পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! ভারতবন্ধু ডাঃ জে টি সাপ্তাল্যাণ্ড । - ঐতারকনাথ দাস, পিএইচডি ভক্তিভাজন ডাঃ জে. টি সাণ্ডালাও অ্যান আবরে $াহার পুত্র অধ্যাপক সাঙালাওর গৃহে ১৪ বৎসর বয়সে দেহত্যাগ করিয়াছেন, আজ প্রাতঃকালে এই সংবাদ জানিতে পারিলাম। তাহার মৃত্যুতে আমেরিকা এক জন শ্রেষ্ঠ ধর্থনায়ককে হারাইল, স্বাধীনতা, ন্যায় ও শাস্তির সেবক উদারমনা এক পুরুষ পৃথিবী হইতে চলিয়া গেলেন। যৌবনে ডাঃ সাগুলোও সৰ্ব্বদেশে মানবের মুক্তি-সংগ্রামে সহায়স্বরূপ ছিলেন ; সেজন্য র্তাহাকে অনেক যুঝিতে হইয়াছে। নিগ্রেী দাসদের স্বাধীনত চাহিতেন বলিয়৷ আমেরিকার জম্বন্ধন্দ্রে তিনি লড়াই করিয়াছিলেন। জারের আমলের রাশিয়ার অত্যাচরিত ইহুদীদের তিনি ছিলেন সমর্থক ; মিশর, আরব, ভারতবর্ষ—সৰ্ব্বত্রই তিনি স্বাধীনতার পোষক ছিলেন, প্যালেষ্টাইনে ইহুদী-উপনিবেশ স্থাপনেরও তিনি সমর্থন করিতেন। মানব-ভ্রাতৃত্বে বিশ্বাসী ডাঃ সাওলোও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য জাতিদের পরস্পরের মধ্যে সৌহাৰ্দ্দাবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বহু শ্রম স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। প্রাচ্য জাতিদের সম্বন্ধে পাশ্চাত্য জাতিরা যাহাতে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ না করে, প্রাচ্য সংস্কৃতির গুণগ্রহণ যেন সহজে তাহারা করিতে পারে, এই উদ্বেপ্তে তিনি পাশ্চাত্য দেশে প্রাচ্য ভূখণ্ডের ধৰ্ম্ম ও সভ্যতার আলোচনা প্রচারে সৰ্ব্বদা যত্নশীল ছিলেন। প্রাচ্য জাতিদের আকাঙ্ক্ষা ও আদর্শের কথা তিনি সৰ্ব্বদাই স্বীয় রচনায় ও বক্তৃতায় পরিস্ফুট করিম তুলিতে চেষ্টত থাকিতেন । প্রায় আৰু শতাব্দী কাল ধরিয়া আর কোনও বিদেশী এমন নিৰাঞ্চ- ও একাগ্রভাবে ভারতবরে সেব করিয়াছেন বলিয়া জামি জানি না। বছ বৎসর পূর্কে ( ১৮৯৫ খ্ৰীঃ) ভারতবর্ষে আসিয়া ও তথাকার অবস্থা স্বয়ং পধ্যবেক্ষণ করিয়া ভারতবর্ষে দুর্ভিক্ষের প্রান্থাৰ সম্বন্ধে তিনি যে মন্তব্য ফরিয়াছিলেন তাহ সমস্ত পৃথিবীর দৃষ্ট আকর্ষণ করিয়াছিল; -ৰাৰ বৃটির অভাবে যে ভারতে इउिस क्ष उीशं न६, y et-34 | জনসাধারণের অচিন্তনীয় দারিদ্র্য ও শোষণই এই সকল দুর্ভিক্ষের কারণ, ইহাই ছিল তাহার সিদ্ধান্ত। ডাঃ সাণ্ডাল্যাণ্ডের মন্তব্যে উদ্বোধিত হইয়াই প্রসপারাস ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া'র গ্রন্থকার উইলিয়ম ডিগবী, ভারতে দারিত্র্য ও অ-ব্রিটিশোচিত শাসন গ্রন্থের লেখক দাদাভাই নওরোজী, ভিক্টোরিয়যুগের ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক ইতিহাস-প্রণেত রমেশচন্দ্র দত্ত প্রভৃতি ভারতের দারিদ্র সমতার আলোচনা ব্ৰতী হন। ডাঃ সাগুলোণ্ডের প্রেরণায়ই ইউনিয়ন খিলজিকাল সেমিনারির সভাপতি পরলোকগত ভা হল প্রভৃতি খ্ৰীষ্টিয়ান নেতৃগণ ভারতের প্রতি অনুরক্ত হন। তাহারই চেষ্টায় মার্কিন-প্রধানদিগের অনেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন সমস্তার আলোচনায় আকৃষ্ট হইয়াছিলেন; তাহার বিরুদ্ধাচরণ করিবার জন্য লর্ড কার্জন-জাতীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীগণ গোপনে বহু চেষ্টা করিয়াছিলেন । ডাঃ সাগুলোও যে ব্রিটিশ-বিদ্বেষী ছিলেন তাহ নয় ; বরং ব্রিটিশ ঐতিহ্যে যাহা শ্রেষ্ঠ, সৰ্ব্বদাই তিনি তাহার পরিপোষক ছিলেন। আমেরিকার স্বাধীনতা-সংগ্রামে বার্ক প্রভৃতি মার্কিন জাতির সহায় হইয়াছিলেন। বহু ব্রিটিশ বণিক আমেরিকায় অস্তযুদ্ধে দাসত্ত্বপ্রথার সমর্থন করিলেও ব্রিটিশ শ্রমিকগণ ঐ প্রথা রদ করিবার পক্ষে ছিল। ডাঃ সাগুলোও আশা করিতেন, যে, ব্রিটিশ জাতির শ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অংশ ভারতবর্ষে স্বাধীনতার উদ্যমকেও সেইরূপ সমর্থন করিবেন। ভারতের মুক্তির জন্ত লড়িতে গিয়া তিনি ‘ইণ্ডিয়া ইন বণ্ডেজ এণ্ড হার बाईं हूँ औछम' (भद्राशैन ভারত ও তাহার স্বাধীনতার অধিকার) গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। ব্রিটিশ সরকারের আদেশে ভারতে বখিনি বাজেয়াপ্ত হয়। কিন্তু বর্তমান ভারতের অবস্থা সদ্ধে ঐৰাবং ইহাই শ্রেঃ গ্রন্থ। তিনি সতাই বলিতে, যে, ভারত্ব স্বাধীন হইলে তবেই পৃথিবীতে প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হুইবে । সুতরাং ! ভারতবর্ষের কথা গ্রেট ব্রিটেন তাহার ঘরোয় ব্যাপার दलिश्री