিপূর্ণ বলিয়: বর্ণনা করা হইয়াছে তাঙ্গ অসত্য মতে । কিন্তু BBBBBB BBBB BSBB BBD DDS BBB BB কি আশা করা যাহতে পারে ? পূৰ্ব্বেং উল্লেখ কবিয়াছি ধেরুপ অবস্থার মধ্যে হিন্দুর বাংলা ও সাহিত্য পাইল এবং যেভাবে তাহার। ইহার চর্চা করিতে লাগিল, ভাষ} BBBBB BBBS BB BBBB BBBB BBB BBkk অধিকতর স্বাভাবিক । বঙ্গসাহিত্যে কোন সভা তার অধিক ছপ পণ্ডিয়াছে, অথবা পৌত্তলিকতার ছাপ এ ও বেশ কেন পড়িয়াছে, প্রতি পদবিক্ষেপে আমদিগকে তাহ দেখিলে স্মৃষ্টি করিয়াছে মুদি তাত চলিবে না, আমধ। শুধু দেখিব হিন্দুর যুক্তি তাহ প্রকৃত সাহিত হইয়াছে কিন} । 受i気愛 সাহিত্য হয়, তবে তাহা আমাদের চিরপ্ররণায় । বাশুখ্ৰীষ্টকে খেদাতালার পুত্র বলিয়া বর্ণনা করিয়া গুডরোপীয় ভাষ: যে সব সাহিত্য রচিত হইয়াছে তােহ যদি আমাদের নিকট পরিত্যাজ্য না হয়, তবে রাম যুধিষ্ঠির ও সাত সাবিত্রীকে আদর্শ করিয়া ঘে-সাহিত্য রচিত হঠয়াছে পৌত্তলিকতার অজুহাতে তাই পরিত্যাগ করিবার কোনও সঙ্গত কারণ নান্ত । কিছুদিন হইতে একটা কথা উঠিয়াছে, যেহেতু বাংলা-সাহিত