পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

విజలీ SN5gNE কমতি ৭••• । আকাশযুদ্ধের জন্য আবশুক সৈন্যদলের প্রথম বিভাগে ১০,০০০ লোক কম আছে। আক্রাস্ত হইলে_শুধু লণ্ডনের রক্ষার্থই যে এরোপ্লেন-সৈনিকদিগকে যুদ্ধকরিতে হইবে, তাহাদের সংখ্যার শতকরা ৫০ জন কম আছে । শান্তিপ্রতিষ্ঠায় ইংলণ্ডে ভারতীয় শিক্ষার প্রভাব পূৰ্ব্বে উল্লিখিত ক্যানন শেপাড় প্রমুখ লোকেরা যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করিতেছেন, তাহাতে মহাত্মা গান্ধীর ভারতবর্ষীয় অহিংসাবাদের প্রভাব তাহার নাম করিয়াষ্ট স্বীকৃত হইয়াছে। গান্ধীজীর এক জন আমেরিকার ‘চেলা" মি: গ্রেগ “দি পাওআর অব, নন-ভায়োলেন্স" নামক একখানি পুস্তক লিখিয়াছেন। তিনি শান্তিনিকেতনে কিছু কাল ছিলেন। তিনি ইংলণ্ডে যুদ্ধবিরোধী শাস্তিকামী দলের মধ্যে থাকিয়া কাজ করিতেছেন। ইংরেজরা বলেন, ব্রিটেন তরবারি দ্বারা ভারতবর্ষ জয় করিয়াছেন । তাহা ঐতিহাসিক সত্য হউক বা না-হউক, সমসাময়িক ঐতিহাসিককে হয়ত মলিতে হইবে, যে, ভারতবর্ষ অহিংস ও শাস্তির বাণীর দ্বারা ব্রিটেনকে জয় করিতেছে। বিরোধী পক্ষকেও প্রকারান্তরে ভারতবর্ষের প্রভাব স্বীকার করিতে হইতেছে। কলিকাতার ষ্টেটুসমান কাগজ বিলাতে ক্যানন শেপাড় প্রমুখ শাস্তিসমর্থকদের মত ও কর্ণের বিরুদ্ধে এক গণ্ড সম্পাদকীয় প্রবন্ধ লিথিয় ফেলিয়াছেন। তাহাভে গীতায় ঐকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে ক্লৈব্য ত্যাগ করিয়া যুদ্ধ করিতে যে উপদেশ দিয়াছিলেন, সেই মৰ্ম্মের বচন ষ্টেটসম্যান আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য উদ্ধৃত করিয়াছেন। মহাত্মা গান্ধী ইংরেজী "হরিজন” পত্রিকায় ষ্টেটস্ম্যানের জবাব দিয়াছেন। তাহাতে গান্ধীঙ্গী লিথিয়াছেন, ষ্টেটসম্যান গীতার যুদ্ধপ্ররোচক যে-সব কথা উদ্ধৃত করিয়াছেন, টেরাব্লিষ্ট অর্থাৎ বিভীষিকাপন্থী সমাসকেরাও তাঁহাই ব্যবহার করে। ষ্টেটসম্যান গান্ধীজীর প্রবন্ধের উত্তরে দীর্ঘ একটি সম্পাদকীয় প্রবন্ধ লিথিয়াছেন। তাঁহাতে এই মর্শের কথা বলা হইয়াছে যে, গীতায় যেরূপ যুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়া হইয়াছে, তাহা যুদ্ধঘোষণার পর উভয় পক্ষের সশস্ত্র যুদ্ধ ; তাহ, যুদ্ধঘোষণা ন-করিয়া সশস্ত্র লোকের বা লোকদের দ্বারা অতর্কিতে অস্ত্রহীন নিরপরাধ অসৈনিক লোকদিগকে বা লোককে আক্রমণ নহে। কোনও টেরারিষ্টের সহিত তাঁহাদের পন্থা সম্বন্ধে আমাদের কৰ্পনও আলোচনা হয়, নাই। স্বতরাং ষ্টেটুসমানের ঐ তর্কের উত্তর টেরারিষ্টদের কিছু আছে কি না এবং থাকিলে তাহ কি, বলিতে পারি না . কিন্তু ষ্টেটসম্যানকে সাধারণ ভাবে প্রশ্ন করা যাইতে পারে, যে, যদি কোন দেশের কতকগুলি লোক সেই দেশের গবশ্নেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিয়৷ সশস্ত্র বিদ্রোহে প্রবৃত্ত হয়, তাহা হইলে চৌরঙ্গীর দৈনিক সেই বিদ্রোহকে তৎকর্তৃক উদ্ধৃত গীতার উপদেশের অনুযায়ী এবং বৈধ মনে করিবেন কি ? যাহা হউক, ইহা অবাস্তর কথা। আমাদের এই মন্তব্য ও টিপ্পনীতে মূল বক্তব্য এই, যে, আধুনিক ও প্রাচীন ভারতবর্ষের উপদেশকে শাস্তিকামী ও যুদ্ধকামী উভয় পক্ষের ইংবেজকেই কাজে লাগাইতে হইতেছে। অতএব চৌরঙ্গীর দৈনিক কি এখন বলিবেন, “জয়, গীত৷ কি জয় ” এবং বিলাতী শাস্তিকামীরা কি বলিবেন, “জয়, মহাত্মা গান্ধী কি জয় ?” মহাত্মা গান্ধী অবশ্য "হরিজন” পত্রিকায়ু মলিয়াছেন, তিনি শ্ৰীমং ভগবদ গীত হইতে শাস্তির অন্তকুল উপদেশষ্ট পাইয়াছেন। সংস্কৃতির উপর জগৎজোড়া আক্রমণ আধুনিক সময়ে বাহুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত স্বাধীনতার উপর প্রায় সৰ্ব্বত্র আক্রমণ চলিতেছে । তাহার ফলে, এবং একনায়কত্ব, যুদ্ধের আয়োজন ও যুদ্ধের প্রভাবে সংস্কৃতির হানি এক তাহার উচ্ছেদের আশঙ্কা অনুভূত হইতেছে। এই বিষয়ে নিখিল-ভারতীয় প্রগতিশীল লেখকদের সমিতি রবীন্দ্রনাথপ্রমুখ বহু মননশীল ভারতীয়ের নিম্নমূদ্রিত মন্তবাটি ব্রসেলসের জগদ্ব্যাপী শাস্তি-কংগ্রেসে পাঠাইয়াছেন। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশের নেতাদের ইহাতে স্বাক্ষর আছে। “Recent, events at home find abroad have beeu ho dismal and disconcerting that we, as representa: tives of the writers and artists of India and of all who care for the life of the mind, feel it incumbent upon us to register, our protest agaiust the insane reaction and chauvinism that plays to-day with the fate of civilization and threateus to destroy the culture that wo hold so dear. Our silenco all this . juncture would be unpardonable complacency: it would be betrayal of the duty which we owe to society. “The tremendous deprivation of civil libertica in India is by no means a merely political disaster: it implies, we feel... a scarcely disguis attack on culture and on efforts at its ಅಣ್ಣಣ್ಣ namong our people. To our , minds, the often indlscriminate pro$eription of books, those on . tbe theory nnd ractice of socialism being particularly suspected, is nothing short of a scandal. We frequently best with clugin of stoppages of books anil pamphlets and periodicals from abroad under the notörious Bection 19 of the Sca Cuatoms Act, which has becn nsed on occasion to preveut the entry even of Huch books as Sidney . and Beatrice Webb’s “Soviet Communism” in 醬 of the great reputation of the authors na Bociological investigators of the highest rank. Nearer bome, wo may mention the ban which only the obscurantism of the Gត្រៃ can explain, on the English translation of Rabindra Nath Tagore’s “Letters from Russia”. The recent