পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԱ, “আইলেন প্রভঞ্জন সিংহনাদ করি ঘন যথা ভীম ভীমসেন কৌরব সমরে ? এক জন সঙ্কলক মনে করিলেন মুসলমানের ছেলের পক্ষে ভীমের নাম জানা অত্যন্ত অন্যায়, তাই তিনি শেষ লাইনটি পরিবর্কিত করিয়া নিম্নোক্ত কথা বসাইয়া দিলেন, "যথ৷ আলি হায়দার বদর সমরে”—আর টেক্সট-বুক কমিটি তাহাই মঞ্জুর করিয়া দিলেন । কিন্তু মনোযোগ করিয়া দেখিলে বুঝা যাইবে, পরিবর্তিত লাইনটি মূল লাইনের সাহিত্যিক সৌন্দৰ্ঘ্য হইতে একেবারেই বঞ্চিত। এই ভাবে রসের দৃষ্টি না রাখিয় সাহিত্যকে লইয়া ছিনিমিনি খেলিলে মুসলমানদের বিশেষ উপকার হইবে না । মুসলমান সমাজকে হজরত আলির বিষয় iজ্ঞাত করাহতে হস্তলে তাহাকে উপলক্ষ্য করিয়া রচনা লিখিতে হহবে । অথবা অন্য কোন কবিতায় উপযুক্ত উপমার সহিত তাহাকে জড়িত করিতে হইবে । আমরা বঙ্গসাহিত্যে আরবী ফারসী শব্দ প্রয়োগের একেবারেই বিরোধী নহি । কিন্তু তাহ ‘প্রয়োজন মত’ অর্থাৎ গরজ অনুসারে ব্যবহৃত হইবে ন! । লিখিবার সময় স্বাভাবিক ভাবে আপনা হইতেই ঘহি আসিবে কেবল তাহাঙ্গ প্রয়োগ করিতে হইবে । আরবী ভাষার যে-সকল শব্দ সাধারণ মুসলমানগণ নিজেরাই বুঝে না, প্রবাসী

్సNegNరి

আরবী-অভিজ্ঞ পণ্ডিত যদি তাহাই বাংলায় ব্যবহার করিতে যান, তরে তাহাতে লেখকের পাণ্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যাইতে পারে, কিন্তু তাহা বঙ্গভাষার সম্পদবৃদ্ধির পক্ষে বিশেষ সাহায্য করিবে না । আরবী "সালাত’ ‘সিয়াম’ ‘সাদকাত 'রিয়াজাৎ প্রভৃতি শব্দ সাধারণ মুসলমানগণ নিজেরাই বুঝে না, তাহারা ইহার পরিবর্তে ফারসী নামাজ, রোজ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করে । সুতরাং আমার বক্তব্য —নামাজ, রোজা প্রভৃতির পরিবর্তে “সালাত’ ‘সিয়াম'শন্ধ ব্যবহার করিবার কোনও কারণ নান্ত । অবশু নামাজ, রোজার পরিবর্তে বাংলা উপাসনা ও উপবাস চলিবে না। কিন্তু উহার জন্তু বঙ্গসাহিত্যে আরবী বা ব্যবহার করিবার দরকার নাই । আমার মনে হয়, এই সব আরবী শব্দ লেখকের মনে আপন! তহঁতে উদিত হয় ম । তিনি যখনই মনে করেন বঙ্গসাহিত্যকে জয় করিব, তখনই কতকট কষ্টকল্পনার মত এই সব বাছাই বাছাই আরবী শব্দ ব্যবহৃত হহয়! থাকে । ধাহী হউক, আশা করি, সাহিত্য জয়ু BBBB BBS BBB BB BB BBBBBB BB BBBBC যেন আর অধিক দূর অগ্রসর ন বটতলার পুথির প্রতি পুনরায় লঙ্গয় তাহ হয়, তাং যেন মুসলমানদের দৃষ্টি C BBBS BB BBBBBBB BB BBBS BBBBSBBB যেন সত্যকার ভাবে উদ্বুদ্ধ হয়। সত্য ণ্ড সুন্দরের সাধনায় আত্মসমাহিত হয় । অসময়ে শ্রীধীরেন্দ্রনাথ হালদার হাটের মাঝারে পাতিয়া দোকান ন। করিতে বেচা-কেন। শেষ হইবে কি পুজিপাট। সব জীবনের লেন-দেন ? রহিবে কি শুধু যত ক্ষতি ক্ষয় ব্যথা ও বেদন, চির-পরাজয় বাধনের মাঝে জীবনের রথ মুক্তির পথ চেয়ে } রয়েছে যে মিশে জীবনে মরণে দিবসের শেষে গোধুলি-লগনে আসিবে সে পুম থেয়াঘাটে এত পারের তরণী বেয়ে ?